Wednesday 30 March 2016

ব্রেকিং নিউজ !! তনু হত্যায় আটক করা হল এক যুবক,, এই সেই উত্ত্যক্তকারী পিয়ার ??

ব্রেকিং নিউজ !! তনু হত্যায় আটক করা হল এক যুবক,, এই সেই উত্ত্যক্তকারী পিয়ার ??


কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন এক যুবককে আটক করার খবর পাওয়া গেছে। হত্যাকাণ্ডের চার দিন পরও পুলিশ এ মামলায় কোনো অগ্রগতি দেখাতে না পারলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ওই যুবক আটক আছে। নিহত তনুর পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পিয়ার নামের এক যুবক তনুকে উত্ত্যক্ত করত। তবে আটক যুবকটি পিয়ার কি না তা সূত্রগুলো নিশ্চিত করতে পারেনি। পুলিশ দাবি করছে, তারা পিয়ার নামে যুবকের বিষয়ে কিছু জানে না।
অন্যদিকে কুমিল্লা সেনানিবাসে সংঘটিত তনু হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে গতকাল শুক্রবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আরো অনেক এলাকায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে প্রতিবাদী মানুষ। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এসব প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকারকর্মী এবং সাধারণ মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অসংখ্য মানুষ তনু হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। কুমিল্লায় গতকাল তৃতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধসহ ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে ভিক্টোরিয়া কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।
একজন আটকের খবর : তনুর পারিবারিক সূত্র জানায়, পিয়ার নামে একটি যুবক তনুকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। সে কুমিল্লা সেনানিবাসে পরিবারের সঙ্গে থাকে। প্রাইভেট পড়াতে যাওয়ার সময় পিয়ার তাকে উত্ত্যক্ত করত। জানা গেছে, পিয়ার ঢাকার একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া তনুর ফেসবুক আইডি সূত্রে জানা গেছে, একটি মোবাইল ফোন নম্বর থেকে তনুকে বিরক্ত করত অপরিচিত এক যুবক।


নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তনু হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ঢাকায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তবে সে যুবকটি পিয়ার কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন কাউকে আটক বা গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করেছেন।


সূত্র জানায়, তনু হত্যার পরদিন গত সোমবার এক যুবককে আটক করে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর থেকে ওই যুবকের আর কোনো খোঁজ নেই। তবে তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে সূত্রগুলো জানিয়েছে।
এদিকে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা কোরের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জেলা প্রশাসক হাসানুজ্জামান কল্লোল, পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন, ডিজিএফআইয়ের ডিজি সাজ্জাদ হোসেন, বিজিবির কমান্ডার লে. কর্নেল মোখলেসুর রহমান, র‌্যাব-১১-এর ক্রাইম প্রিভেনশন কম্পানির কমান্ডার, এনএসআইয়ের জেনারেল ডিরেক্টর মজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক হাসানুজ্জামান কল্লোল সবার সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ‘তনু হত্যার বিষয়ে কারো কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো দরকার। আমরা সবার সহযোগিতা চাই।’ এ সময় পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানান, তনু হত্যার বিষয়ে এখনো পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমকে দেওয়ার মতো কোনো তথ্য নেই। তিনি বলেন, ‘নিহত তনুকে ফোনে কেউ বিরক্ত করত বলে তাঁর ফেসবুকে যে নম্বর আছে সে সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এ ছাড়া পিয়ার নামের কেউ তাঁকে বিরক্ত করত এমন তথ্যও আমাদের জানা নেই। তাঁর পরিবার আমাদের কিছু জানায়নি।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কুমিল্লা সেনানিবাসের ৫৮/১ পাহাড় হাউসে বসবাস করা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাসের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর সঙ্গে সবার সুসম্পর্ক ছিল। ছোট থেকে তিনি বড় হন কুমিল্লা সেনানিবাসেই। সেনানিবাসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও যোগ দিতেন তিনি। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাঁকে ভালো জানত। ভিক্টোরিয়া কলেজের সবাই তাঁকে পছন্দ করত। তনুর সঙ্গে একই বাড়িতে থাকত তাঁর সমবয়সী চাচাতো বোন নাইজু জাহান। তনুর দীর্ঘদিনের সঙ্গী নাইজু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের স্নাতক শিক্ষার্থী।
নাইজু কালের কণ্ঠ বলেন, ‘সে (তনু) রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কারো দিকে তাকাত না। আমরা তার ঘটনা শুনে বিস্মিত। কারণ আমরা সেনানিবাসে থাকতাম। আমরা এমন কিছু দেখিনি। কিন্তু হঠাৎ এটা কী হলো, কিভাবে হলো, আমরা বুঝতে পারছি না।’ নাইজু জাহান আরো বলেন, “পিয়ার নামে এক ছেলে তাকে বিরক্ত করত। সে পড়াশোনা করে এবং সেনানিবাসেই থাকে। প্রাইভেট পড়াতে যাওয়ার সময় সে প্রায়ই তনুকে বিরক্ত করত। তনু নিজে আমাকে এ কথা বলেছে। একদিন সে রাস্তায় পিয়ারকে দেখিয়ে বলেছিল, ‘এই ছেলেটিই আমাকে ডিস্টার্ব করে’।” তবে পিয়ার সম্পর্কে নাইজু বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তনুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে যে তথ্য বের হয়েছে, এর প্রতিবাদ করেন নাইজু। তিনি বলেন, লাশ দেখে তাঁদের মনে হয়নি তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে তনুকে উত্ত্যক্তকারী যুবক পিয়ারের বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১টায় ৭১ টিভির সরাসরি সম্প্রচারিত টক শোতে কুমিল্লার পুলিশ সুপারকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। টক শোতে অংশ নেন কালের কণ্ঠ’র নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কাশেম হৃদয়ও। সন্দেহভাজন যুবক পিয়ার সম্পর্কে হৃদয় জানতে চাইলে পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন টক শোতে বলেন, পুলিশ পিয়ার সম্পর্কে কিছু জানে না। ওই টক শোতে আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও কাজী সিরাজ। ওই সময় তনু হত্যার কোনো ক্লু পাওয়া গেছে কি না আবুল কাশেম হৃদয়ের এই প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, ‘এই মামলায় হাইলি কিছু টেকনিক্যাল ব্যাপার আছে। এটা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কিছু বলতে পারছি না।’
ঢাকায় প্রতিবাদ : তনু হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে গতকাল শাহবাগে গণসমাবেশ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, ‘তনু হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন আগেই রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ দেশে একটি ঘটনা চাপা দিতে নতুন আরেকটি ঘটনার জন্ম দেওয়া হয়। তনুকে ধর্ষণের ঘটনা কি রিজার্ভ চুরির ঘটনাকে চাপা দিতে? এ দেশে চোরের বিচার হয়, ডাকাতের বিচার হয়, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ধর্ষকের বিচার হতে দেখলাম না। এর দ্বারাই প্রমাণিত হয় যারা ধর্ষণ করে তারা কতটা ক্ষমতাবান।’
তনুকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রতিবাদে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গণজাগরণ মঞ্চের স্বাধীনতা কনসার্ট প্রত্যাহার করেছে সংগঠনটি। গণসমাবেশে আরো বক্তব্য দেন মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহসাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম, ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি লাকী আক্তার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রান্টের সভাপতি ইমরান হাবীব রুমন ও ভাস্করা রাশা প্রমুখ।
একই দাবিতে গতকাল বিকেলে প্রতিবাদী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে নারী সংহতি। রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন নারী সংহতির সভাপতি শ্যামলী শীল, সহসভাপতি তাসলিমা আখতার, সাধারণ সম্পাদক অপরাজিতা দেব, সহ-সাধারণ সম্পাদক রেবেকা নীলা, সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল মরিয়ম প্রমুখ।
কুমিল্লা ও অন্যান্য স্থানে প্রতিবাদ : গতকাল বিকেল ৩টা থেকে কুমিল্লা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। এ সময় তনু হত্যার বিচারের দাবিতে মুখরিত ছিল কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরসহ আশপাশের এলাকা। তারা তনুর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানায়। সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ চলাকালীন বিপুল পরিমাণ পুলিশকে বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
গতকাল জুমার নামাজের পর সহপাঠীরা মিছিল নিয়ে নগরীর কান্দিরপাড়ে এসে জমা হয়। তনু হত্যার বিচারের দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে কান্দিরপাড় এলাকা। শিক্ষার্থীরা ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার হাতে তনু হত্যার বিচারের দাবিতে একাত্মতা প্রকাশ করে। এ সময় তারা সড়কের ওপর ড্রাম ফেলে, শুয়ে-বসে অবস্থান নেয়। এতে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী উভয় দিকের যান চলাচল বন্ধ থাকে।
তনু হত্যার বিচার দাবিতে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরে মানববন্ধন তৈরি করা হয়। গতকাল দুপুরে এনায়েতপুর থানার কেজি মোড়ে এনায়েতপুর ছাত্র ফোরামের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন তৈরি করা হয় নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। জেলা ছাত্র ইউনিয়ন এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে। ফরিদপুর শহরে সংস্কৃতিকর্মীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে ও হাতে পোস্টার নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের শহীদ সাটু হলের সামনে ‘প্রতিবাদ করুন, বাঁচবে হাজারো তনু…ঝরে যাবে না অপ্রস্ফুটিত ফুল’ স্লোগান নিয়ে সাধারণ ছাত্র সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন তৈরি করা হয়। মণিরামপুর পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ চত্ব্বরে গতকাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
সেনাবাহিনীর বক্তব্য : এদিকে গত রাতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সোহাগী হত্যার কারণ উদ্ঘাটনে সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ২০ মার্চ তারিখ রাত আনুমানিক ১১টায় কুমিল্লা সেনানিবাসের সীমানাসংলগ্ন এলাকায় (এ স্থানে কোনো সীমানা প্রাচীর নেই) সোহাগী জাহান তনুর অচেতন দেহ খুঁজে পান তাঁর বাবা ইয়ার আলী। তিনি মিলিটারি পুলিশকে খবর দেন। তৎক্ষণাৎ সোহাগীকে সিএমএইচে নেওয়া হয় এবং সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ মাধ্যমে তাঁর ময়নাতদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। সোহাগী হত্যার কারণ উদ্ঘাটনের জন্য ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং সেনাবাহিনী সোহাগী হত্যার কারণ উদ্ঘাটনে পুলিশ ও প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করছে।’
সুত্রঃ কালের কন্ঠ

