Saturday 2 January 2016

অপ্রত্যাশিত যৌন মিলনে নারীদের বেশি ক্ষতি!

বিয়ের আগে যৌন মিলনের জন্য সব ধর্মেই নিষেধ আছে। তারপরও অবাধে চলছে অপ্রত্যাশিত যৌন মিলন।

বর্তমানে অনেক উঠতি বয়সী মেয়েরা এ ধরনের শারীরিক সম্পর্ককে আধুনিকতা মনে করে থাকে। অথচ বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের ফলে যে সমস্যা দেখা দেয় তা পোহাতে হয় নারীদেরকেই। তাই সাবধান হোন এবং জেনে নিন অনাকাঙ্খিত সমস্যাগুলো সম্পর্কে।

অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ:
বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের সবচেয়ে ভয়াবহ যে সমস্যাটি হতে পারে তা হলো অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ। নিরোধক ব্যবহারের পূর্ব পরিকল্পনা না থাকা, আবেগের বশে হঠাৎ করেই যৌন সম্পর্ক করা ইত্যাদি এর অন্যতম কারণ। শারীরিক সম্পর্কের চিহ্ন ধারণ করে সাধারণত মেয়েরাই। কোনো মেয়ের শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে কি না তা ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়, কিন্তু ছেলেদের যায় না। একইভাবে গর্ভধারণের যাবতীয় সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয় শুধু মেয়েদেরই।

ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভপাত :
বিয়ের আগে গর্ভধারণ করে ফেললে তখন গর্ভপাত করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। গর্ভপাত একটি ঝুঁকিপূর্ণ প্রক্রিয়া। এতে যেমন শারীরিক ক্ষতি হয় তেমনি মানসিক ক্ষতির সম্মুখীনও হতে হয়। গর্ভপাতের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণসহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। এর দীর্ঘমেয়াদী কুফলও রয়েছে। যেমন পরবর্তীতে গর্ভধারণে সমস্যা হওয়া বা গর্ভধারণ করতে না পারা ইত্যাদি। প্রথম সন্তান জন্মদানের আগে গর্ভপাতের ঘটনা ঘটলে পরবর্তীতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সন্তান ধারনে সমস্যা দেখা দেয়। গর্ভপাতের মানসিক ক্ষতিও কম নয়। সন্তান হারিয়ে অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এমনকি অনেকে বিকারগ্রস্ত পর্যন্ত হয়ে পড়ে।

জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল ও অন্যান্য ঝুঁকি :
বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের কারণে অনেকেই জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল বা অন্যান্য ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন। অনবরত জন্মনিয়ন্ত্রণের পিল গ্রহণ অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ রোধ করলেও ডেকে আনতে পারে মারাত্মক সব সমস্যা। এর মধ্যে অন্যতম হলো সন্তান ধারণের ক্ষমতা হারানো। প্রথম সন্তান জন্মের আগেই দীর্ঘদিন পিল গ্রহণের ফলে পরবর্তীতে গর্ভধারণে ঝুঁকি হতে পারে, হতে পারে বারবার গর্ভপাতের সমস্যা। এছাড়া হরমোনের সমস্যা, মুটিয়ে যাওয়া, খাবারে অনীহা, সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

0

No comments:

Post a Comment