Thursday 31 December 2015

যে কারণে নারীদের যৌন উত্তেজনা চরমে পৌঁছায় ২৬ বছর বয়সে (ভিডিওসহ)

সম্প্রতি সান ফ্রান্সিসকোতে হওয়া এক সমীক্ষার মাধ্যমে বলা হয়েছে, নারীদের যৌন উত্তেজনা চরমে পৌঁছায় ২৬ বছর বয়সে। আর পুরুষদের যৌনতা চরমে পৌঁছায় ৩২ বছরের পর।তবে সমীক্ষাটি বেশি বড় আকারের ছিল না। এই সমীক্ষায় ১৮-৬৫ বছর বয়সের মাত্র এক হাজার প্রাপ্তবয়স্কের মতামত নেওয়া হয়। আয়োজনটির উদ্যোক্তা আটলান্টার সেক্স খেলনা প্রস্তুতকারক কোম্পানি লাভহানি ডটকম।


অন্যদিকে এই সমীক্ষায় এটাও বলা হয় যে, সান ফ্রান্সিসকোর নারীরা তাদের জীবনে ২৪ বছর বয়সেই সবচেয়ে বেশি যৌনতা উপভোগ করেন। সে ক্ষেত্রে পুরুষরা যৌনতার আস্বাদ গ্রহণ করেন ২৭ বছরের পরবর্তী সময়ে।

সমীক্ষায় দেখা যায়, অধিকাংশ নারীই যৌনতার প্রথম স্বাদ গ্রহণ করেছেন ১৮ বছরের পর। কিন্তু সেক্ষেত্রে আবার পুরুষরা ১৭ বছরের গোড়ার দিকেই প্রথম যৌনতা উপভোগ করেছেন। দেখা যায়, পুরুষদের প্রথম যৌন অনুভূতি উপভোগ করার পর প্রায় ১৫ বছর পরে তারা যৌনতাকে সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে নারীরা প্রথম যৌনতার আস্বাদ নেওয়ার ১০ বছর পরেই যৌনতাকে চূড়ান্তভাবে উপভোগ করতে পারেন।
https://youtu.be/RhvBF5eNh0o

কোন ধরণের ভুঁড়ি কেন হয় এবং কিভাবে কমে?

আজকের ফ্যাশনের দুনিয়ায় ভুঁড়ি একটি বড় বিড়ম্বনার কারণ। এই সমস্যা যার আছে সেই বোঝে। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কত কি না করেন। কিন্তু তার কোনওটিই কার্যকরী হয় না। তার একটি কারণ আছে। ভুঁড়ি সকলের এক রকম হয় না। তাই তার সমাধানও এক হয় না। কারও ভুঁড়ি কিছুতে কমেছে শুনে আপনিও তাই করতে সুরু করলেন কিন্তু লাভ হল না। আপনিও ক্লান্ত হয়ে ভাবলেন এই ভুঁড়ি কমান নয়। আসলে ব্যাপার তা নয়। আপনাকে ভুঁড়ি কমানোর উপায় জানার আগে জানতে হবে আপনার ভুঁড়ির ধরণ এবং কারণ কি। তার পরে তার সমাধান। এরকম কয়েকটি ভুঁড়ির নমুনা দেওয়া হল। দেখুন কোনটি আপনার সমস্যা।
১) নিচু ভুঁড়ি
আপনার ভুঁড়ি যদি নিচু হয়ে থাকে, তবে তার মানে হতে পারে আপনি বেশ স্ট্রেসে আছেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা নিজেদের কাজের ব্যাপারে খুব খুঁতখুঁতে হন তাদের থাকে এমন ভুঁড়ি। এই ভুঁড়ির প্রধান কারণ হল বদহজম। স্ট্রেসের কারণে তাদের ঘুম ও খাওয়ায় অনিয়ম হয় ফলে হয় বদহজম। এর থেকে পেট ফাঁপে যার ফলে ভুঁড়ি তৈরি হয়। হাসিখুশি মানুষের তুলনায় তাদের শরীরে কর্টিসল নামের হরমোন বেশি উৎপাদন হয়ে থাকে।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমেই রিল্যাক্স করতে হবে। কমিয়ে ফেলতে হবে জাঙ্ক ফুড খাওয়া এবং ক্যাফেইন দিয়ে তৈরি পানীয় পান। কিন্তু তাই বলে খাওয়া বাদ দেবেন না। বার বার অল্প করে খাবার খেতে থাকুন। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে সেটাও বাদ দিন।
২) খুব নিচু ভুঁড়ি
সাধারণত রোগা মানুষের এমন ভুঁড়ি থাকে যা বেশি নিচু। এ থেকে বোঝা যায় তারা পরিশ্রম বেশি করেন। বিশেষ করে নারীদের এই ভুঁড়ি বেশি দেখা যায়। যারা নিজেদের যত্ন নেন না বা নেওয়ার সময় পান না পরিশ্রমের জন্য, তাদের ভুঁড়ি নিচু হয়ে থাকে। তাদের মধ্যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাওয়ার অভ্যাসও দেখা যায়।
এই ভুঁড়ি থাকলে প্রথমেই আপনার খাদ্যভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। ব্যালান্সড ডায়েট অনুযায়ী খাওয়া দাওয়া করতে হবে। খাদ্যে বৈচিত্র্য আনুন। আর সময় পেলে ব্যায়াম করুন। নিজের প্রতি যত্ন নিন।
৩) টায়ারের মতো ভুঁড়ি
দিনের বেশীরভাগ সময়ে বসে বসে কাটালে শরীরের চারপাশে বেড় দেওয়া এমন টায়ারের মতো ভুঁড়ি তৈরি হয়। এমন পেট দেখলেই মনে হয় মানুষটি মোটেই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করেন না। কিন্তু এমন ভুঁড়ি কমিয়ে ফেলা আসলে সব থেকে বেশি সহজ।
এই ভুঁড়ি হয়েছে মানে আপনি সম্ভবত বেশি চিনি অথবা শর্করা খান বেশি। এছাড়াও আপনি মন খারাপ থাকলে খেতে থাকেন। এসব কারণে আপনার ভুঁড়ি বাড়ে। একটু সচেতন হয়ে চলুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান, ফলমূল খান বেশি করে। ভুঁড়ি কমতে সময় লাগবে না।
৪) ফাঁপা ভুঁড়ি
ঘুম থেকে উঠে দেখলেন পেট স্বাভাবিক। অথচ দিনের শেষে দেখলেন পেট ভারী হয়ে গিয়েছে, পোশাকের ওপর দিয়ে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ভুঁড়ির অবয়ব। এর মানে আপনার ফাঁপা ভুঁড়ি। এটা মোটা বা রোগা দুই ধরণের মানুষেরই হতে পারে। এর কারণ হল মূলত হজমে সমস্যা।
অনেক সময়ে কিছু কিছু খাবার আমাদের সহ্য হয় না অথচ আমরা এ ব্যাপারে খেয়ালও করি না। যেমন অনেকেরই দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেলে প্রচন্ড গ্যাস হয়, তাতে ভুঁড়ি বাড়ে। অথচ তিনি দিনের পর দিন দুধ-চা পান করে চলেছেন। আবার কারও কারও বিশেষ কোনও সবজি বা মাংস হজম করতে সমস্যা হতে পারে। এই খাবারগুলোকে চিহ্নিত করুন এবং হজমে সমস্যা হয় এমন খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিন। তাহলেই পেট ফাঁপা কমে যাবে।

সেক্স করা কি সত্যিই জরুরি ?

জীবনকে সুন্দর ও সহজ করে তুলতে আপনার প্রয়োজন সেক্স। তবে শুধু সেক্স হলেই হবে না, সেক্স হতে হবে আনন্দদায়ক ও নিয়মিত। এমনকি নিয়মিত আনন্দদায়ক সেক্স বাড়িয়ে দিবে আয়ু। নতুনদিনের পাঠকদের জন্য এই বারের আয়োজন সেক্সের উপকারিতা।মানসিক চাপ কমান : সেক্স মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। মানসিক চাপ কমানোর আর কোন উপায় হাতের কাছে না থাকলে সেক্স হতে পারে সহজ ও কার্যকর কৌশল।

সেক্সের সময় ডোপামিন হরমোনের ক্ষ

রণ বেড়ে যায়। ডোপামিনকে বলা হয় ‘সুখের হরমোন’। ডোপামিন কয়েক ধরণের হরমোনের কার্যক্ষমতা কমায় যেমন, এন্ড্রোমিন। মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে এন্ড্রোমিনের ক্ষরণ বেড়ে যাওয়া।

ব্যয়াম হিসেবে নিতে পারেন : সেক্সকে শরীর চর্চা হিসেবেও নিতে পারেন। সেক্স করার সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যায়। ফলে, শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে পারে না। হিসেব করে দেখা গেছে, সপ্তাহে তিনবার মোট পনের মিনিট সেক্স করলে বছরে ৭.৫ ক্যালরি চর্বি শক্তিতে

রুপান্তরিত হয়। বিস্ময়কর হলেও সত্যি সপ্তাহে তিনবার করে মোট পনের মিনিট সেক্স করলে ৭৫ মাইল হাটার সমান শক্তি ক্ষয় হয়। এছাড়া সেক্সের মতো শরীর চর্চা করলে কোষে অক্সিজেনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে পেশী ও হাড় আরো শক্তিশালী হয়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সেক্স : সেক্স করার সময় রক্তচাপও কমে যায়। তবে, শুধুমাত্র সেক্স নয়, সেক্সের সময় আবেগের প্রকাশ করতে গিয়েও রক্তচাপ স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসে। এমনই একটি কাজ হচ্ছে, যৌনসঙ্গীকে জড়িয়ে ধরা।

সেক্স রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে : সেক্স রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। সর্দি-কাশির মতো রোগ সারিয়ে তুলতে চিকিৎসকের পরামর্শ না চেয়ে শরনান্ন হতে পারেন যৌনসঙ্গীর। আমাদের শরীরে ফ্লু’র মতো রোগ প্রতিরোধ করে ইমিউনোগ্লোবিন এ। সেক্সের পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে শরীরে ইমিউনোগ্লোবিন এ’র পরিমান বাড়তে থাকে।

তারুণ্য ধরে রাখুন : অনেকেই তরুণ থাকতে চান। তাদের জন্য তো কথাই নাই। তারুণ্য ধরে রাখতে যৌনসঙ্গীর গুরুত্ব অপরিসীম। একজন স্কটিস গবেষকের মতে, সপ্তাহে তিনবার সেক্স করলে আপনার বয়স কমপক্ষে ১০ বছর কম মনে হবে।

হৃদয়ের যত্ম নিতে সেক্স : হৃদপিণ্ডের যত্ন নিতেও নিয়মিত সেক্স করতে পারেন। এমনকি সেক্স মানুষকে হার্ট এ্যাটাকের মতো বিপদ থেকেও বাঁচিয়ে দিতে পারে। তবে শর্ত একটাই সেক্সের সমগ্র প্রক্রিয়াটি উপভোগ্য হতে হবে। নিউ ইংল্যান্ড রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের গবেষণা মতে, কোন পুরুষের যৌন জীবন স্বাভাবিক হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৪৫ ভাগ কমে যায়।

ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য : এমনকি আপনি যদি মাইগ্রেনের রোগী হোন কিংবা শরীরে ব্যথাজনিত সমস্যা থাকে তাহলেও সমস্যা সমাধানের উপায় হিসেবে সেক্সকে বেছে নিতে পারেন।

পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে : কারও বন্ধু বা বান্ধবীকে নিয়ে মনে সন্দেহ জাগতেই পারে। সাধারণতো সন্দেহ আর ঝগড়া করেই তখন প্রেমিক-প্রেমিকাদের সময় যায়। ফলে, সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সন্দেহ জাগলে কোন কথা নেই। সেক্সই হচ্ছে কার্যকর সমাধান। সেক্স করলে অক্সিটোসিন নামের হরমোনের সক্রিয়তা বাড়ে। অক্সিটসিন প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে বিশ্বাস ও আস্থা বাড়াতে সহায়তা করে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমান : নিয়মিত বীর্যক্ষরণ হলে প্রোস্টেট ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমে যায়।অস্ট্রেলিয়ায় একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল পুরুষ মাসে কমপক্ষে ২১ বার বীর্যপাত ঘটিয়েছেন তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে গেছে।

পেশীর শক্তি বাড়ান : সেক্স করার সময় শরীরের একাধিক পেশী কাজে লাগে। শরীরের একাধিক পেশীসহ মুত্রথলি ও মলাশয়ের পেশীগুলোও নিয়মিত সেক্স করার ফলে স্বাস্থ্যবান হয়ে ওঠে।

ভাল ঘুমের জন্য সেক্স : ভাল শরীর চর্চা হিসেবে সেক্সের জুড়ি নাই। তাই, যাদের ঘুমের সমস্যা তাদের জন্য সেক্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত সেক্সের ফলে শরীর ও মন ভাল থাকে। ফলে, রাতে ঘুমের সমস্যা হয় না।

রজঃচক্র স্বাভাবিক রাখুন : মানসিক চাপের কারণে কখনও কখনও রজঃচক্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আপনিতো জানেনই মানসিক চাপ কমানোর জন্য সেক্সের জুড়ি নাই। তাই রজঃচক্রে অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে মনযোগ দিন যৌন জীবনে। নিয়মিত সেক্স করলে আপনার রজঃচক্র স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। এছাড়া, সেক্স করলে শরীরে এমন কতগুলো হরমোনের নিঃসরন যেগুলো রজঃচক্রকে স্বাভাবিক রাখে।

দীর্ঘদিন বাঁচুন : মানসিক চাপ মুক্ত থাকা দীর্ঘ আয়ুষ্কালের অন্যতম কারণ। যেহেতু সেক্স মানসিক চাপ কমায় তাই সেক্স আয়ুষ্কালও বাড়ায়।

Wednesday 30 December 2015

PSC Exam Result 2015. Primary Education School Certificate Result Will be Publish 31 December, 2015. Primary School Certificate Examination Result 2015 will be published in grading system. That is, result will be based on Grande Point Average in brief GPA. PSC result 2015 exam Bangladesh and another country who are competing from Riyadh, Jeddah, Abu Dhabi, Bahrain, Dubai, Qatar, Tripoli and Oman. Primary School Certificate Examination Result 2015 will be published in grading system. PSC Result Will Publish 31 December, 2015.

PSC Result Will Publish 31 December, 2015 at 12.00 PM

PSC Result 2015 will be published 31-12-2015. There are couple of way to find psc/Ebt Result. Online way, SMS way and From School Notice Board. So We Provide here some way to get PSC/EBT Result.

Click Here For Result and Follow Below Step:

Select your Exam name such as PSC or EBT
Select your District Name
Select your Thana/Upzilla Name or Code
Select your Passing Year
Give your Exam Roll and Submit For Get Result

Find Result by Send SMS

SMS format for General students:

DPE<space>Thana/Upazila Code Number<space>Roll Number<space>Send to 16222

Exp: DPE 43 3456 and send 16222

SMS format for Ebtedayee students:

EBT<space>Thana/Upazila Code Number<space>Roll Number<space>Send to 16222

Exp: EBT 43 3456 and send 16222
PSC Result Server Will be Busy When Publish Result. So Students Will be not able to get result easily. We Will Provide here Some way to get Result easily. Easily way Details Will be found Before Publish Result. So keep eye on our site.

PSC Exam Scholarship Result 2015. Primary School Certificate Scholarship 2015 Result Was Published February, 2016. Now Time To Published PSC Scholarship Result. So PSC Scholarship Result 2016 dpe.gov.bd Will be Found our Website. PSC Scholarship Result Will be Published 15 February, 2016. This Year PSC Passed Rate 98.96%. Now Students are Eagerly Waiting For PSC Scholarship Result 2014.

Download Primary School Certificate (PSC) Scholarship Result 2014-15

PSC & EBT exam Scholarship result Will be publish 15 February, 2016 at 5.00 om.

PSC Scholarship Result Has Been Published. See Your Result
District Wise Result Has Been Published
Primary school certificate (PSC) and Ebtedayi Exam (EBT) exam 2015 was held on November 2015 and continued up to November 30, 2015. Education Minister Nurul Islam Nahid informed about  Primary school certificate (PSC) exam result 2015 and EBT exam result 2015 will be publish on 30th December 2015.

PSC Scholarship Result 2014 Will be Published two (o2) Categories.

1. Talent Pool Scholarship
2. General Scholarship

PSC Scholarship Result 2015:

Dhaka Board PSC Scholarship Result 2015

Barisal Board PSC Scholarship Result 2015

Jessore Board PSC Scholarship Result 2015

Comilla Board PSC Scholarship Result 2015

Chittagong Board PSC Scholarship Result 2015

Rajshahi Board PSC Scholarship Result 2015

Sylhet Board PSC Scholarship Result 2015

PSC Exam Routine 2016

Directorate of Primary Education (DPE) has been published Primary School Certificate (PSC) Examination Routine 2016. Primary School Certificate (PSC) Examination will be started on 20th November, 2016 and ended on 28th November 2016. PSC/Primary school certificate examination is also known as prathomik shikkha somaponi porihkkha. In Madrasa education board it is known as Ebtedayi examination.

PSC (Primary Education) Exam Will be begin from 23rd November, 2016. PSC Exam Will be Start with English Subject and it will be completed by the subject math. PSC and PEC Exam Starts same time and same day all over the country.


Dhaka Board PSC Scholarship Result 2015

Barisal Board PSC Scholarship Result 2015

Jessore Board PSC Scholarship Result 2015

Comilla Board PSC Scholarship Result 2015

Chittagong Board PSC Scholarship Result 2015

Rajshahi Board PSC Scholarship Result 2015

Sylhet Board PSC Scholarship Result 2015


জেনে নিন গার্লস হোস্টেলের ১০টি গোপন কথা

গার্লস হোস্টেল এক এমন ঠিকানা যেখানে স্বাধীনতা, মজা আর ফ্যাশনের মকটেল তৈরি হয়৷ এখানেই শেষ নয়৷ অনেকসময় সাধারন লোকের চর্চায় বিষয় হয়ে ওঠে গার্লস হোস্টেলের অন্দরমহল৷ জেনে নিন গার্লস হোস্টেলের ১০ গোপন কথা-

গার্লস হোস্টেলে থাকা মেয়েদের সবচেয়ে ভাল টাইমপাস হল সেলফি৷ কখনও একার বা কখনও সকলে মিলে গ্রুফি তুলেই তাদের দিন বেশ ভালো ভাবেই কেটে যায়৷

২. সম্পর্কের রসায়ন:

বাড়ি ঘর ছেড়ে একা থাকতে আসা মেয়েদের সবচেয়ে ভরসার মানুষ হয়ে ওঠে তার রুমমেট৷ এই রুমমেটরাই তখন মেয়েটির ফ্রেন্ড ফিলোজফার অ্যান্ড গাইড৷ নতুন প্রেম বা প্রেমে ভাঙন সবকিছুতেই রুমমেটরা জ্ঞান দিতে থাকেন৷

৩. এক্সারসাইজ সেশন: হোস্টেলে বসেই মেয়েরা একে অপরকে নিয়ে পিএনপিসিতে মেতে ওঠেন৷ কে মোটা কে রোগে এই নিয়ে তাদের অলোচনা দীর্ঘ৷ এবার কেউ যদি বলে এক্সারসাইজ করা জরুরী তাহলে আর কথা নেই৷ গোটা হোস্টেল তখন যোগ গুরু হয়ে ওঠে৷ কিন্তু সবচেয়ে মজার বিষয় হল এক সপ্তার মধ্যেই শরীর চর্চা কেবল কথাতেই থেকে যায়৷

৪. না পছন্দ হোস্টেলের খাবার: প্রতিদিন গার্লস হোস্টেলের অন্দরে ন্যাশনাল ইস্যু হয় তা হল খাবার৷ কখনও ডালে নুন বেশি তো কখনও আধ সেদ্ধ চাল নিয়েই চলে তাদের তর্ক৷

৫. দূরভাষে বাক্যালাপ: হোস্টেলের প্রতিটা কোণে একটা দৃশ্য একেবারে কমন৷ হোস্টেলের প্রতিটা কোণা খাপচিতে একজনকে দেখা যাবে ফোনে কথা বলতে৷ তবে তা অবশ্যই দু-চার মিনিটের ব্যাপার নয়৷ রাত গড়িয়ে সকাল হয়ে গেলেও তাদের কথা শেষ হওয়ার নয়৷

৬. অনলাইন শপিং: হোস্টেলে থাকা মেয়েরা যে কি পরিমাণে অনলাইন শপিং করেন তা কল্পনার অতীত৷ কেউ একজন যদি ভুল করেও বলেন যে অমুক সাইটে জুতোয় ছাড় দিচ্ছে, ব্যস সকলে মিলে ল্যাপটপ বা মোবাইলে বুকিং শুরু করে দেবেন৷

৭. পোষাক বদল: প্রতিদিনই মেয়েরা তার আলমারির সামনে দাঁড়িয়ে অন্তত ১০ মিনিট ভাবেন আজ কি পড়ব? ফাইনালি যখন কিছুই মন পছন্দ হয়না তখন নিজের আলমারি ছেড়ে তার বান্ধবীর আলমারীতে উঁকি মারা শুরু করেন৷ শুরু হয় পোষাক আদান-প্রদান৷ আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন, আমাদের ফেইজবুক-এ লাইক দিয়ে

৮. ঘরসজ্জা: হোস্টেলের ঘর কেউ কেউ এমন ভাবে সাজান তাতে দেখলে মনে হবে তারা সারাজীবন ওই ঘরেই থাকবেন৷ আর ঘর সাজানোর সবচেয়ে সাধারণ বস্তু হল পরিবার আর বন্ধুদের সঙ্গে তোলা বিভিন্ন কায়দার ছবি৷

৯. সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা: সবাই হয়ত বিশ্বসুন্দরীর খেতাব পাননি কিন্তু হোস্টেলের মেয়েরা সকলেই নিজেকে ঐশ্বর্য রাই মনে করেন৷ হোস্টেলের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য হল নাচ আর মডেলিং সেশন, যেটা শুরু হয় রাতে খাওয়ার পর৷ সেই দৃশ্য দেখে আচ্ছা আচ্ছা লোক হাঁ হয়ে যেতে পারেন৷

১০. ক্যাট ফাইট: হোস্টেলে যে সবাই সবার বন্ধু এমনটা ভাবা একেবারেই ভুল৷ সেক্ষেত্রে কারোর মধ্যে একবার ঝগড়া লাগলে সে জল অনেক দূর অবধি গড়ায়।

বিয়ের প্রথম রাতে সে জিজ্ঞেস করলো আমার কারো সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল কিনা...