Tuesday 29 March 2016

দুপুর ঠিক ১২টা নামাজের নিষিদ্ধ সময়- কথাটি সঠিক নাকি ভুল?

এ সময় থেকে পাঁচ মিনিট বিয়োগ করলে দুপুরের নামাযের নিষিদ্ধ সময় হয় এক মৌসুমে সর্বনিম্ন ১১:৩৭ আরেক মৌসুমে সর্বোচ্চ ১২:০৮। সুতরাং নির্দিষ্ট করে ঠিক ১২টাকে দুপুরে নামাযের নিষিদ্ধ সময় মনে করা ঠিক নয়।

দুপুর বেলা সূর্য যখন ঠিক মাথার উপরে থাকে তখন নামায পড়া নিষেধ। অনেকে মনে করে এ সময়টা ঠিক দুপুর ১২টা। এ ধারণা ঠিক নয়।
এ সময়টা হলো সূর্য ঢলার সময়ের পূর্বে আনুমানিক ৫ মিনিট। মৌসুম ভেদে সূর্য ঢলার সময়ের তারতম্যের কারণে এ সময়টিও পরিবর্তিত হতে থাকে। মৌসুমের এই তারতম্যের কারণে সূর্য ঢলার সময়ের মাঝে প্রায় আধ ঘণ্টার ব্যবধান হয়ে থাকে। এক মৌসুমে (ঢাকার সময় অনুযায়ী) সূর্য ঢলার সর্বনিম্ন সময় ১১:৪২ তো আরেক মৌসুমে সর্বোচ্চ ১২:১৩।
এ সময় থেকে পাঁচ মিনিট বিয়োগ করলে দুপুরের নামাযের নিষিদ্ধ সময় হয় এক মৌসুমে সর্বনিম্ন ১১:৩৭ আরেক মৌসুমে সর্বোচ্চ ১২:০৮। সুতরাং নির্দিষ্ট করে ঠিক ১২টাকে দুপুরে নামাযের নিষিদ্ধ সময় মনে করা ঠিক নয়।
মোটকথা, সূর্য ঢলার সময় যখনই হবে তার পূর্বের পাঁচ মিনিটই হলো দুপুরে নামাযের নিষিদ্ধ সময়।
সংকলন ও গ্রন্থনা : মাওলানা মনযূরুল হক
সৌজন্যে : মাসিক আল-কাউসার

Saturday 2 January 2016

ফলের চেয়েও ভালো শাকসবজি!

ফল ও শাকসবজি খাওয়া যে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তা আমরা সবাইই জানি। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি বেশি ফল খাওয়ার চেয়ে বেশি বেশি শাকসবজি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ভালো। সম্ভবত ফলে ‘সুগার’ বা শর্করার পরিমাণ বেশি হওয়ায় এমনটা হতে পারে। এ ছাড়া টিনজাত ফলের রস খাওয়ায় তেমন একটা উপকার পাওয়া যায় না বলেও জানিয়েছেন গবেষকেরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে কীভাবে ফল ও শাকসবজি খাওয়া স্বাস্থ্যবান থাকতে সহায়তা করতে পারে।

ইউরোপীয়দের মতো নাশতা করলে সকাল শুরু করতে পারেন একটা ডিমের ওমলেট আর বেশি পরিমাণে ‘স্পিনাচ’ বা পালংশাক-জাতীয় শাক দিয়ে। ডিমের প্রোটিন দীর্ঘক্ষণ আপনাকে শক্তি জোগাবে। আর এই জাতীয় শাকের ‘ফোলেট’ ও ‘বিটাইন’ ভিটামিন শরীরের ‘হোমোসিস্টাইন’-এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে হূদেরাগ প্রতিরোধে সহায়তা করবে। শাকের বিকল্প হিসেবে আপনি কিছু স্ট্রবেরি বা ব্লুবরি কিংবা একটা কমলা খেয়ে ফেলতে পারেন।
দুপুর ও রাতের খাবারে সবজি খেতে পারেন। আর ডেজার্ট হিসেবে খেতে পারেন ফল। কিন্তু কোন কোন সবজি খাবেন? গবেষকেরা বলছেন, যতটা সম্ভব নানান রঙের সবজি খান। নানান রঙের শাকসবজিতে এই রংগুলো আসলে হাজারো জৈব-যৌগিক রাসায়নিকের প্রতিনিধিত্বকারী। এসব ‘সাইটোকেমিক্যালস’ গাছ-লতা-পাতাকে সজীব ও স্বাস্থ্যবান রাখে। বিশেষভাবে খেয়াল রাখুন, এসব শাকসবজি খেতে হবে খুবই হালকা সেদ্ধ করে, পুরোপুরি সেদ্ধ করে এগুলো মেরে ফেলে না।

সবুজ

সবুজ পাতার শাকসবজি যেমন—পালংশাক, লেটুসপাতা ইত্যাদি ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও পটাশিয়ামের মতো সমৃদ্ধ খনিজের উত্স। বাঁধাকপি, ফুলকপি ও ব্রকোলি (বিশেষ জাতের ফুলকপি) জাতীয় সবজিগুলোয় সালফার ও অর্গানোসালফার আছে। সালফারে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। এ ছাড়া মেথিওনিন ও টরিনের মতো প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড আছে এতে।

হলুদ ও কমলা

হলুদ ও কমলা রঙের ফল ও শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ‘ক্যারোটিনয়েডস’ আছে। ক্যারোটস বা গাজর এই উপাদানে সমৃদ্ধ খাবারের একটা ভালো নমুনা। গাজর  ভিটামিন ‘এ’-এর একটি ভালো উত্স। এই ভিটামিন ‘এ’ দৃষ্টিশক্তির জন্য খুবই ভালো। বেশি বেশি গাজর খান, চোখ ভালো রাখুন। শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ঠিক রাখতে এবং হাড়ের বৃদ্ধিতেও ভিটামিন ‘এ’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তরমুজ, টমেটো, মরিচ, লাউ ও কুমড়ো-জাতীয় ফলেও প্রচুর ক্যারোটিনয়েডস আছে।