আমি যখন ৮ম শ্রেণীতে তখন এক ছেলের সাথে আমার সম্পর্ক হয়। একই শ্রেণীতে পড়তাম। ছেলের ছোট এক বোন ছিল। ছেলেটির বাসা অনেক দুরে কিন্তু তার বাবা এখানে চাকুরি করতো।
৮ম শ্রেণীর শেষের দিকে তার বাবা চাকুরি ছেড়ে বাড়িতে চলে যায়। এসময় সে বিদ্যালয়ে থেকে পরীক্ষা শেষ করে বাড়িতে চলে যায়। এরপর প্রায় ছয় মাস পর পর দেখা হতো আর কথা হতো প্রায় এক মাস পর। তার জীবনের সবকিছু আমাকে জানাতো, আমিও কিছু কিছু জানাতাম। তার ছোট বোন আমাদের সম্পর্কের কথা মায়ের কাছে বলেছিল। এথেকে দুই পরিবার জানাজানি হয় এবং ঈদ উপলক্ষে তার বাবা আমাকে দেখতে আসে। কথা হয় যে পড়াশোনা শেষ হলে বিয়ে হবে।
ছেলেটি সাদাসিধা। আমাকে সে অনেক বিশ্বাস করতো। আমি কলেজে ওঠার পর সে একটা মোবাইল দিয়েছিল কথা বলার জন্য। কিন্তু বিয়ের প্রথম রাতে সে দৈহিক সম্পর্ক করার পর আমাকে জিজ্ঞেস করল আমার করো সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল কিনা। আমি না বলেছিলাম। সে আমার হাত মাথায় রেখে আবার প্রশ্ন করল। আমি কেঁদে বললাম আমার চাচাত ভাই আমাকে জোরপুর্বক করেছিল। সে জানতে চাইল কবে। আমি বললাম ৯ম শ্রেণীতে থাকতে। সে বলল আমাকে জানাওনি কেন? তুমি আমাকে এতটা কষ্ট দিতে পারলে? আমিও যে তাকে খুব ভালবাসি, তার কষ্ট আমি দেখতে পারছিনা । এখন আমি কী করব?



দেখুন আপু, আপনার পরিস্থিতিটা আসলেই বেশ ঘোলাটে হয়ে গিয়েছে। আপনি চিঠিতে বিস্তারিত অনেক কিছুই লেখেন নি। যেমন ধরুন, বিয়ে হয়েছে কতদিন বা কত বছর বয়সে। ঠিক কত বছর আপনারা প্রেম করেছেন। ছেলেটি কী করে। চাচাতো ভাইয়ের সাথে ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছিল ইত্যাদি। তবে আমি ধরে নিচ্ছি অনেকদিন প্রেমের পরই বিয়ে হয়েছে এবং এখনো আপনারা সংসার করছেন।
হ্যাঁ আপু, ভুলটা আপনার হয়ে গিয়েছে। জীবনের এই দুর্ঘটনা বিয়ের আগেই স্বামীকে বলে নেয়া অত্যন্ত জরুরী ছিল। সেটা যেহেতু বলেন নি, মানুষটি মনে করছে আপনি তাঁর সাথে প্রতারনা করছেন। অন্যদিকে এটাও সত্য যে আপনার ভালোবাসার চাইতে আপনার শরীরের শুদ্ধতাকেই তিনি বেশি মূল্য দিচ্ছেন, বুঝতে পারছেন না যে আপনার সাথে অন্যায় হয়েছিল। ভালোবাসার চাইতে শরীরটাই তাঁর কাছে মুখ্য হয়ে উঠছে।
যাই হোক, এখন আপনার একটাই করণীয় সেটা অচ্ছে স্বামীর রাগ প্রশমিত অবার অপেক্ষা করা। আপনি তাঁকে কী হয়েছিল সব বিস্তারিত খুলে বলুন। সাথেও এটাও বলুন যে আপনি ভয় পেয়েছিলেন যে সব জানলে সে আপনাকে ত্যাগ করবে। হারানোর ভয়ে বলেন নি। একইসাথে এটাও জানতে চান যে এখানে আপনার কী দোষ? আরেকজনের অন্যায়ের জন্য স্বামী আপনাকে কেন শাস্তি দিচ্ছেন? তারমানে কি তাঁর কাছে আপনার শরীরটাই সব?
নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে থাকুন। সংসার আগলে রাখুন। তিনি যদি সত্যি আপনাকে ভালোবেসে থাকেন তো আপনার কষ্ট বুঝবেন ও সব ভুলে আপনার পাশে দাঁড়াবেন। আর ভালোবাসা না থাকলে আসলে ছেড়ে যাওয়ার বাহানার অভাব হয় না। তাঁরও হবে না।
পরামর্শ দিয়েছেন-
রুমানা বৈশাখী


বিশেষ দ্রষ্টব্য
আমি কোন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক বা আইনজীবী নই। কেবলই একজন সাধারণ লেখক আমি, যিনি বন্ধুর মত সমস্যাটি শুনতে পারেন ও তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু পরামর্শ দিতে পারেন। পরামর্শ গুলো কাউকে মানতেই হবে এমন কোন কথা নেই। কেউ যদি নতুন কোন দিক নির্দেশনা পান বা নিজের সমস্যাটি বলতে পেরে কারো মন হালকা লাগে, সেটুকুই আমাদের সার্থকতা। কেউ ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করে বা কাউকে না জানিয়ে গোপনে পরামর্শ চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন এই পেজে। লিঙ্ক-

বছর খানেক আগে জানতে পারি আমার স্বামীর সঙ্গে তার মামাত বোনের..

আপু অনেক দিন ধরে লিখতে চেয়েও লিখিনি। কিন্তু অনেক কষ্ট নিয়ে চিঠিটা লিখছি। খুব উপকৃত হব উওর পেলে। আমার স্বামী আমার চেয়ে বয়সে ১১ বছরের বড়। আমাদের ৪ বছরের একটি সন্তানও আছে। কিন্ত বছর খানেক আগে জানতে পারি আমার স্বামীর সঙ্গে তার মামাত বোনের সাথে সম্পর্ক ছিল। আমার স্বামী আমাকে অনেক ভালবাসেন। তাই কখনো সন্দেহ হয়নি।

পরিবারের অমতের কারণে তাদের বিয়ে হয়নি। সেই মেয়েরও বিয়ে হয়ে গেছে। কিন্ত সে এখনো বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাসায় আসে। আমার তার সাথে দেখা হয়। তার বিভিন্ন আচার আচরণে আমি বুঝে ফেলি যে আমার স্বামীর সাথে তার কিছু ছিল। যেমন আমার বাচ্চাকে বেশি কেয়ার করা। পরে স্বামীকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে যে হ্যাঁ, বিয়ের আগে তাদের সম্পর্ক ছিল। আমি পুরো ভেঙে পড়ি। যদিও জানি ওটা অতীত এবং স্বামী কখনোই সন্দেহ জনক কোনও কাজ করনি। তবুও সারাটা জীবন এই মেয়ের আসে পাশে থাকতে হবে ভেবে মানতে পারছি না।
আমার স্বামী লন্ডনে থাকেন। ৬ মাস পর পর আসেন। আমার স্বামী এ-ও বলে যে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়েছিল এক দু বার। আমাদের অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ। এসব জানার আগে কোন উপায় ছিল না। ভিতরে ভিতরে পুড়ে মরছি। কাউকে কিছু বলতে পারছি না। ওর সাথে জীবন এখন বিভীষিকা লাগে। বাচ্চাটা না থাকলে ছেড়ে দিতাম। কিন্ত থাকতেও পারছিনা ওর সাথে। কারণ ওই মেয়ে এখনো তো আছে আমাদের মধ্যেই। কী করব বুঝতে পারছিনা। যদিও স্বামী আশ্বস্ত করে যে এমন কিছু করবে না তবুও কি বিশ্বাস। এক সময় ওই মেয়ের জন্যই সে পাগল ছিল। কী করব কোন উপদেশ দিন প্লিজ।


আপু, আপনাকে অনুরোধ করছি, প্লিজ নিজের জীবনে নিজের হাতে আগুন জ্বালবেন না। প্লিজ। যদি এভাবেই চলতে থাকে, একদিন এটার জন্য অনেক বেশি আফসোস করতে হবে আপনাকে। অনেক বেশি। প্লিজ আপু, আপনার ভুল ধারণা গুলো ঝেরে ফেলুন।

প্রথমেই বলছি, আপনার স্বামীর কোন দোষ নেই। একেবারেই না। আপনি আবেগের বশে ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাঁকে সইতে পারছেন না। একটি বার এটা ভাবছেন না যে মানুষটির ওপরে কী কী গিয়েছে। পিতা মাতা জোর করে আপনার সাথে বিয়ে দিয়েছেন, সে করেছে। অন্য ছেলেদের মত আপনার অমর্যাদা করেনি, আপনাকে কষ্ট দেয়নি, উলটো অনেক ভালবেসেছে। শুধু তাই নয়, আপনাকে সব সত্যি কথাও অকপটে বলে দিয়েছে। আর সেই মানুষটাকে কী করছেন আপনি? ভালোবাসা দিয়ে তাঁর জীবন ভরিয়ে দেয়ার বদলে তাঁকে কষ্ট দিচ্ছেন। এতটা স্বার্থপর হলে কি চলে আপু?
অতীত কার থাকে না, সবার থাকে। আপনারও আছে। আপনার স্বামী বা মামাতো বোন, কেউই তো আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে না বা আপনার সাথে প্রতারনা করছে না। কেন আপনি অযথা ভুল বুঝে সন্দেহ করছেন আর অশান্তি ডেকে আনছেন নিজের জীবনে? মেয়েটি আপনার সন্তানকে আদর করে, এটা কি খারাপ কিছু? মোটেও না। আপনাদের সন্তান হওয়ায় মেয়েটি খুশি হয়েছে, তাই আদর করে। আর সম্পর্কে তো সে বাচ্চার ফুপি, আদর করবে না? মেয়েটির মনে যদি ঈর্ষা থাকতো, সে কখনোই আপনার বাচ্চাকে আদর করতে পারতো না আপু।
অকারণে নিজের সংসার ধংস করবেন না। স্বামীকে ভালবাসুন, এত বেশি ভালবাসুন যে অতীতের কষ্ট যেন তিনি ভুলে যান। নতুবা একদিন আপনার স্বামীকে ছাড়তে হবে না, স্বামীই আপনাকে ছেড়ে দেবেন। অশান্তি তৈরি করে আপনি অকারণেই কেবল স্বামীকে পরকীয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। আর সম্ভব হলে সেই মামাতো বোনের সাথে সম্পর্ক সুন্দর করুন। এটাই বড় মনের পরিচায়ক।
পরামর্শ দিয়েছেন-
রুমানা বৈশাখী



বিশেষ দ্রষ্টব্য
আমি কোন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক বা আইনজীবী নই। কেবলই একজন সাধারণ লেখক আমি, যিনি বন্ধুর মত সমস্যাটি শুনতে পারেন ও তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু পরামর্শ দিতে পারেন। পরামর্শ গুলো কাউকে মানতেই হবে এমন কোন কথা নেই। কেউ যদি নতুন কোন দিক নির্দেশনা পান বা নিজের সমস্যাটি বলতে পেরে কারো মন হালকা লাগে, সেটুকুই আমাদের সার্থকতা। কেউ ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করে বা কাউকে না জানিয়ে গোপনে পরামর্শ চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন এই পেজে। লিঙ্ক-
https://www.facebook.com/apoardoctor/

ভয়ানক একটি পিশাচ এর ঘটনা। বাচ্চারা এই পোস্ট টি পড়বেন না!