লাল

আরেক জাতের ক্যারোটিনয়েডস আছে লাল রঙের। একে বলে ‘লাইসোপিন’। লাল টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে আছে এই লাইসোপিন। অন্যান্য সবজি ও ফলের সঙ্গে এর একটা পার্থক্য হলো টমেটো রেঁধে খেলেও এর লাইসোপিন কমে না, বরং বেড়ে যায়। তবে রান্না করা টমেটোতে ভিটামিন ‘সি’ নষ্ট হয়ে যায়।

নীল ও নীলাভ বেগুনি

নীল ও নীলাভ বেগুনি ফল ও সবজি এই রং পেয়ে থাকে ‘অ্যান্থোসায়ানিন’ নামের একটা রাসায়নিকের কারণে। ব্ল্যাকবেরি ও ব্লুবেরি, নীলচে গাজর এবং লাল বাঁধাকপিতে এটা প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে যে বয়স বেড়ে গেলে স্মৃতিশক্তি ঠিক রাখা এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ঠিক রাখতে সহায়তা করতে পারে অ্যানথোসায়ানিন-সমৃদ্ধ ব্লুবেরি।

সাদা

রসুন ও পেঁয়াজ ‘অ্যালিল সালফার’সমৃদ্ধ। রসুন হূদেরাগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকর। এ ছাড়া এগুলো ক্ষতিকর উদ্ভিজ্জাণু মেরে ফেলে শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে শাকসবজি

ছয়টি মুখ্য খাদ্য উপাদানের মধ্যে বর্তমান প্রেক্ষাপটে শাকসবজি ও ফলমূলের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। কারণ এ ধরনের খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খাদ্য লবণ, পানি, শর্করা ও কিছু প্রোটিন বিদ্যমান থাকে। শাকসবজি ও ফলমূলে স্টার্চ ও সেলোলুজ জাতীয় উপাদান প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান থাকায় এসব খাদ্যবস্তু গ্রহণের ফলে কম ক্যালরি গ্রহণের মাধ্যমে উদরপূর্তি হয়, মানে আপনি পেট ভরে খাওয়ার পরও আপনার ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা সর্বনিম্ন পর্যায়ে থেকে যায়। ক্যালরি কম গ্রহণ করলে মানুষের ওজন বৃদ্ধি ঘটে না এবং যারা মেদভুঁড়িজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন তারা শারীরিক ওজন কমানোর জন্য শাকসবজি ও ফলমূল প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করে লাভবান হতে পারবেন। শাকসবজিতে বিদ্যমান সেলোলুজ মানব পরিপাকতন্ত্রে হজম হতে না পারায়, তা থেকে কোনো রূপ ক্যালরি দেহে প্রবেশ না করার ফলে খাদ্যের মাধ্যমে ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা রহিত করা যায়। হজম না হওয়া সেলোলুজ মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে, মলে পানি ধরে রাখতে পারে, যার পরিপ্রেক্ষিতে মল নরম থাকে। সুতরাং যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তাদের প্রতিবেলা প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল গ্রহণ করে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও রেহাই পেতে পারেন। যারা উচ্চরক্তচাপজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন তারা শাকসবজি ও ফলমূল প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করে খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে একটি পর্যায় পর্যন্ত রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। বর্তমান বিশ্বে বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশে হৃদরোগের প্রাদুর্ভাব অনেক গুণে বৃদ্ধি ঘটেছে। এর জন্য প্রধানত উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও রক্তে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলকে দায়ী করা হয়ে থাকে। অধিক পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল গ্রহণের ফলে খাদ্যের মাধ্যমে গ্রহণকৃত কোলেস্টেরলের হজম ও শোষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আগেই বলেছি, শাকসবজি ও ফলমূল অধিক পরিমাণে গ্রহণের ফলে ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ কমে যায়। সুতরাং বেশি পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল গ্রহণ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হৃদরোগও প্রতিরোধ করা সম্ভব। অধিক পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল গ্রহণের ফলে পেটে গ্যাস উৎপন্ন হতে পারে এবং দিনে ২-৩ বার টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে, তবে কোষ্ঠকাঠিন্য অবশ্যই দূরীভূত হবে এবং কারও মলদারে অর্শ, গেজ বা পাইলস থাকলে তারও প্রতিকার হবে। তবে পেটে গ্যাস হওয়ার প্রবণতা দিনে দিনে কমে যেতে পারে। অনেক শাকসবজি ও ফলমূলে ভিটামিন 'এ' জাতীয় উপাদান বিদ্যমান থাকায় চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। বেশ কিছু শাকসবজি ও ফলমূলে প্রচুর পরিমাণ আয়রন বিদ্যমান থাকায় এসব খাদ্যবস্তু গ্রহণের ফলে রক্তশূন্যতা দূরীভূত হয়। যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন এবং যারা কম ক্যালরি গ্রহণের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তারা এসব কার্বোহাইড্রেটযুক্ত শাকসবজি ও ফলমূল অবশ্যই বর্জন করবেন। আলু, মিষ্টি আলু, মিষ্টি কুমড়া, গাজর, কচুরমুখী, কাঁঠালের বিচি ইত্যাদি খাদ্যে বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট বিদ্যমান থাকে। সব ধরনের মিষ্টি ফলে অধিক পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট বিদ্যমান থাকে। যেমন- পাকা আম, কাঁঠাল, পাকা কলা, পাকা পেঁপে, লিচু, তরমুজ, আনারস, বাঙি, আপেল, আতা, সফেদা, আঙ্গুর ইত্যাদি। ডায়াবেটিস রোগী এবং যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান তারা এসব সবজি ও ফল বর্জন করবেন।

ডা. এম শমশের আলী, সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।

মুন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বাবর রোড, শ্যামলী।

- See more at: http://www.bd-pratidin.com/health/2015/07/25/95433#sthash.D5TRvUPo.dpuf

আমাশয় থেকে স্থায়ী মুক্তি লাভের উপায়

আমাশয় হচ্ছে একটি ইন্টেসটেনাইল প্রদাহ যা আমাদের কোলনে হয়ে থাকে। আমাশয় আক্রান্ত রোগী মারাত্মক ডাইরিয়ায় ভুগতে পারে সাথে মিউকাস ও রক্তপাতও ঘটতে পারে। এছাড়া রুগীর তল পেটে প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভূত হয়। যদি আক্রান্ত ব্যাক্তি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন না করে তবে তার জীবন ঝুকিতে পড়তে পারে। ব্রেকিংনিউজের পাঠকদের জন্য আমাশয় থেকে স্থায়ী মুক্তি লাভের উপায়গুলো দেয়া হল।

১. বাসী ও পচা খাবার খাওয়া যাবে না।
২. সময় পরিস্কার পরিচ্ছিন্ন থাকতে হবে।
৩. টয়লেটের পরিবেশ উন্নত করতে হবে বা স্বাস্থ্যসম্মত স্যানেটারি ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. প্রতিবার খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
৫. টয়লেট থেকে ফিরে সাবান ব্যবহার করতে হবে।
৬. যারা পাবলিক যানবাহনে চলাফেরা করেন তারা অফিসে গিয়ে এবং অফিস থেকে বাসায় ফিয়ে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে নেবেন।
৭. বাইরের খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভাল, কিন্তু বাইরের পানি অবশ্যই খাওয়া যাবে না।

অপ্রত্যাশিত যৌন মিলনে নারীদের বেশি ক্ষতি!

বিয়ের আগে যৌন মিলনের জন্য সব ধর্মেই নিষেধ আছে। তারপরও অবাধে চলছে অপ্রত্যাশিত যৌন মিলন।

বর্তমানে অনেক উঠতি বয়সী মেয়েরা এ ধরনের শারীরিক সম্পর্ককে আধুনিকতা মনে করে থাকে। অথচ বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের ফলে যে সমস্যা দেখা দেয় তা পোহাতে হয় নারীদেরকেই। তাই সাবধান হোন এবং জেনে নিন অনাকাঙ্খিত সমস্যাগুলো সম্পর্কে।

অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ:
বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের সবচেয়ে ভয়াবহ যে সমস্যাটি হতে পারে তা হলো অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ। নিরোধক ব্যবহারের পূর্ব পরিকল্পনা না থাকা, আবেগের বশে হঠাৎ করেই যৌন সম্পর্ক করা ইত্যাদি এর অন্যতম কারণ। শারীরিক সম্পর্কের চিহ্ন ধারণ করে সাধারণত মেয়েরাই। কোনো মেয়ের শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে কি না তা ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়, কিন্তু ছেলেদের যায় না। একইভাবে গর্ভধারণের যাবতীয় সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয় শুধু মেয়েদেরই।

ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভপাত :
বিয়ের আগে গর্ভধারণ করে ফেললে তখন গর্ভপাত করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। গর্ভপাত একটি ঝুঁকিপূর্ণ প্রক্রিয়া। এতে যেমন শারীরিক ক্ষতি হয় তেমনি মানসিক ক্ষতির সম্মুখীনও হতে হয়। গর্ভপাতের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণসহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। এর দীর্ঘমেয়াদী কুফলও রয়েছে। যেমন পরবর্তীতে গর্ভধারণে সমস্যা হওয়া বা গর্ভধারণ করতে না পারা ইত্যাদি। প্রথম সন্তান জন্মদানের আগে গর্ভপাতের ঘটনা ঘটলে পরবর্তীতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সন্তান ধারনে সমস্যা দেখা দেয়। গর্ভপাতের মানসিক ক্ষতিও কম নয়। সন্তান হারিয়ে অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এমনকি অনেকে বিকারগ্রস্ত পর্যন্ত হয়ে পড়ে।

জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল ও অন্যান্য ঝুঁকি :
বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের কারণে অনেকেই জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল বা অন্যান্য ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন। অনবরত জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল গ্রহণ অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ রোধ করলেও ডেকে আনতে পারে মারাত্মক সব সমস্যা। এর মধ্যে অন্যতম হলো সন্তান ধারণের ক্ষমতা হারানো। প্রথম সন্তান জন্মের আগেই দীর্ঘদিন পিল গ্রহণের ফলে পরবর্তীতে গর্ভধারণে ঝুঁকি হতে পারে, হতে পারে বারবার গর্ভপাতের সমস্যা। এছাড়া হরমোনের সমস্যা, মুটিয়ে যাওয়া, খাবারে অনীহা, সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

0

বড় গুণের বরই

বরই, বড়ই বা কুল আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় একটা ফল। যদিও এর আদি নিবাস আফ্রিকা, তবু বাংলাদেশে তো বটেই এটি পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় বহুল পরিচিত একটি ফল। মজার ব্যাপার হলো বরই-এর সরাসরি কোনো ইংরেজি নাম নেই!

তবে সাধারণত একে Jujube বা Chinese date নামে ডাকা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Ziziphus zizyphus। আমাদের দেশে ডিম্বাকার বরইকে সাধারণত ‘কুল বরই’ বলা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Zizyphus mauritiana।

বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই, সব ধরনের মাটিতে বরই গাছ জন্মে। বরই গাছ ছোট থেকে মাঝারি আকারের ঝাঁকড়া ধরনের বৃক্ষ। বরই গাছ সাধারণত ১২-১৩ মিটার লম্বা হয়। এই গাছ পত্রঝরা স্বভাবের অর্থাত্‍ শীতকালে পাতা ঝরে এবং বসন্তকালে নতুন পাতা গজায়। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে গাছে ফুল আসে এবং ফল ধরে শীতকালে। কাঁচা ফল সবুজ।

তবে পাকলে হলুদ থেকে লাল রং ধারণ করে। কাঁচা ও পাকা দু ধরনের বরই-ই খাওয়া যায়। স্বাদ টক ও টক-মিষ্টি ধরনের। তবে কুল বরই মিষ্টি হয়। বরই শুকিয়ে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। কাঁচা ও শুকনো বরই দিয়ে চমত্‍কার চাটনি ও আচার তৈরি করা যায়।

বরইয়ের রয়েছে ব্যাপক পুষ্টিগুণ। প্রতি ১০০ গ্রাম বরইয়ে রয়েছে :

খাদ্যশক্তি- ৭৯ কিলোক্যালরি
শর্করা- ২০.২৩ গ্রাম
চর্বি- ০.২ গ্রাম
আমিষ- ১.২ গ্রাম
জলীয় অংশ- ৭৭.৮৬ গ্রাম
ভিটামিন এ- ৪০ আইইউ
থায়ামিন- ০.০২ মিলিগ্রাম
রিবোফ্লাভিন ০.০৪ মিলিগ্রাম
নিয়াসিন ০.৯ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি৬- ০.০৮১ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি- ৬৯ মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়াম- ২১ মিলিগ্রাম
আয়রন- ০.৪৮ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম- ১০ মিলিগ্রাম
ম্যাংগানিজ- ০.০৮৪ মিলিগ্রাম
ফসফরাস- ২৩ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম- ২৫০ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম- ৩ মিলিগ্রাম
জিংক- ০.০৫ মিলিগ্রাম
পুষ্টিগুণ ছাড়াও বরইয়ের রয়েছে অনেক রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা। যেমন :

বরইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। বরইয়ের ভিটামিন সি ইনফেকশনজনিত রোগ যেমন টনসিলাইটিস, ঠোঁটের কোণে ঘা, জিহ্বাতে ঘা, ঠোঁটের চামড়া উঠে যাওয়া ইত্যাদি দূর করে।
বরইয়ের রসকে অ্যান্টি-ক্যান্সার হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ফলের রয়েছে ক্যান্সার কোষ, টিউমার কোষ ও লিউকেমিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার অসাধারণ ক্ষমতা।
যকৃতের নানা রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে বরই। এই ফল যকৃতের কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
বরই অত্যন্ত চমত্‍কার একটি রক্ত বিশুদ্ধকারক। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বরই খুবই উপকারী ফল।
ডায়রিয়া, ক্রমাগত মোটা হয়ে যাওয়া, রক্তশূন্যতা, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি রোগ খুব দ্রুত সারিয়ে তোলে এই ফল।
মৌসুমি জ্বর, সর্দি-কাশিও প্রতিরোধ করে বরই। এছাড়া হজম শক্তি বৃদ্ধি ও খাবারে রুচি বাড়িয়ে তোলে এ ফল।

স্বাস্থ্যকর সয়াবিনের যত উপকারিতা

সয়াবিন – শব্দটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সয়াবিন তেল। কারণ আমাদের দেশে সয়াবিনের তেল বহুল পরিচিত এবং ব্যাপক ব্যবহৃত হলেও সয়াবিন অর্থাত্‍ সয়া বীজ তেমন একটা প্রচলিত নয়।

শুধুমাত্র ডাল হিসেবেই কোনো কোনো অঞ্চলে খাওয়া হয়। সয়াবিন থেকে শুধু তেল নয়, তৈরি হয় আরো অনেক কিছু। সয়াবিন নানা ভিটামিন ও পুষ্টিগুণের আধার।