ঘটনাটা বরিশালের, বাউফল থানার মুলাদি গ্রামের! ঘটনাটা ৪০বছর আগের! আমার এক নিকট আত্বীয়ের ঘটনা ও তারকাছ থেকে শোনা! তার ভাষায়! আমার বয়স তখন ২২বছর ! আমার বাবার খুবই ডায়রিয়া হয়েছিল!

গ্রামের এক কবিরাজকে দেখিয়েছি এবং সে বলে না’যত তারাতারি সম্ভভ শহরে নিয়ে ভাল ডাক্তার দেখাতে!কারন তখনকার দিনে গ্রামের দিকে কোন ডাক্তার ছিল না! আর শহর ২৫কিঃ মিঃ দূরে! শহরে যেতে হবে নৌকায়করে! যোগাযোগে একমাএ উপায় ছিল নদীপথ! ভাল রাস্তা তখন ছিল না! বাবাকে নিয়ে যখন রওনা করি তখন বেলা ১২ বাজে! প্রথমে আকাবাকা ছোট খাল পেরিয়ে বড় নদী ও তার ঐ পাড়ে শহর! শহরে পৌছাতে আরো ঘন্টা আডাঁই লেগেছে!

বিকাল ৫টার দিকে বাবা মারা যায়! বাবার লাশটা নিয়ে আমি আবার বাড়ির দিকে রওনা দেই!বড় নদীটা যখন পার করে খালের দিকে নৌকাঢূকাই তখন দেখতে পাই নৌকা আর চলছে না’কাঁদায় আটকে গিয়েছে! তখন ভাটা চলছে! জোয়ার আসবে রাত ১২টার দিকে!তখন সময়টা আনুমানিক সন্ধা সাডে ৬টা হবে! শীতেরকাল থাকায় ঐ সময়ে অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল চারপাশ!

আকাশের জোত্নার আলো ছিল খুব! জনমানব শূন্ন একটি স্থানে এসে নৌকাটা আর চলছে না! খালটার বামপাশে একটু দূরে একটি পরিতেক্ত শ্বশান আর ডানপাশে গভীর জঙ্গল!জঙ্গলের বটগাছ গুলে দানবের মত দাড়িয়ে আছে! বটগাছের ডালে কিছু বাদুরঝুলে আছে!এতটাই নির্জন জায়গায় যে কোন শব্দ হলেই বুকের ভিতরে কেমন যেন করে ওঠে! ভয়ে বাবার লাশটা স্পর্শ করে বাবার পাশে বসে থাকি!শুধু অপেহ্মা ছাড়া আর কোন উপায় নেই! একটা চাদর দিয়ে বাবার লাসটা ঢেকেদিয়েছি!রাত যত বাডতে থাকে ভয় ততটাই তীর্বরোহতে থাকে! মনে হয় জঙ্গল থেকে কিছু একটা বেডিয় এসে আমাকে ধরবে!

হটাত নৌকাটা কেমন যেন একটু দুলে উঠলে মনে হল আমার মৃতবাবা নাডে উঠছে! বাবার ঠান্ডা শরির থেকে হাতটা সরিয়ে নেই! দোয়া যতটুকুপাড়ি সবই পড়তে চেষ্টা করছি কিন্ত ভয়ে কিছুই মনে নেই! ইচ্ছা করছিল চিত্কার করি বাচাঁও বাচাঁও বলে!কিন্তু আমি জানি আমার এই চিত্কার কারো কানে পৌছাবেনা! না পারছি এখান থেকে যেতে,না পারছি থাকতে! নিজের মৃত বাবাকেও ভয় করছে!

আনুমানিক রাত ১১টার দিকে একটা ছায়া দেখতে পেলাম বট গাছের অড়াল থেকে বেডিয়ে আমাদের নৌকার কাছে আসলো ও আমাকে জিঙ্গাসা করলো’তুমি কিঐ দিকে যাবা ?লোকটি একটা চাদর গায়ে জড়িয়ে আছে ও তার মুখটা চাদরে ডাকা ছিল! লোকটি ইশারায় যে দিকে দেখালো ঐ দিকেই আমরা যাচ্ছি! লোকটিকে বললাম জোয়ার আসলে যাব!


লোকটি নৌকায় উঠলো ও বাবার কাছে বসলো কিন্তু বাবার সম্পর্কে কিছুই জিঙ্গাসা করলো না! একদৃষ্টিতে বাবার লাশটার দিকে চেয়ে ছিল! লোকটার মুখটা আমি তখনো দেখতেপাই নি! এই গহীনজঙ্গলে এতরাতে তার আগমনের কারনটা পর্যন্তে জানতে ইচ্ছা করে আগমনে শস্তি পেয়েছি! রাত ১২টার দিকে জোয়ার আসলে আমি নৌকাটা চালাতেশুরু করি!

নৌকাযত সামনের দিকে যাচ্ছে ততই একটা গন্ধ নাকে লাগছে! ধিরে ধিরে গন্ধের তীবরোতা বাড়তে থাকে!কিছু কচুরিপনা ,
কলাগাছ ও মরা একটাগরুর ফুলে থাকা দেহ একসাথে জটলা করে এমনভাবে নৌকা সাথে আটকে আছে যে আমি অনেক
চেষ্টা করে ও নৌকাটাকে কিছুতেই সামনের দিকে নিতে পারছিনা!

বাধ্য হয়ে আমি নৌকা থেকে পানিত রশি ধরে টানতে থাকলাম! প্রায় ৫ মিনিট টানার পর আমি নৌকার কাছে আসি ! তখন যা দেখলাম বুকের ভিতর কেমন যেন করে উঠলো!দেখি লোকটাবাবার বুকেরকাছে বসে বারার বুকের ভিতর হাত ঢুকিয়ে দিয়ে কলজাটা বেরকরে নিয় তখন আমি কোন উপায় না দেখে বৈঠাটা হাতেনিয়ে লোকট মাথায় আঘাতকরি একাধিক বার! লোকটা আমার দিকে যখন ঘুড়ে তখন ঠিক গলার মাঝখানে বৈঠাটা ঢুকিয়ে দেই ! এতে লোকটা পানিতে পড়ে যায়! আমি পানিতে খুব জোরে জোরে বৈঠাদিয়ে আঘাত করি ও চিত্কার করি সাহষ থাকলে সামনে আয়!চাঁদের আলোতে লোকটার রক্তমাখা লোমশ হাতটা দেখেছিলাম !বড়বড় নখ ও কোঠরে ঢোকানো চোখের নীল আভা মনে পড়লে বুকটা শুকিয়ে যায়! দাতগুলো লালচে খুব ছোট ছোট তীখ্ন আর ধারালো!


আমার চিত্কার শুনে টর্চলাইট নিয়ে কয়েকজন লোক ছুটে আসে তাদের সব কিছু খুলে বলি! সব কিছু শুনে তারা বাবার লাশটা দেখে’তখন ও বাবার বুকের ছোপ ছোপ রক্তগুলো শুকায়নি! ঐ রাতটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর রাত!যেরাতের কথা আমি কখনো ভুলতে পারবো না! ঐটা ছিল একটা পিশাচ !

সূত্রঃ ইন্টারনেট

Sunday 27 December 2015

আপু আমি মেয়ে হয়ে একদিনে ৬-৮ জনের সাথে…

আমি অন্য সবার মতো আমারে নাম কিংবা পরিচয় গোপণ রাখতে বলবো না কারণ আমি চাই সবাই আমার সম্পর্কে জানুক, আর জানবেই না কেন,এগুলো আমি ত জানানোর জন্যই লিখছি,আমার ফ্যামিলি তে সদস্য সংখ্যা মোট পাঁচ জন, আমরা দুই বোন এক ভাই।



বাবা মা, আমার অশান্তি শুরু ছোটবেলা থেকেই,আমার বাবা একজন ব্যবসায়ী মা চাকুরীজীবী, আমরা ভাই বোনেরা কখনো তাদেরকে ঠিকমতো পাইনি, মা নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে চাকরি করার কারণে সবসময় বাবার নির্যাতনের শিকার হতো।

আমার বড় আপা এক ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলো কিন্তু সেই ছেলে আমার আপার মতো সহজ সরল মেয়েকে ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে ব্যাপক ধোকা দিয়েছে, এরপর থেকে আমি কোন ছেলেকেই সহ্য করতে পারিনা, আমরা মেয়েরাই কি শুধু ছেলেদের হাতের পুতুল হয়ে থাকবো

কখন সহবাস করলে বাচ্চা হয়? জানতে √ এখানে → ক্লিক করুন
হ্যাঁ আমি সত্য কথা বলছি স্কুল লাইফ থেকে এই পর্যন্ত আমি অনেক ছেলের সাথেই প্রেম করেছি সর্বমোট সেঞ্চুরী হবে আর কি, সবাইকে ধোকা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছি, আপু আমি মেয়ে হয়েই একদিনে ছয় থেকে আটজন ছেলের সাথে ডেটিং করেছি তাই বলে নিজের সতীত্ব কে বিসর্জন দেইনি, এমনও দিন গেছে যে সকালে একজনের সাথে ডেটিং করে দুপুরে একজনের সাথে আবার বিকেলে আরো দুইজনের সাথে আবার রাতে আরো দুইজনকে অপেক্ষায় রেখেছি.



কিন্তু আপু আমি আর পারছি না,দিনে দিনে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি,এ কেমন খেলায় মেতে উঠেছি আমি,আমি জানিনা এই খেলার শেষ কোথায়,আপু নিজেকে আবার বিরত রাখতে পারছি না কারণ ওরা সবাই আমাকে চাই.

আমিতো কাওকে জীবনসঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করতে পারবো না,কেও তো আমার অতীত জেনে আমাকে নিতে চাইবে না,আর আমার বিয়ে করার কোন ইচ্ছে ছিলো না তবুও আমার আম্মু আমাকে ভীষণ চাপ দিচ্ছে আমি স্বাভাবিক হয়ে বিয়ে না করলে উনি আত্বহত্যা করবে.

এখন আমাকে কিছু একটা বলেন যেন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারি কারণ আমি আর আমার আম্মুকে কোন কস্ট দিতে চাইনা

পরামর্শঃ
রিধি তোমার বিশাল চিঠি এখানে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরলাম, তোমার ফ্যামিলি থেকে শুরু করে তোমার ব্যক্তিগত জীবনের যে ঘটনাগুলো পর্যায়ক্রমে তুলে ধরেছো সেটা পড়ে আমি বুঝলাম তুমি মোটেও সুস্থ নও, বিয়েতো পরের কথা সর্বপ্রথম তোমার মানসিক সুস্থতা প্রয়োজন, আমি তোমাকে একজন মানসিক বিশেষজ্ঞের ঠিকানা দিচ্ছি, অধ্যাপক ডাক্তার আনোয়ারা বেগম, বারডেম বিশেষজ্ঞ চেম্বার কমপ্লেক্স,থার্ড ফ্লোর, শাহবাগ ঢাকা, রবি থেকে বুধবার বিকাল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা, তুমি এখানে গেলে উপযুক্ত চিকিৎসা পাবে এবার তোমার মন শান্তন্ত হলে পরবর্তীতে সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে। ধন্যবাদ

বি:দ্র: আমরা শুধুমাত্র মানুষিক শক্তির জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকি। আইনগত সহযোগীতার জন্য অবশ্যই বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও আদালত আছে। সমস্যা অতি গুরুতর হলে সেখানে গেলে আপনি অবশ্যই আইনি সহায়তা পাবেন.

তথ্যসুত্রঃ ভিন্ন.কম

আমি শেষ রক্ষা করতে পারিনি, আমি ভার্জিন নই…




আমি স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করছি। আমার বাবা একজন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা একজন টিচার। আমরা তিন বোনের মধ্যে আমি মেঝ। ছোটবেলা থেকে আমার আব্বুর কাছে তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন এবং চাকরি জীবনের সাফল্যের গল্প শুনে আমি খুব অনুপ্রানিত হতাম।



১টি কথা বলে রাখি, আমি ছোটবেলা থেকে একটু শারিরীক ভাবে অসুস্থ থাকায় আমাকে আমার বাবা-মা কখনও পড়াশুনার জন্য চাপ দেয়নি, এমনকি আমার কোন ব্যাপারেই তারা জোর করেনি। ভুলটাকে হাতে ধরে শুধরে দিয়েছেন। আমার অন্য ২ বোনের তুলনায় আমার উপর প্রত্যাশার চাপটা কম থাকায় আমি মাঝে মাঝে মানসিকভাবে খারাপ বোধ করতাম। অনেকটা বলা যায় যে নিজেকে আমার লাস্ট বেঞ্চের স্টুডেন্ট মনে হত আর সেখান থেকেই পড়াশুনাতে অনেকটা জেদের বশত আমার আগ্রহটা বেড়ে যায় এবং SSC & HSC তে আমি ডাবল গোল্ডেনসহ উত্তীর্ণ হই। এখানে আম্মুর অবদান সবচেয়ে বেশি যিনি তার জব,সংসার সবকিছুর পরেও আমাকে প্রতিদিন আপডেটেড সুবিধার ব্যবস্থাটা করে দিয়েছেন। আমি মফস্বল শহরে বড় হয়েছি এবং বলে রাখি আমি গার্লস স্কুল & গার্লস কলেজে পড়েছি।

আমার HSC, এমনকি ভর্তি কোচিং এ কোন ছেলে বন্ধু ছিলনা, এবং বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম এক বছরেও আমার কোন বয় ফ্রেন্ড (প্রেমিক) ছিলনা। এটা হয়নি আমার আম্মুর ভয়ে না, তার আদর্শে। কিন্তু, অনার্স ১ম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শেষে হঠাৎ করে আমার ফোনে ১টা অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। প্রথমে আমি ছেলেটির সাথে ভদ্রভাবে কথা শেষ করে তাকে আর ফোন করতে নিষেধ করি। কিন্তু সে আমাকে ফোন করেই যায় এবং যেহেতু সে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করছিল না, তাই আমি রাফলি তাকে কিছু বলতেও পারিনি। আর তখন এ সময়ের মত স্মার্টফোন না থাকায় আমি আমার সাধারণ ফোনে তাকে ব্লকও করতে পারিনি। এরকম কয়েকদিন যেতে যেতে আমি তাকে বললাম যে আপনার পরিচয় এবং আমার ফোন নং কে দিয়েছে সেটা না বললে আমি ফোন নং চেঞ্জ করব (যদিও এটা সম্ভব ছিলনা কারণ আমার পরিবারকে এটা শেয়ার করা সহজ ছিলনা)। তখন সে বলল যে আমার প্রমিস করতে হবে যে আমি যেন সব জেনে তার দোষ না হলে তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ না করি। এবং আমি রাজি হয়ে জানতে চাইলে সে বলল যে আমার ক্লাসমেট (বন্ধু) এর কাছে সে ভদ্র এবং ভাল ফ্যামিলির ১টা মেয়ের সাথে সম্পর্ক করিয়ে দিতে বলে এবং তার ফোনে আমার ছবি দেখে সে পরবর্তীতে আমার নম্বরটা চুরি করে নিয়ে আমাকে ফোন করে।

বলে রাখি এই ছেলেটিও আমার ব্যাচমেট তবে অন্য ১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করছে। এরপর তারসাথে আমার ১জন বন্ধুর মত যোগাযোগ ছিল এবং আমার ক্লাসমেট বন্ধুটির সাথে সব জানাজানি হলে সে ১দিন আমার ক্যাম্পাসে আসে এবং এর কিছুদিনের মাথায় আমাকে প্রোপোজ করলে আমি না করি এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেই। হঠাৎ ২/৩ দিন পর সে বসুন্ধরা সিটিতে যায় এবং বলে যে সে উপর থেকে ঝাঁপ দিবে এবং আমাকে ওখানে তার ছবি তুলে পাঠায় এবং আবারো প্রোপোজ করে এবং বলে সে ওর বাবার ছোট ছেলে এবং ওর বাবা আমাকে ছাড়বেনা ওর কিছু হলে। বলে রাখি ওর বাবা সুপ্রিম কোর্টের একজন ব্যারিস্টার। আমি তখন অনেকটা ভয় এবং সহানুভূতি দিয়েই বোকার মত ওর প্রোপোজালে হ্যাঁ বলি। এরপর আমাদের সম্পর্কটা খুব ভাল যাচ্ছিল ৪/৫মাস এবং কিছুদিন পর বার্থডে। ওর বার্থডের দিন ও আমাকে নিয়ে অনেক ঘোরাঘুরি শেষে বলে যে ওর টাকা শেষ, বাসায় গিয়ে টাকা নিয়ে আসবে। আমাকে বলে যে তুমি রিক্সায় বাসার সামনে দাড়াবে। আমরা ওর বাসার সামনে যাই এবং ও আমাকে বলে যে এভাবে বাসার সামনে দাঁড়ানোটা ভাল দেখায়না। তুমি উপরেই আস, কোন সমস্যা নাই।

আমি ওকে খুব অন্ধবিশ্বাসে ওর সাথে উঠে যাই কিন্তু আমি একবারের জন্যও জানতাম না ওর বাসায় সেদিন কেউ ছিলনা আর ও আমাকে সেটা বলেনি এবং জানতে চাইলে কথাটা এড়িয়ে গেছে যেটা আমি ঐ মুহূর্তে ধরতে পারিনি। এবং এরপর ও আমার সাথে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় এবং আমি বাধা দাওয়ার এক পর্যায়ে ওকে আঘাত করি কিন্তু আমি শেষ রক্ষা করতে পারিনি। এরপর আমি সম্পর্ক ভেঙে দেই এবং গত ৩ টি বছর আমি শুধু একটা ভয় বয়ে বেড়াচ্ছি যে আমি লাইফে অন্য কাউকে নিয়ে সুখী হতে পারব না কারণ আমি ভার্জিন নই। ওর সাথে আমার সম্পর্ক নেই কিন্তু তারপরও আমি এখনও কিছুদিন পরপর যোগাযোগ করি। ও এখনও আমাকে ওর লাইফে ব্যাক করতে রিকোয়েস্ট করে এবং গত ৩ বছর ধরে করছে। কিন্তু ও আমার ব্যাচমেট। ওর হায়ার এডুকেশন নিয়ে অনেক দীর্ঘ পথ আর আমার পড়াশুনা শেষের পথে + জবেরও সুযোগ আসছে। ফ্যামিলি থেকে বিয়ের জন্য বেশ কয়েকবার আমাকে বিয়ের ব্যাপারে জানতে চেয়েছে। অনেক যোগ্য এবং ভাল পাত্র হওয়ার পরও আমি পড়াশুনা শেষ করা, জব করা এসব অজুহাতে আব্বুর কাছে সময় চেয়ে নিয়েছি এবং নিচ্ছি। সর্বশেষ আমি একবছর সময় চেয়ে নিলাম জব প্রিপারেশনের জন্য কিন্তু আমি জানিনা কেন এবং কী এর উদ্দেশ্য।



মাঝে মাঝে ভাবি আমি অনেক ভাল কিছু করলে আমার এই খুঁতটা হয়ত ছাড় পাব কিন্তু সাথে সাথে এক ভয়ংকর অজানা আশংকায় আর কিছু ভাবতে পারিনা। আবার আমি শত চাইলেও এই ছেলেটির জন্য বেশিদিন অপেক্ষা করে থাকতে পারবনা। যে সুখের জন্য আমার পরিবার পায়তারা করছে সেটা তো নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে এই ভয়ে আমি আর স্বাভাবিক থাকতে পারছি না। পরিবার স্বপ্ন বুনতে গিয়েই স্বপ্নভাঙন দেখবে সেই মুহূর্তগুলো ভাবতেই পারছিনা। আমি একা হলে কোন ভয়ই ছিলনা, কিন্তু আমার আব্বু-আম্মুকে এটার মুখোমুখি করার কথা ভাবা যায়না। আমি প্রতিনিয়ত নামাজ পড়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চাই, একটু সাহায্য চাই। কিন্তু বাস্তবে আমার জীবনে কী হবে তা ভেবে আমি দিশেহারা হয়ে যাচ্ছি দিনদিন। কারো সাথে আজো শেয়ার করতে পারিনি।”