জেনে নিন সয়াবিনের উপকারিতার কথা
সয়াবিন কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
সয়াবিন ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের খনি। বিশেষ করে থায়ামিন, নিয়াসিন, ফলিক অ্যাসিড ও রিবোফ্লেভিন। এই ভিটামিন হার্ট ও লিভারের সক্রিয় কার্যকলাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ডালের চেয়েও বেশি প্রোটিন রয়েছে সয়াবিনে। প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াবিনে পাওয়া যায় ৪৩ গ্রাম প্রোটিন।
সয়াবিনের প্রোটিনে সিস্টিন ও মিথিওনাইন ছাড়া বেশিরভাগ অত্যাবশ্যক অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে, যা শরীর নিজে থেকে তৈরি করতে পারে না। ডিম, মাংস, ডেইরি প্রোডাক্টের মতো প্রাণিজ প্রোটিনের সমতুল্য প্রোটিনসমৃদ্ধ সয়াবিন।
সয়াবিনে ফ্যাটের পরিমাণও কম। প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াবিনে ফ্যাটের পরিমাণ ২০ গ্রাম।
প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াবিনে রয়েছে ৩০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট।
ভিটামিন ই ও লেসিথিনের মতো ন্যাচারাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সয়াবিন বার্ধক্যের গতি মন্থর করতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।
সয়াবিনে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল আছে। প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াবিনে পাওয়া যায় ২৮০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ২৭৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৭০৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস। তাই সয়াবিন দাঁত ও হাড় মজবুত রাখে। আয়রন রক্তের সুস্থতা বজায় রাখে।
সয়াবিন ভালো করে সেদ্ধ করে খান। কারণ হজমে সাহায্যকারী এনজাইম ট্রিপসিনের কার্যকলাপ কিছুটা ব্যাহত করে সয়াবিন।
ফাইবার সমৃদ্ধ সয়াবিন হার্টের জন্য খুব ভালো।
বয়ঃসন্ধিকালের মেয়েদের ডায়েটে সয়াবিন রাখুন যথেষ্ট পরিমাণে। পরবর্তীকালে ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমে।
সয়াবিন তেলে ক্ষতিকর স্যাচুরেটেড ফ্যাট অনুপস্থিত।
সয়া মিল্কে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কম হলেও এর আইসোফ্ল্যাবনস (এক ধরনের প্ল্যান্ট হরমোন) শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের সমান কাজ করে অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করে।
সয়া মিল্ক দিয়ে তৈরি খাবার ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও ভিটামিনের ভালো উত্‍স। সয়া মিল্কে গরুর দুধের সমমানের প্রোটিন রয়েছে। মিল্ক প্রোটিনে যাদের অ্যালার্জি আছে তারা নির্দ্বিধায় খেতে পারেন সয়া মিল্ক।
সয়াবিন ফারমেন্ট করে সয়া সস তৈরি করা হয়। সয়া মিল্কের মতো সয়া সস উপকারী নয়। প্রতি ১০০ গ্রাম সয়া সসে আইসোফ্ল্যাবনসের পরিমাণ ভাত্র ১.৬ মিলিগ্রাম এবং এতে লবণের পরিমাণও বেশি।
সয়াবিনে উপস্থিত আইসোফ্ল্যাবনস মেনোপজের লক্ষণ যেমন হট ফ্লাশ, বেশি ঘাম ইত্যাদি কমাতে, প্রস্টেট ক্যান্সার, বড়দের অ্যাকনে সারাতে সাহায্য করে।
প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াবিন থেকে পাওয়া যায় ৪৩২ কিলোক্যালরি।
টাইপ টু হাইপার কোলস্টেরোলমিয়ার রোগীরা লো লিপিড, লো কোলস্টেরল ডায়েট মেনে চলেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রাণিজ প্রোটিনের পরিবর্তে তাদের ডায়েটে সয়াবিন রাখায় প্লাজমা কোলস্টেরলের পরিমাণ কমে গিয়েছে ২৩-২৫%।
খাদ্যতালিকায় ডিমের অ্যালবুমিন বা দুধের ক্যাসিন থাকলে যত সহজে আয়রন শোষণ হয়, সয়াবিন থাকলে তত ভালোভাবে রক্তে আয়রন শোষিত হয় না। তাই সয়াবিনের সাথে খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারও রাখুন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সয়া স্পাউট উপকারী। সালাদ, স্যুপে খেতে পারেন। ময়দার পরিবর্তে সয়া ফ্লাওয়ার দিয়ে রুটি তৈরি করতে পারেন।

দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করলে বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা!

আমেরিকার সান দিয়াগো শহরে একটি কলেজের ৬৪ তম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সেশনের গবেষণায় উঠে এসেছে এক বিস্ময়কর তথ্য। প্রতিনিয়ত যারা একভাবে বসে কাজ করেন তাদের হৃদপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালন গত সমস্যা বেশি দেখা দেয় এবং আশঙ্কা থাকে হার্ট অ্যাটাকেরও।

গবষেণায় দেখা গেছে, প্রত্যেক দিন যোগ ব্যায়াম শরীরের রক্ত চলাচলকে স্বাভাবিক রাখে। তাই হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ব্যায়াম দেহের অতিরিক্ত ক্যালোরি ঝরিয়ে দেয় এবং শরীরকে ফিট রাখে, এমনটাই মত চিকিৎসকদের। যতটা সম্ভব একভাবে বসে থাকা এড়িয়ে চলতে পারলে হার্ট অ্যাটাকের মত মারাত্মক ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

আমেরিকার এক গবেষণায় বলা হয়, প্রতিনিয়ত কতক্ষণ বসে কাজ করা উচিত, কতক্ষণ বসে কাজ করলে মানুষের হৃদপিণ্ডে কোনও ক্ষতি হবে না এবং কি ধরণের ব্যায়াম করা উচিত, এই সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে ২০০০ এরও বেশি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ যারা সারাদিন বসে বসে কাজ করেন তাদের মধ্যে ১৪% মানুষই হৃদরোগে ভোগেন। পরবর্তী সময়ে হৃদরোগ হার্ট অ্যাটাকের মত মারাত্মক ব্যাধির আকার নেয়।

স্বাস্থ্য ডেস্ক (সূত্র: জিনিউজ)

0

সবুজ আমিষের উৎসঃ স্পিরুলিনা

নিরামিষভোজীদের দুঃখ একটাই, তারা যতই শাকসবজি খান না কেন, তা থেকে প্রয়োজনীয় আমিষ পাওয়াটা দুরূহ। অথচ শরীরের কোষ গঠন এবং ক্ষয় পূরণের জন্য আমিষ যে ভীষণ জরুরি।

এসব দরকারি আমিষ পাওয়া যায় সাধারনত মাছ-মাংস অর্থাৎ এমন সব খাবার যা থেকে দূরে থাকেন নিরামিষভোজীরা। তাদের খাবারে আমিষের এই অভাব দূর করতে পারে স্পিরুলিনা, কারন সবুজ রঙের এই খাবারটিতে আছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন।

স্পিরুলিনা জিনিসটা কি?
সহজ ভাষায়, এটি একটি শ্যাওলা। নীলচে-সবুজ এই এককোষী শ্যাওলাটি দেখতে প্যাঁচানো (spiral) যা থেকে এর নাম হয়েছে স্পিরুলিনা। এর গন্ধ এবং স্বাদ অনেকটাই sea weed বা ভক্ষণযোগ্য সামুদ্রিক শৈবালের মত।

দূষণমুক্ত এবং প্রচুর আলোবাতাস পায় এমন মিঠাপানির উৎসগুলোতে জন্মায় এই শ্যাওলাটি। এই বিশ্রী সবুজ শ্যাওলাটি কিন্তু অনেক উপকারী। প্রতিদিনকার খাদ্যের পরিপূরক হিসেবে স্পিরুলিনা ব্যাবহার হয়ে আসছে অনেক জনগোষ্ঠীতেই।

মূলত ১৯৭০ সাল থেকে স্পিরুলিনার গুণাগুণ সম্পর্কে মানুষ জানা শুরু করেছে এবং পুষ্টির উৎস হিসেবে ব্যাপকভাবে একে ব্যাবহার করা শুরু করেছে।

স্পিরুলিনার গুণাগুণঃ
স্পিরুলিনায় আছে প্রচুর পরিমানে উদ্ভিজ্জ আমিষ, ৬০-৬৩% যা কিনা মাছ বা মাংসের চাইতে ৩-৪ গুণ বেশি। এছাড়াও আছে এমন সব ভিটামিন, মিনারেল এবং বেটা-ক্যারোটিন, যা নিরামিষাশীদের পক্ষে পাওয়া কঠিন।

এসব উপাদানের আছে সুস্বাস্থ্য গঠন সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানোর ক্ষমতা।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে স্পিরুলিনাঃ
স্পিরুলিনার অন্যতম বিশিষ্ট হল এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে বেটা-ক্যারোটিন। এই উপাদানগুলো সারা শরীরে ছড়িয়ে গিয়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর সুরক্ষা ব্যাবস্থা গড়ে তোলে, যার ফলে ক্যান্সার থেকে শরীর থাকে নিরাপদ।

কৃত্রিম বেটা-ক্যারোটিনের চাইতে এই প্রাকৃতিক বেটা-ক্যারোটিন অনেক বেশি নিরাপদ এবং কার্যকর।

কমিয়ে আনতে পারে বার্ধক্যের হারঃ
গাজর কমিয়ে আনতে পারে বার্ধক্যের হার, এটা জানেন স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই এবং তাদের প্রতিদিনের মেনুতে থাকে টাটকা গাজর অথবা গাজরের কোন রেসিপি।

অথচ স্পিরুলিনায় থাকে গাজরের চাইতে ১০ গুণ বেশি বেটা-ক্যারোটিন যা কিনা বার্ধক্য কমিয়ে আনার অন্যতম হাতিয়ার। ভিটামিন বি-১২ পাওয়ার সর্বোত্তম প্রাকৃতিক উৎস হল এই স্পিরুলিনা, যা দেহের কোষ-কলা এবং স্নায়ুকে সুস্থ রাখে।

দেহকোষগুলোকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করে স্পিরুলিনা।

পরিপূর্ণ আমিষের উৎসঃ
স্পিরুলিনার প্রায় অর্ধেকটাই আমিষ। আমিষ তৈরি হয় এমিনো এসিড দিয়ে এবং মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় সব কয়টি এমিনো এসিড(২২ টি) এর সব কয়টিই আছে স্পিরুলিনায়।

তাই গুরুপাক মাছ-মাংস খাওয়ার চাইতে শুধুমাত্র স্পিরুলিনা খেয়েই আমিষের সবটা অভাব মেটানো সম্ভব। স্পিরুলিনায় যে আমিষ আছে তা লঘুপাক, তাই পরিপাকতন্ত্রও থাকে সুস্থ। দিনে মাত্র ১০ গ্রাম স্পিরুলিনা খেয়ে দৈনিক আমিষ চাহিদার ৭০% মেটানো সম্ভব।

দিতে পারে অদম্য শক্তিঃ
স্পিরুলিনার অসংখ্য পুষ্টি উপাদান শরীরকে রাখে সুস্থ এবং সহজে হজম করা যায় বলে শরীরে এই উপাদানগুলো শোষিতও হয় তাড়াতাড়ি। পেশিকলা গঠনে এটি রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা।

এছাড়াও এটি শরীর থেকে বের করে দেয় দিনের পর দিন জমে ওঠা ক্ষতিকর সব টক্সিন। এটি পরিশ্রম করার ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের ওজনও রাখে নিয়ন্ত্রনে।

কিভাবে খাবেনঃ
স্পিরুলিনা পাওয়া যায় ট্যাবলেট এবং গুঁড়ো হিসেবে। স্পিরুলিনার গুঁড়ো পানিতে অথবা জুসের সাথে গুলে খেতে পারেন। ট্যাবলেট খেতে পারেন দিনে ৪-৬ টা। তবে আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।

স্বাস্থ্য ডেস্ক

আয়রনের ১০টি চমৎকার উৎস

অন্য সব খনিজ উপাদানের মত আয়রনের ঘাটতিও আমাদের দেহের নানান রকম অসুখের কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে। গর্ভাবস্থা থেকে শিশুর বৃদ্ধি, কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক লোকের সুস্থতা, সবেতেই আয়রনের পরিমান তুলনামুলকভাবে কম দরকার হলেও দেহের সুস্থতায় এর ভুমিকা কিন্তু বিশাল।

তাই আসুন একটু জেনে রাখা যাক আমাদের দেহে পর্যাপ্ত পরিমানে আয়রন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য এমন কিছু খাদ্য উপাদানের নাম যা কিনা সহজ লভ্য ও উপাদেয়।

১)যকৃত-
যকৃত আয়রনের উৎস গুলির মধ্যে একটি প্রধান সুপরিচিত নাম। অনিরামিষাশীদের জন্য হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখার সবচাইতে ভাল উপায় হল খাদ্যতালিকায় যকৃত রাখা। সাধারনত মুরগির যকৃতের প্রতি ১০০ গ্রামে ৯ মিলিগ্রাম পরিমান আয়রন থাকে। তবে গরুর যকৃতে অন্য প্রানীর যকৃতের তুলনায় কম কোলেস্টেরল কিন্তু উচ্চ মাত্রার আয়রন রয়েছে ।

২)সীফুড-
আপনি যদি মাছ পছন্দ করে থাকেন তবে সুখবর আছে আপনার জন্য। কারন সামুদ্রিক তৈলাক্ত মাছ শুধুমাত্র যে ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ তাই নয়, বরং আয়রনের একটি খুব ভাল উৎস।

৩)গরুর মাংস-
লাল মাংস আয়রনের অন্যতম ভাল উৎস,কিন্তু তা চর্বি ছাড়া হতে হবে। তাই এজন্য গ্রাউন্ড বিফ একেবারে উপযুক্ত। গ্রাউন্ড বিফ এর প্রতি ৮৫ গ্রামে ২.১ মিলিগ্রাম আয়রন আছে।

৪)চিকেন ব্রেস্ট-
মুরগীর বুকের মাংসের প্রতি ১০০ গ্রামে ০.৭ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়। তাই অনিরামিষাশীদের অস্থি মজ্জা, যকৃত, মুরগির মাংস এবং চর্বি ছাড়া লাল মাংস হিমোগ্লোবিন বজায় রাখার সবচাইতে ভালো উৎস।

৫)ব্রাউন রাইস-
ব্রাউন রাইস একুশ শতকের অন্যতম যুগান্তকারী আবিস্কার। এটা ওজন কমানো থেকে শুরু করে কোলেস্টেরল কমানো এমনকি হিমোগ্লোবিন এর উৎস হিসেব এর জুড়িমেলা ভার। এছাড়াও এর আরও অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা তো আছেই।

৬)কুমড়ো বীজ-
কুমড়ো বীজের ১০০ গ্রামে ১৫ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে যা একজনের প্রতিদিনের প্রায় ৮৩ শতাংশ আয়রনের চাহিদা মেটায়। এছাড়াও কুমড়ো বীজ ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিডের জন্য একটি ভাল উৎস, যা কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে।

৭)শস্য দানা-
গোটা শস্য দানা হজম, ওজন হ্রাস, এবং কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক। আর ভাল আয়রনের উৎস তো বটেই। গম,বার্লি, ওট, ইত্যাদি খাবার তালিকায় রাখুন, সুস্থ থাকুন।

৮)ডার্ক চকলেট-
আপনি যদি চকলেটপ্রেমী হয়ে থাকেন, তবে ৮০শতাংশ ডার্ক চকলেট খান বেশি করে। ৮০শতাংশ ডার্ক চকলেটএর প্রতি ১০০ গ্রামে পাবেন ১৭ মিলিগ্রাম আয়রন।

৯)ডাল শস্য-
প্রতি ১০০গ্রাম ডাল আপনি পাবেন প্রায় ৭.৫মিলিগ্রাম আয়রন। এছাড়াও, ডাল ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন B6 এর ভাল উৎস। সাথে পাবেন প্রতি ১০০ গ্রামে ৩০ গ্রাম ফাইবারও,কিন্তু এতে কোলেস্টেরল নেই একদমই।

১০)শুকনো ফল-
কিশমিশ কিংবা শুকনো এ্যপ্রীকট আয়রনের একটি ভাল উৎস। এছাড়া শুকনো ফলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার জন্য অত্যাবশ্যক ভিটামিন এবং ফাইবার থাকে। তাই স্ন্যাক্সের বদলে মুঠোয় তুলে নিন স্বাস্থ্যকর শুকনো ফল।

ডুমুর খাওয়া কেন ভালো আপনার জন্য?