পরামর্শ:
আপু, আপনার হয়তো মনে হয় যে আপনার কোন দোষ বা ভুল ছিল না, সবই ছেলেটির দোষ বা ভুল। কিন্তু প্রথমেই আমি আপনাকে আপনার ভুলগুলো বলবো। বলবো এই কারণে যে এটা না বললে আপনার বাকি জীবনেও এমন ভুলের আশংকা রয়েই যাবে।

প্রথমত,
কল বা কলারকে ব্লক করা কেবল স্মার্ট ফোনেই হয়। আমার স্পষ্ট মনে আছে যে প্রায় সব মোবাইল অপারেটরেই কল ব্লক সার্ভিস ছিল। মাসিক ৩০ টাকা বা এমন একটা চার্জ নিত। সেটা ইউজ করলে যে কোন ফোনেই যে কাকে ব্লক করে দেয়া যেত। মানলাম যে আপনি কল ব্লক করতে পারেন নি, তাহলে ছেলেটির ফোন রিসিভ করতেন কেন? আপনি রিসিভ না করলে সে ১০০ বার কল দেবে? দিক! দৈনিক ১০০ বার কল দিতে দিতে নিজেই হাল ছেড়ে দিত। আর যেখানে বলছেন আপনার ফ্যামিলি এত ভালো, হাতে ধরে ভুল শুধরে দিয়েছে, সেখানে এত সামান্য ব্যাপার পরিবারকে তখন বলে ফেললেই ভালো হতো।

দ্বিতীয়ত,
ছেলেটি সুইসাইড করার হুমকি দিয়েছে বলে আপনি প্রেমে হ্যাঁ বলেছেন, শুনতে নাটকীয় মনে হলেও আমি মেনে নিলাম। কিন্তু যে ছেলেকে আপনি ভালোবাসেন না, সেই ছেলের সাথে এত ঘোরাঘুরির কি কোন দরকার ছিল? ঘুরেছেন তো ঘুরেছেন, ছেলেটির বাসার সামনে চলে গিয়েছেন। আপনার কি একবারও মনে হয়নি যে একটি ছেলের বাসার সামনে যাওয়া যায় না? বা আপনার কি একবারও মনে হয়নি যে টাকাটা আপনি খরচ করলেই তো ঝামেলা শেষ হয়ে যায়। ঠিক আছে, মেনে নিলাম যে আপনি এতকিছু ভাবেন নি। কিন্তু ওপরে যাওয়ার সময় কি মনে হয়নি যে ছেলেটির মা বাবার সামনে আপনার পরিচয়টা কী হবে?

তৃতীয়ত,
নিজেই বলছেন যে সম্পর্ক ভেঙে ফেলেছেন, আবার নিজেই ছেলেটির সাথে যোগাযোগ রাখছেন, এটা কেন আপু? এটা কি একেবারেই হিপোক্রেসি হয়ে গেলো না? খুবই দুঃখের সাথে বলছি আপু, আপনার এই কাহিনীতে এক তরফা ছেলেটিকে দোষ দেয়া যায় না। ছেলেটি খারাপ, নিঃসন্দেহে খারাপ। কিন্তু তাকে সেই খারাপ করার সুযোগটি দিয়েছেন আপনি নিজেই। মাঝে মাঝে নিজের দোষ টুকু স্বীকার করে নিলেও জীবনের পথে সামনে এগোনো সহজ হয়।

যাই হোক, আমি মনে করি না যে একজন নারীর সম্মান তাঁর সতীত্বে। যে কোন মানুষেরই সম্মান নিহিত তাঁর চরিত্রে। আপনি নিজেই যদি নিজেকে ভার্জিনিটি দিয়ে বিচার করতে শুরু করেন, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু আপনার যোগ্যতা আপনার শিক্ষা, রুচি, গুণাবলী। একটি ছেলে জোর করে আপনার সাথে সম্পর্ক করেছে বলে আপনি খারাপ হয়ে যান না। চিঠি পড়েই বুঝতে পারছি যে ছেলেটিকে আপনি বিয়ে করতে চান না, আর সেটা করা উচিতও হবে না। কারণ ছেলেটিকে আমার খুব বেশি সুবিধার মনে হচ্ছে না। আপনি পুরো ব্যাপারটা ভুলে গিয়ে জীবনটা নতুন করে শুরু করতে চেষ্টা করুন। আপনার ভবিষ্যৎ জীবনের সুখে এটা কোন সমস্যাই না, যদি আপনি সততার সাথে বিষয়টি সামাল দেন। বিয়ের আগে নিজের সম্পর্কে এই ব্যাপারটি চাইলে হবু বরকে জানিয়ে নিতে পারেন। তাহলে আপনি শতভাগ শান্তি নিয়ে সংসার শুরু করতে পারবেন। বাংলাদেশে এমন বড় মনের পুরুষের কোন অভাব নেই, যিনি কিনা ব্যাপারটি জেনে বুঝে আপনার দিকে হাত বাড়িয়ে দেবেন। আমার মনে হয় একটু অপেক্ষা করে এমন একজন মানুষকেই বিয়ে করা উচিত আপনার।

বিয়ের রাতে শারীরিক সম্পর্ক করা ঠিক?

অনেক নারী-পুরুষ বিয়ের পর কী করা উচিত, কী করা উচিত নয়- এসব নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন। বিশেষ করে বিয়ের রাতে শারীরিক সম্পর্ক করা ঠিক হবে কি না, এ নিয়ে উদ্বেগটা বেশি দেখা যায়। প্রেমের বিয়ের চেয়ে পারিবারিকভাবে বিয়ে হলে বিষয়টি আরও তীব্র আকার ধারণ করে।


বিশেষজ্ঞ আঞ্চল ভাটনাগরের কাছে এক ব্যক্তি জানতে চান, খুব শিগগির তিনি পারিবারিকভাবে বিয়ে করতে যাচ্ছি। তার বাগদত্তাকে তিনি মার্চ থেকে চিনি, কিন্তু তাদের কখনো দেখা হয়নি। ফোনে একে-অপরের সঙ্গে কথা বলেছেন, কিন্তু কখনো মিলন বিষয়ে কথা বলেননি। তিনি বুঝতে পারছেন না কীভাবে বাগদত্তার সঙ্গে যৌন মিলন বিষয়ে কথা বলবেন কিংবা ফুলশয্যার রাতে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক Physical relationship করা ঠিক হবে কি না।

আঞ্চল ভাটনাগর জবাবে বলেন, বহুপ্রতীক্ষিত ফুলশয্যার রাত wedding night সব দম্পতির জন্যই স্নায়ুচাপ ও মানসিক উদ্বিগ্নের একটা কারণ। তাই কৌশলে নিজেদের মধ্যে মিলনের বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। কেননা, ব্যক্তি পুরুষের মতো বাগদত্তার মনেও একই প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। তাই একটু সাহস করে ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা শুরু করলে সেও আস্তে আস্তে মিলনের বিষয়ে তার চিন্তা ও পরিকল্পনা ব্যক্ত করবে।



অবশ্য নিজের সঙ্গীর সঙ্গে যৌন মিলন বিষয়ে আলোচনা শুরু করাটা একটু কঠিন কাজ বলে উল্লেখ করে আঞ্চল ভাটনাগর বলেন, কিন্তু বিষয়টা দুজনের জন্যই খুব দরকারি। বিশেষ করে বিয়ের সময় যত ঘনিয়ে আসে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ততই বেড়ে যায়। তাই বিয়ের বেশ কিছুদিন আগেই যদি ব্যাপারটি খোলাসা হয়ে যায় তাহলে বিয়ের সময় দুজনের উদ্বেগ কম কাজ করে।

তবে সহবাস বিষয়ে আলাপ শুরু করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, আপনি যদি আপনার হবু স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন, ফুলশয্যার রাতটা সে কীভাবে কাটাতে চায়। এই পদ্ধতিতে দুজনেরই যৌন মিলন বিষয়ে আলাপ করার একটা সুযোগ তৈরি হয়।

ফুলশয্যার রাতে যৌন সম্পর্ক করাটা ভালো-মন্দের কোনো বিষয় নয়। বিয়ের দিন একটা বিশেষ অনুভূতি কাজ করে। ব্যাপারটি তখন শুধু শারীরিক মিলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। তবে আপনার ফুলশয্যার রাত কীভাবে উপভোগ করবেন সেটা আপনার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। এটি হতে পারে খোশগল্প করে, যৌন সম্পর্ক করে অথবা একে অপরকে আন্তরিকভাবে জড়িয়ে ঘুমিয়ে। তা ছাড়া, সবগুলোর সমাহারেও হতে পারে।

Friday 25 December 2015

মেয়েদের বুক কমানোর কোনো ব্যায়াম আছে কি?

মেয়েদের যৌবনলাভের সময়ে এস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবে স্তন গড়ে ওঠে। অতিরিক্ত এস্ট্রোজেনের প্রভাবে স্তনের আকার অনেক সময় বেশ বড় হয়ে যায় এর ফলে শারীরিক অসুখ, এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। ব্যায়ামের সাহায্যে এস্ট্রোজেন নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়াও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার খেতে হবে,যার দ্বারা এটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যেমন- সয়াবিন জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। একই ভাবে যাদের স্তন অপুষ্ট বা ছোট তারা ব্যায়ামের সঙ্গে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে খাদ্য তালিকায় এমন খাবার রাখবেন যা এস্ট্রোজেন বাড়াতে সাহায্য করবে।
আমরা চটজলদি ফল পেতে স্তন বড়কে ছোট করতে ও ছোটকে বড় করতে অপারেশন, হরমোন পিল ইত্যাদি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু মনে রাখবেন এতে ঝুঁকি আছে এমনকি ক্যান্সারের আশংকা অনেক বেশি। তবে ছেলেরাও কিন্তু অনেক সময়ে চটজলদি মাসল পাওয়ার লোভে নানা ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন যার ফল মারাত্মক হতে পারে।
বুকের কয়েকটি ব্যায়াম :

বুক নিয়ে হরেক রকমের ব্যায়াম আছে। একটা লেখায় তার পুরো বিবরণ দেওয়া সম্ভব না। তাই সে চেষ্টা না করে অত্যন্ত সাধারণ কয়েকটি ব্যায়ামের কথা আলোচনা করছি যা আপনি বাড়িতে বসেও পুরুষ মহিলা সবাই করতে পারেন।
আরও কয়েকটি কথা শুরুর আগেই বলা দরকার। ব্যায়াম শুরুর আগে অবশ্যই একজন ফিটনেস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন আর মাঝে মাঝে তাঁর থেকে ঝালিয়ে নিন, বিশেষ করে যদি আপনি বাড়িতে ব্যায়াম করেন। না হলে লাভের চেয়ে ক্ষতি হতে পারে।
বুক ঠিকঠাক গড়ে তুলতে ওয়েট ট্রেনিং বা ওজন নিয়ে ব্যায়াম অবশ্যই অনেক বেশি কার্যকরী। তবে কোনদিন সেভাবে ব্যায়াম বা খেলাধুলা না করলে কিছুদিন খালিহাতে ব্যায়াম করে একই ব্যায়াম নানা ওজনের ডাম্বেল নিদেন পক্ষে দুটি সমান ওজনের জলের বোতল নিয়েও করতে পারেন। তবে বুকের বা অন্য যে কোন পেশির ওয়েট ট্রেনিং সপ্তাহে তিন দিনের বেশি করবেন না। কারণ, এই ধরণের ব্যায়ামে পেশির উপর যে চাপ পড়ে বা ক্ষয় হয় তা পূরণ হতে মোটামুটি ৪৮ ঘন্টা সময় লাগে।
এবার আসা যাক নির্দিষ্ট কয়েকটি ব্যায়ামের আলোচনায় :
১. পুশ আপ:

বুকের পেশিগুলিকে শক্তিশালী করা বা মেয়েদের ক্ষেত্রে বুকের গড়নকে সুন্দর করার জন্য হোক পুশ আপের জুড়ি নেই। এই বায়ামটি বাংলায় সাধারণভাবে বুক ডন দেওয়া বলে পরিচিত। বেঞ্চ প্রেস, মাল্টি জিম বা অন্যান্য মেশিন ব্যাবহার করে যে ফল আপনি পাবেন নানা ধরণের পুশ আপ তাঁর চেয়ে ভাল ছাড়া খারাপ ফল দেবে না। তবে অনেকের জন্য এটা শুরুতে একটু কঠিন মনে হতে পারে। সেই জন্যে পুশ-আপকে ফুল পুশ- আপ, হাফ পুশ-আপ বা বেঞ্চ পুশ-আপ এরকম কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নেওয়া যেতে পারে।
ক) ফুল পুশ-আপ: উপুর হয়ে শুয়ে পরুন। পায়ের আঙুলের উপর ও হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে শরীর উপরে তুলে ধরুণ। এবার তালুর উপর ভর দিয়ে কনুই ভেঙ্গে শরীরকে একবার উপরে আর একবার নীচে নামিয়ে পুশ আপ করুন। ১০ বার করে ৩টে সেট।
খ)/হাফ পুশ-আপ: হাঁটুর উপর ভর দিয়ে উপুর হয়ে শরীরের উপরের অংশ মেঝের সমান্তরাল রাখুন। গোড়ালি তুলে রাখুন। হাতের উপর ভর দিয়ে শরীরের উপরের অংশ যতয়াট পারেন নামান আব্র তুলুন। মনে রাখবেন গোড়ালি যদি মাটি ছুঁয়ে যায় তাহলে এই ব্যায়ামের পুরো ফল পাবেন না। এটিও এক একবারে ১০টি করে তিন সেট করবেন। যারা ফুল পুশ-আপ পারবেন না তাঁরা এইভাবেও শুরু করতে পারেন।
গ) বেঞ্চ, খাটের বা জানালার ধারে দুটো হাতের ভর রেখে পা দুটো পেছিয়ে শরীরকে কোণাকুণি রাখুন। এবার এখান থেকে পায়ের আঙুল স্থির রেখে হাতের উপর ভর দিয়ে শরীরে উপরের অংশকে নামিয়ে আনুন যতটা নীচে সম্ভব। আবার শরীর কে তুলে নিয়ে আগের জায়গায় ফিরে যান। এই ব্যায়ামটি ও ১০ বার করে তিন সেট করতে পারেন আপনি ফুল পুশ-আপ না করলে।
২. হাত শরীরের পাশে রাখুন। কাঁধ পর্যন্ত তুলুন আর নামান আগের জায়গায়। ১০ বার করে দুই বা তিন সেট করুন। এই ব্যায়ামটি ডাম্বেল নিয়ে করতে পারেন। আপনার সামর্থ অনুযায়ী কোন ওজনের ডাম্বেল নেবেন ঠিক করুন।
৩. হাত সামনের দিকে জোড়া করে দাড়াঁন। এবার হাত খুলে কাঁধ পর্যন্ত নিয়ে যান। আবার আগের জায়গায় নিয়ে আসুন। ১০ বার করে ৩টে সেটে এটা করুন। এটা ডাম্বেল নিয়ে বা খালি হাতে করতে পারেন। শুরুতে কিছুদিন খালি হাতে অভ্যাস করে পরে ডাম্বেল নিয়ে করতে পারেন।
৪. দরজা বা দেওয়ালের উপর দুহাত দিয়ে চাপ রাখুন। পা দুটো জোড়া করে দাঁড়ান। হাতের উপর চাপ রেখে শরীরের সামনের অংশ সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। ১০ বার করে এইভাবে ৩ বার।
৫. দেওয়ালের উপর একহাত দিয়ে পাশ ফিরে দাঁড়ান। হাতের উপর চাপ রেখে কোমর থেকে উপরের অংশ দেওয়ালের দিকে নিয়ে যান। এইভাবে এক এক হাতে ১০ বার করে ৩ বার করুন।
৬. সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে হাত সামনে সোজা ভাবে রাখুন। এবার ডান হাত বাঁ দিকে এবং বাঁ হাত ডান দিকে X এর মত করুন। অর্থাৎ বাঁ হাত ডান হাতের একবার উপর দিয়ে, একবার নীচে দিয়ে এইভাবে ১০ বার করুন। এমনভাবে করুন যাতে কনুই বুকের পাশে চেপে আসে।
৭. বেঞ্চের উপর হেলান দিন বা শুয়ে পড়ুন। হাত সামনের দিকে সোজা করুন এবার হাত দুটো কাঁধ বরাবর নিয়ে যান আবার সামনে নিয়ে আনুন এইভাবে ১০টা করুন। ডাম্বেল নিয়ে বা খালি হাতে করতে পারেন।
৮. বেঞ্চে হেলান দিয়ে বা শুয়ে ডাম্বেল নিয়ে বা খালি হাতে হাত একসঙ্গে বুকের উপর এক নিয়ে আসুন। এবার দুটি হাত পিছন দিকে নিয়ে যান একদম মাথার দু পাশ বরাবর টান টান করে হাত আগের জায়গায় নিয়ে আসুন।
৯. দরজার ফ্রেমে দু হাতের বুকের উচ্চতায় রাখুন। স্বাভাবিকভাবে দাঁড়ান। এবার হাতের উপর চাপ দিয়ে সামনে এবং নীচের দিকে ঠেলুন। পায়ের পাতার সামনের অংশ আর আঙুলের উপর ভর দিন এবং স্থিরভাবে রাখুন। আবার আগের জায়গায় ফিরে যান। এইভাবে দশবার।
এরকম আরও বলা যেতে পারে। তবে আপাততঃ এর মধ্যে কয়েকটি বেছে নিয়ে শুরু করুন আপনার ঘরে, হোটেলে খোলা মাঠে যেখানে যখন আপনার সুবিধা।
বুকের ব্যায়ামের উপকারিতা :

১) বুকের ব্যায়াম পেক্টোরাল পেশিগুলিকে পুষ্ট, দৃঢ়, শক্তিশালী ও নমনীয় করে গড়ে তোলে।
২) বুকের যথাযথ ব্যায়ামের সাহায্যে আমরা আমাদের শরীরকে অনেকরকম চোট আঘাত থেকে রক্ষা করতে পারি।
৩) বুকের পেশির ব্যায়াম শুধু সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে না, গোটা শরীরকে সচল রাখতে সাহায্য করে। হাত ও কাধেঁর সংযোগস্থল শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
৪) মেয়েদের ক্ষেত্রে বুকের ব্যায়ামের ফলে পেক্টোরাল পেশিগুলি শক্তিশালী হলে স্তনের ঝুলে যাওয়া আটকাতে সাহায্য করে স্তনকে উঁচু ও সুদৃঢ় দেখায়।
যে ছেলেদের বুকের খাঁচা বড় স্বাভাবিক ভাবেই ব্যায়ামের ফলে তাদের বুক অনেক বেশি সুন্দর হবে। যাদের বুকের খাঁচা ছোট বিশেষজ্ঞের মত নিয়ে পুষ্টিকর খাবার খেলে এবং সঠিক ভাবে ব্যায়াম করলে তাদেরও বুকের সৌন্দর্য্য অনেকগুণ বাড়ানো সম্ভব।
মেয়েদের শরীরে অতিরিক্ত চর্বি হলে অন্যান্য জায়গার সঙ্গে স্তনেও তা জমা হয়। ফলে স্তনের সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়ে যায়। বুকের পেশির ব্যায়ামের সঙ্গে গোটা শরীরের জন্য কার্ডিও ব্যায়ামকে যুক্ত করলে অতিরিক্ত চর্বি কমে স্তনের আকার সঠিক জায়গায় ফিরবে এবং দেখতেও অনেক আকর্ষণীয় লাগবে। ছেলেদের ক্ষেত্রেও বুকের পেশির ব্যায়ামের সঙ্গে কার্ডিও ব্যায়াম যথা সাইক্লিং, জগিঙ, দৌড়, হাঁটা, সাধারণ ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম যুক্ত করা দরকার।

Thursday 24 December 2015

প্রেগনেন্সির সময়ে ও পরে সেক্স

গর্ভবতী নারী এবং তাদের সঙ্গী সবসময়ই সংশয়ে থাকে যে গর্ভকালীন অবস্থায় সেক্স করা নিরাপদ কিনা। এর ফলে কি গর্ভপাত হতে পারে? এতে কি অনাগত সন্তানের কোনো ক্ষতি হবে? কোনো নির্দিষ্ট পজিশনে কি দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব? প্রসব পরবর্তী সময়ে কতদিন পর্যন্ত শরীর যৌন মিলনের জন্য প্রস্তুত হয় না?এখানে এসব প্রশ্নের উত্তর থাকছে।

গর্ভকালীন অবস্থায় সেক্স করা নিরাপদ কিনা?
আপনি যদি স্বাভাবিকভাবে গর্ভধারণ করে থাকেন তাহলে সেক্স গর্ভকালীন অবস্থার প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক একটি অংশ। ইন্টারকোর্সের সময়ের স্বাভাবিক নড়াচড়া গর্ভের শিশুর কোনো ক্ষতি করে না। গর্ভের শিশু তলপেট এবং জরায়ুর পেশী দিয়ে সুরক্ষিত থাকে। আর আপনার শিশু অ্যামিনিয়টিক স্যাক’স ফ্লুইড দ্বারা সেখানে আরামে অবস্থান করে।

অর্গাজমের কারণে পেটের ভিতরের পেশীগুলির যে সংকোচন ঘটে তা পরিশ্রমের কারণে ঘটা সংকোচনের মত নয়।

তারপরও সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য কোনো কোনো চিকিৎসক গর্ভাবস্থার শেষ কয়েক সপ্তাহ সেক্স করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। তারা বলেন, শুক্রাণুতে থাকা প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনস নামের হরমোন ভিতরের সংকোচনকে উদ্দীপিত করতে পারে।

আবার কোনো কোনো চিকিৎসক বলেন, শুক্রাণুর প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনস শুধুমাত্র পূর্ণ শারীরিক পরিশ্রম করলে অথবা গর্ভাবস্থার পরপরই সংকোচনকে প্রভাবিত করতে পারে। কারণ ক্ষত শুকানোর জন্য যে জেল ব্যবহার করা হয় তাতে এবং পূর্ণমাত্রার পরিশ্রম করলে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনস হরমোন নিঃসৃত হয়।