অবহেলিত একটি ফল ডুমুর। ডুমুর খাওয়া হয় তরকারি হিসেবেও। ডুমুর খান আর না খান, ‘ডুমুরের ফুল’ বাগধারার কল্যাণে ডুমুরের নাম জানা সবারই। আজ জেনে নিন ডুমুরের কিছু উপকারিতার কথা।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
ডুমুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়মিত ফল ও সবজি খাওয়ার অভ্যাস না থাকলেও প্রায়ই আমরা প্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়ে থাকি। এসব প্রক্রিয়াজাত খাবারে লবণ মানে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে।

ডায়েটে পটাশিয়ামের পরিমাণ কমে গিয়ে সোডিয়ামের পরিমাণ গেলে হাইপারটেনশনের সমস্যা হতে পারে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, যারা স্ন্যাকস ও মিষ্টির পরিবর্তে ফল, সবজি ও লো ফ্যাট ডেইরি খাবার খান, তাদের ডায়েটে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে
খাদ্যআঁশ সমৃদ্ধ ডুমুর ওজন কমাতে সাহায্য করে। যদি ওজন নিয়ন্ত্রণ আপনার উদ্দেশ্য হয় তাহলে খাদ্যতালিকায় ডুমুর রাখুন। ডুমুরে উপস্থিত পেকটিন রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

ডায়াবেটিসের সমস্যায় উপকারী
ডুমুরের সাথে সাথে ডুমুরের পাতাও সমান উপকারী। ডুমুরের পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপাদান। অনেক সময় ডায়াবেটিসের রোগীকে ইনসুলিন ইনজেকশন নিতে হয়।

গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, ডুমুর এই ইনসুলিন গ্রহণের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডুমুরের পাতার রস সকালের নাশতায় খেতে পারেন। ইনসুলিনের ওপর নির্ভরশীল ডায়াবেটিক রোগীর জন্য ডুমুর খুবই উপকারী।

মেনোপজ পরবর্তী পর্যায়ের জন্য উপকারী
গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, মেনোপজ পরবর্তী পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে ডুমুর সাহায্য করে। খাদ্যআঁশ সমৃদ্ধ ডুমুর খাদ্যতালিকায় রাখার ফলে ৩৪% নারীদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কম দেখা দিয়েছে।

মেনোপজ পরবর্তী পর্যায়ে যেসব নারীরা হরমোন রিপ্লেসমেন্ট পদ্ধতি নেওয়ার সাথে সাথে ডায়েটে সিরিয়াল ফাইবার রেখেছেন, তাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ৫০% কম দেখা গিয়েছে। আঁশসমৃদ্ধ ফল বেছে নেয়ার সময় হোল গ্রিন ফুড যেমন আপেল, ডুমুর, খেজুর বেছে নিন।

হাড় বৃদ্ধিতে সহায়ক
ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। নিয়মিত অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খেলে প্রস্রাবের মধ্যে দিয়ে ক্যালসিয়াম বের হয়ে যায়। ক্যালসিয়ামের এই লস প্রতিরোধ করতে ডুমুরের পটাশিয়াম সাহায্য করে। এই ভাবে ডুমুর হাড় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

হৃদপিণ্ড ভালো রাখে
গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, ডুমুর ও ডুমুরের পাতা ট্রাইগ্লিসারাইড লেভেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে হার্ট ভালো থাকে। এ ছাড়া ডুমুরে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে ম্যাংগানিজ। খাদ্যতালিকায় ডুমুর রাখার চেষ্টা করুন। কারণ বয়সজনিত কারণে নানা অসুস্থতা প্রতিরোধ করতে ডুমুর সাহায্য করে।

অন্যান্য উপকারিতা
ডুমুরে পানির পরিমাণ বেশি থাকার কারণে থেঁতো করা ডুমুর ত্বক পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ করে ব্রণ সারানোর জন্য সাহায্য করে। যাদের দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে তাদের জন্য ডুমুর উপকারী।

কারণ ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। পেটের সমস্যা দূর করতে ডুমুর খুব ভালো কাজ করে। দুর্বলতায় ভোগেন এরকম ব্যক্তির জন্য ডুমুর উপকারী। বিশেষ করে মুখ, জিভ বা ঠোঁট ফাটার সমস্যা ভীষণভাবে থাকলে তা নিরাময় করতে ডুমুর সাহায্য করে। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যায় ডুমুর উপকারী।

ইসলামের বিধান অনুযায়ী মৃত ব্যক্তিকে স্বপ্নে দেখলে জরুরীভাবে যা করা উচিৎ

পরকালে কোন মানুষ কি অবস্থায় আছে তা একমাত্র আল্লাহ পাক ছাড়া কেউ বলতে পারে না। তবে অনেকেই ঘুমের মধ্যে মৃত ব্যক্তিকে স্বপ্ন দেখেন। ধরে নেয়া হয় স্বপ্নের মাঝে মৃত ব্যক্তিকে যে অবস্থাতে দেখা যায়, ওটাই তার প্রকৃত অবস্থা।
অর্থ্যাৎ যদি কেউ মৃত ব্যক্তিকে ভাল পোশাক পরা অবস্থায় বা সুস্বাস্থের অধিকারী দেখে, তাহলে বুঝতে হবে সে ভাল অবস্থায় আছে। আর যদি জীর্ণ, শীর্ণ স্বাস্থ্য বা খারাপ পোশাকে দেখে তাহলে বুঝতে হবে, ভাল নেই। তার জন্য তখন বেশি করে মাগফিরাত কামনা ও দোআ-প্রার্থনা করতে হবে।
ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, বিদ্রোহীরা যখন উসমান (রা)- এর বাসভবন ঘেরাও করেছিল, তখন উসমান (রা) বলেন, আমি গত রাতে স্বপ্ন দেখলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, উসমান আমাদের সাথে তুমি ইফতার করবে। আর ঐ দিনই উসমান (রা) শহীদ হলেন। (আল কাওয়ায়েদুল হুসনা ফী তাবীলির রুইয়া : শায়খ আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আস সাদহান)



আনাস ইবনে মালেক (রা) থেকে বর্ণিত, আবু মূসা আশ আশআরী (রা) বললেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম, আমি একটি পাহাড়ের কাছে গেলাম। দেখলাম, পাহাড়ের উপরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রয়েছেন ও পাশে আবু বকর (রা)। আবু বকর (রা) তার হাত দিয়ে ওমর (রা) এর দিকে ইশারা করছেন। আমি আবু মূসা (রা) এ স্বপ্নের কথা শুনে বললাম, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। আল্লাহর শপথ! ওমর (রা) তো মারা যাবেন! আচ্ছা আপনি কি বিষয়টি ওমর (রা) লিখে জানাবেন?

আবু মূসা (রা) বললেন, আমি ওমর (রা) তার জীবদ্দশায তার নিজের মৃত্যু সংবাদ জানাব, এটা কি করে হয়? এর কয়েকদিন পরই স্বপ্নটা সত্যে পরিণত হল। ওমর (রা) শহীদ হয়ে গেলেন। কারণ, মৃত্যু পরবর্তী সত্য জগত থেকে যা আসে, তা মিথ্যা হতে পারে না। সেখানে অন্য কোনো ব্যাখ্যা দেয়ার সুযোগ নেই। (আল কাওয়ায়েদুল হুসনা ফী তাবীলির রুইয়া : শায়খ আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আস সাদহান)

তাই মৃত ব্যক্তিকে স্বপ্নে দেখলে সর্বাবস্থায় জরুরিভাবে তাদের জন্য দো‘আ ও ছাদাক্বা করা উচিত। মানুষের স্বপ্ন তিন ধরনের হয়ে থাকে (ক) ভাল স্বপ্ন- যা আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ বহন করে (খ) শয়তানের পক্ষ থেকে- যা মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলে (গ) নিজের খেয়াল ও কল্পনা- যা স্বপ্নে দেখা যায় (মুসলিম হা/২২৬৩)।

স্বপ্নে ভাল কিছু দেখলে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবে। চাইলে অন্যকেও সে বিষয়ে অবহিত করবে। আর খারাপ কিছু দেখলে শয়তান থেকে আশ্রয় চাইবে, বাম দিকে তিনবার আঊযুবিল্লাহ বলে থুক মারবে এবং পার্শ্ব পরিবর্তন করবে। কাউকে সে বিষয়ে বলবে না (বুখারী হা/৭০৪৫)।

২ লাখ টাকার অদ্ভূত কালো মোরগ অবাক বিশ্ববাসী

আমি যখন প্রথম শুনেছি তখন মনে হয়েছে ফান করছে আমার সাথে। যখন আমি শুনলাম একটি মোরগ এর দাম বাংলাদেশি টাকায় প্রায় দু লক্ষ টাকা পরে। শুনতে অবাক মনে হলেও শেষ পর্যন্ত যখন জানতে পারলাম তখন অবাকই হয়েছি। সত্যি এই পৃথিবী জুরে বিচিত্র নানা ধরনের পশু পাখির কোন অভাব নেই। প্রতিদিন নতুন নতুন জীব জন্তু, পশু পাখি আবিষ্কার হচ্ছে। তবে আজকে যে মোরগ নিয়ে আলোচনা করবো সেটার বাড়ি কিন্তু ইন্দোনেশিয়া। ইন্দোনেশিয়াতে আইআম ছিমানি নামে কাল রং এর এক জাতের বিশেষ মোরগ রয়েছে যেটা পৃথিবীতে আর কোথাও দেখা পাওয়া যায় না। এই বিশেষ মোরগের জাত অন্য কোথাও দেখা মিলেছে এমনটা এখন পর্যন্ত কেউ শোনেনি। তাই এই বিশেষ মোরগ এর দাম এবং চাহিদা অন্য সকল মোরগের থেকে হাজারগুন বেশী। স্থানীয়ভাবে কাল রং এর এই বিশেষ মোরগকে আইআম ছিমানি নামে ডাকা হয়। যেটা বলার সুবিধার জন্য বাংলাদেশী হিসেবে আসমানী মোরগ বলতে পারি। যদিও আসমানের রংএর সাথে এর মাঝে মাঝে মিল পাওয়া যায় যখন বৃষ্টির আগে খুব কাল রংএর মেঘ দেখতে পাওয়া যায়। ইন্দোনেশিয়ায় স্থানীয় ভাবে আইআম মানে মুরগী আর, জাপানী ভাষাতে ছিমানি অর্থ কুচকুচে কালো। এই রহস্যময় কাল জাতের মোরগ এর আদি নিবাস ইন্দোনেশিয়া এর জাভা প্রদেশে। এই মোরগের শুধু পালকই কাল নয় বরং এদের মাথা থেকে একদম পা পর্যন্ত সব কিছু কুচকুচে কাল। তার মানে পালক, মনি, ঝুঠি, ঠোট, নখ, পাও সবই কুচকুচে কাল।

স্থানীয় চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই মোরগের মাংস অন্যান্য সকল মোরগের থেকে পুষ্টিকর ও উপাদেয়। তবে সবথেকে আশ্চর্য এর বিষয় হলো এই মোরগের মাংস থেকে শুরু করে নারি ভুরি, হার এবং ভিতরের শাস সব কিছুই কুচকুচে কালো রং এর হয়। অন্যান্য মোরগ মুরগীর সাথে এটার শুধু মিল এক যায়গায় আর সেটা হচ্ছে রক্তের রং। রক্ত রং অন্যান্য মোরগ মুরগীর মতোই লাল, তবে মাত্রায় অনেক বেশী গাঢ় হয়। ফলে নিখাদ টকটকে লাল এবং উজ্জল হয়।

উনিশ শত আটানব্বই সালের দিকে সর্ব প্রথম ইউরোপে এই জাতের মোরগের উদ্ভব হয়। এটি মূলত একটি হাইব্রিড প্রজাতির মোরগ। সৌখিন ব্যক্তি যারা মুরগি পালন করেন অথবা মোরগ যুদ্ধের আয়োজন করেন তাদের কাছে এই মোরগ অতিশয় জনপ্রিয়। তবে ইউরোপ এবং আমেরিকায় এই মোরগের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় অনেক কম। আর এই জন্যই সে সব দেশে এই এক একটি মোরগের দাম হাকানো হয় প্রায় ২০০০ থেকে ২৫০০ ডলারের মতো। যেটা বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে প্রায় দুই লাখ টাকার মতো পরে।

Friday 1 January 2016

নতুন বছরে প্রকাশেই ঝড় তুলল সানি লিওনির ‘রোম রোম রোমান্টিক’ (দেখুন ভিডিও সহ)

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সানি লিওন, তুষার কাপুর এবং বীর দাশ অভিনীত মাস্তিজাদে সিনেমার ট্রেইলার। প্রকাশের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৬৩ লাখের বেশি দেখা হয়েছে এ ট্রেইলারটি। আজ মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটির প্রথম গান।


‘রোম রোম রোমান্টিক’ শিরোনামের এ গানে তুষার কাপুর এবং বীর দাশকে দেখা গেছে লাইলা এবং লিলি অর্থাৎ সানি লিওনের সঙ্গে রোমান্স করতে। গানটিতে মাস্তিজাদে সিনেমার বহুল আলোচিত সানির ‘কার ওয়াশ’ দৃশ্যটিও রয়েছে।টি সিরিজের ব্যানারে প্রকাশিত গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন মিকা সিং এবং আরমান মালিক। ‘রোম রোম রোমান্টিক’ গানটি লিখেছেন মনোজ মুন্তাসির। সংগীত পরিচালনা করেছেন অমল মালিক।আগামী ২৯ জানুয়ারি, মাস্তিজাদে সিনেমাটি মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন প্রীতিশ নন্দি এবং রঙ্গিতা নন্দি। সিনেমাটির পরিচালক মিলাপ জাভেরি। অ্যাডাল্ট-কমেডি ঘরানার মাস্তিজাদে সিনেমায় লিলি এবং লাইলা চরিত্রে দেখা যাবে সানি লিওনকে। এতে একটি ক্যামিও চরিত্রে দেখা যাবে রিতেশ মুখকে।
https://youtu.be/CwOXzsDx7Vo

যে জিনিসটি সপ্তাহে ১বার ব্যবহার করলে থাকবে আজীবন যৌবনের নিশ্চয়তা

সৌন্দর্যের দিক থেকে জাপানিজ নারীরা সবসময়েই অনবদ্য। বিশেষ করে তাঁদের ঝলমলে চুল এবং নিখুঁত ত্বকের কারণে। এমন অনেক জাপানিজ চিত্রনায়িকা ও মডেলরা আছেন যাঁদের সত্যিকারের বয়স অনেক বেশি, কিন্তু দেখলে মনে হয় এখনও তরুণী! বিশ্বজুড়েই জাপানিজ নারীদের এই চিরতারুণ্য একটা রহস্যের বিষয় বৈকি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, তাঁদের এই তারুণ্যের পেছনে যে উপাদানটি সবচেয়ে বেশি কাজ করে তা হল ‘ভাত’। কি, অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ, জাপানিজদের বয়স ধরে রাখে ভাতের তৈরি একটি ফেস প্যাক। আসুন তাহলে জেনে নিই সেই জাদুকরী ফেসপ্যাকটির কথা,যে জিনিসটি সপ্তাহে ১বার ব্যবহার করলে থাকবে আজীবন যৌবনের নিশ্চয়তা।



উপকরণ
৩ টেবিল চামচ ভাত
১ টেবিল চামচ মধু
১ টেবিল চামচ গরম দুধ

-চাল সিদ্ধ করুন। অর্থাৎ ভাত রান্না করুন। এবার চাল থেকে পানি আলাদা করে ফেলুন বা মাড় ফেলে দিন।

-গরম ভাত চটকে নিন, নাহলে পরে শক্ত হয়ে যাবে। এর সাথে হালকা গরম বা উষ্ণ দুধ এবং মধু দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন।

-প্রথমে মুখ ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। সম্ভব হলে কোন হালকা ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
-মুখ শুকিয়ে গেলে ভাতের প্যাকটি মুখ ও ঘাড়ে ভাল করে লাগান।

-প্যাকটি শুকিয়ে গেলে ভাত সিদ্ধ পানি বা মাড় দিয়ে মুখ ও ঘাড় ধুয়ে ফেলুন।
-সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।

যেভাবে কাজ করে
ভাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যা ত্বককে ক্ষতিকর উপাদান থেকে রক্ষা করে থাকে ও তারুণ্য ধরে রাখে। তার সাথে সাথে সানবার্নও প্রতিরোধ করে। এছাড়া এতে লিনোলিক এসিড যা ত্বকের বলিরেখা দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। ভাতের মাড়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আছে যা ত্বকের পানির পরিমাণ বজায় রাখার পাশপাশি রক্ত চলাচল ঠিক রাখে।