কিন্তু অন্যান্য চিকিৎসকদের ধারণা শুক্রাণু এবং পরিশ্রমের মধ্যকার এই সম্পর্ক পুরোটাই তাত্ত্বিক এবং সেক্স করা পরিশ্রম বাড়ায় না।

আসলে অর্গাজমের জন্য যে সংকোচন ঘটে তা পরিশ্রমের ফলে ঘটা সংকোচনের মত নয়। সুতরাং নিচের সমস্যাগুলি না থাকলে গর্ভকালীন অবস্থায় সেক্স করলে কোনো সমস্যা নেই।

wom2

গর্ভকালীন অবস্থায় যখন সেক্স করা যাবে না

আপনার যদি নিম্নে উল্লেখিত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থার কোনো একটি থাকে তাহলে আপনার চিকিৎসক হয়তো আপনাকে সেক্স না করার পরামর্শ দিবেন।

–    আপনি যদি গর্ভপাতের ঝুঁকিতে থাকেন বা অতীতে আপনার গর্ভপাত হয়ে থাকে।

–    আপনার যদি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সন্তান জন্ম দেওয়ার আশঙ্কা থাকে (এক্ষেত্রে গর্ভকালীন অবস্থার পূর্ণ মেয়াদ ৩৭ সপ্তাহের আগেই)।

–    আপনার যদি কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই গর্ভাবস্থায় রক্তস্রাব, অবশ হয়ে আসা, খিঁচুনি ইত্যাদি হয় তাহলে।

–    আপনার অ্যামনিয়টিক স্যাক থেকে যদি তরল বাইরে আসে অথবা এর আবরণী ঝিল্লী বিদীর্ণ করে।

–    আপনার জরায়ুর কার্ভিক্স যদি গর্ভকালীন অবস্থায় আগেই খুলে যায়।

–    আপনার জরায়ুর প্ল্যাসেন্টা যদি খুব ছোট থাকে।

–    যদি আপনার যমজ বা একের অধিক সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা থাকে।

মনে রাখবেন, আপনার চিকিৎসক যদি সেক্স নিষেধ করে দেয়, এর অর্থ হলো শুধু ইন্টারকোর্সই না, যেকোনো রকম অর্গাজম বা যৌন উত্তেজনা থেকেই একদম বিরত থাকবেন।

গর্ভকালীন সময়ে সেক্স
প্রতিটি নারীরই গর্ভকালীন অবস্থায় সব অভিজ্ঞতাই আলাদা। এ সময়ে যৌনতার ক্ষেত্রেও তার অনুভূতি আলাদা।

কারো কারো ক্ষেত্রে এই সময়ে এসে যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায়। আবার কেউ কেউ এসময় যৌনতার সাথে আরো বেশি নিবিড় সম্পর্ক অনুভব করে এবং এসময়ে তাদের যৌন আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যায়।

গর্ভকালীন সময়ে শরীরের পরিবর্তনের সাথে যৌন আকাঙ্ক্ষার আসা-যাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। আপনি হয়ত আপনার পেটের আয়তন বৃদ্ধির সাথে সাথে আরো বেশি সচেতন হয়ে উঠতে পারেন। অথবা আরো বড় ও পরিপূর্ণ স্তনের কারণে বেশি যৌন আবেদনময়ী লাগতে পারে নিজেকে।

আপনার পার্টনারকে জানান আপনার কী ধরনের অনুভূতি হচ্ছে। পরবর্তী সময়ের গর্ভকালীন সময়ের কথা বিবেচনা করে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে কোন পজিশন আপনার জন্য একইসাথে আরামদায়ক এবং উত্তেজনাকর।

গর্ভকালীন সময় চার মাস পার হওয়ার পর সেক্সের সময় পিঠ নিচে রেখে ‘মিশনারি পজিশনে’ শোয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন। এর ফলে বাচ্চার ওজনের কারণে আপনার রক্তনালীর সংকোচন ঘটার সম্ভাবনা আর থাকবে না।

এ সময়ে সেক্স আরামদায়ক করার আরেকটি উপায় হচ্ছে দুজনারই পাশাপাশি শোয়া। অথবা আপনি ওপরে পজিশন নিতে পারেন অথবা উপরে বসতে পারেন।

আর সবসময়ই যা করবেন, প্রয়োজনে কনডম ব্যবহার করুন। কারণ, এইচআইভি, যৌনাঙ্গের বিভিন্ন রোগ, বিভিন্ন ইনফেকশন পেটের ভিতরের বাচ্চার ক্ষতি করতে পারে।

গর্ভকালীন সময়ের পরে সেক্স
সন্তান জন্মদানের পরবর্তী ছয় সপ্তাহকে বলা হয় ‘প্রসব পরবর্তী সময়কাল’। এই সময়ে আপনার যৌন আকাঙ্ক্ষা জাগবে না।

যেসব কারণে এ সময়ে আপনার যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায়:

–   প্রসবজনিত কাটাছেড়া, ক্ষত এগুলি থেকে সেরে ওঠা (নরমাল ডেলিভারিতে যৌনাঙ্গের মুখে কাটাছেঁড়া)।

–   সিজারিয়ান প্রসব হলে তলপেটের কাটাছেঁড়া থেকে সেরে ওঠা।

–   প্রসব পরবর্তী রক্তপাত প্রসবের পরে চার থকে ছয় সপ্তাহ স্বাভাবিক ঘটনা।

–   গর্ভধারণ এবং প্রসব পরবর্তী অবসাদ।

–   এ সময়ে নবজাতক বাচ্চার আপনাকে দরকার হয়।

–   হরমোন লেভেলের পরিবর্তন।

–   নবজাতককে স্তন পান করানোর কারণে স্তনে কালশিটে দাগ পড়া।

–   আবেগ সংক্রান্ত ব্যাপার, যেমন প্রসব পরবর্তী বেদনা, মাতৃত্বের কারণে তৈরি হওয়া উদ্বেগ অথবা পারিবারিক ঝামেলা ইত্যাদি।

কাটাছেঁড়া ও ক্ষত সম্পূর্ণ ভালো হয়ে গেলে এবং আপনার যৌনাঙ্গের স্পর্শকাতর টিস্যুগুলি সম্পূর্ণ ঠিক হয়ে গেলে যৌন মিলন করাটা নিরাপদ। ঠিক হতে সাধারণত কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে। তার সাথে সমান গুরুত্বপূর্ণ হলো, আবেগের দিক থেকে প্রস্তুত থাকা, শারীরিকভাবে আরামদায়ক এবং রিল্যাক্সড থাকা।

আপনার এবং আপনার স্বামী উভয়ের জন্যই এ সময়ে ধৈর্য্য ধরা উচিৎ। দেখা যায় প্রথম সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে আগের মত সম্পূর্ণ আনন্দময় যৌন মিলনের মত অবস্থায় ফিরে আসতে একটু বেশি সময় দরকার হয়। এই সময়কাল গর্ভকালীন অবস্থা ও প্রসব পরবর্তী সময় সব মিলিয়ে এক বছরের মত হতে পারে।

গরমে সেক্স করতে হলে যা যা করতে হবে


গরমে যেখানে প্রান হাস ফাস সেখানে যৌন মিলনের কথা ভাবাই দায়। বিশেষ করে বিবাহিত দের জন্য। ঘর সংসার সামলে সেক্স করার আর সময় পায় না তারা। গরমে প্রতিদিন সেক্স করলে অবশ্য অনেকের নানা রকম সমস্যা হয়। তাই সঠিক নিয়ম হল প্রতি সপ্তাহে তিন বার করে সেক্স করা। ছুটির দিন গুলি আর সপ্তাহের মাঝের একটি দিন।

প্রচণ্ড গরমে সেক্স করার সময় যা যা করা উচিৎ –

১। যেদিন সেক্স করবেন সেদিন বেশী করে পানি পান করতে ও মৌসুমি ফল খেতে হবে।

২। সেক্স করার আগে ভাজা পোড়া খাওয়া যাবে না।

৩। পেশাব, পায়খানা করে গা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

৪। সেক্স করার সময় দুজনের যৌনাঙ্গে লোশন ব্যবহার না করে উষ্ণ পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।

৫। সেক্স শেষে বেশী করে পানি পান করতে হবে।

৬। সেক্সের শেষে হাল্কা গোসল সেরে ঘুমিয়ে পরা উচিৎ।

প্রচণ্ড গরমে সেক্স করার আগে ও পড়ে এসব নিয়ম মেনে চললে বিভিন্ন জ্বালা পরা ও যৌন রগ থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন।

জেনে নিন কীভাবে পাবেন আবেদনময়ী পিঙ্ক ঠোঁট

খুব সহজ কিছু পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা ঠোঁটের হারানো গোলাপী রঙ ফিরিয়ে আনতে পারি। এর জন্য দামী কোনও প্রসাধনীর প্রয়োজন নেই-

০১. প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে আপনি যখন দাঁত ব্রাশ করেন,তখন টুথপেস্টের কিছুটা আপনার ঠোঁটের উপর লাগিয়ে প্রলেপ দিন। কিছুক্ষণ পর ব্রাশ করা শেষ হলে হাতের ব্রাশ টি দিয়ে ঠোঁট ব্রাশ করুন। এজন্য ব্রাশ টিকে অবশ্যই নরম হতে হবে এবং অনেক হালকা ভাবে ব্রাশ করতে হবে। এর ফলে ঠোঁটের এবং ঠোঁটের চারপাশের মৃত কোষ গুলো উঠে আসবে,সতেজ হবে ঠোঁট এবং এর চারপাশ।

০২. প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে অন্তত ৫ মিনিট ঠোঁট ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজ এর জন্য কয়েক ফোঁটা লেবুর রস আমন্ড বাদাম তেলের সাথে মিশিয়ে নিন। এই ট্রিটমেন্টে আপনার ঠোঁটের আর্দ্রতা ফিরে আসবে। নিয়মিত ব্যবহারে খুব সহজেই কালো দাগ কমে আসবে।

০৩. লেবুর রসের সাথে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে লাগালেও একই উপকার পাবেন। অ্যালোভেরা জেল এবং নারিকেল বেটে সাদা রস ঠোঁটে লাগান। নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁটের স্বাভাবিক রঙ ফিরে আসবে।

০৪. পুদিনা পাতা বেটে রস আলাদা করে নিয়মিত ঠোঁটে লাগান। বরফের কিউব নিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন,পরে বাদাম তেল এবং অলিভ অয়েল মিক্স করে ম্যাসাজ করুন। ঠোঁটের ন্যাচারাল কালার ফিরে আসবে।

০৫. দুধের সর এর সাথে ডালিমের বিঁচির গুঁড়ো মিক্স করে ঠোঁটে লাগান। এতে ঠোঁটে গোলাপী আভা আসবে।এক্ষেত্রে সর না নিয়ে ঘি ব্যবহার করতে পারেন।

০৬. অল্প পরিমাণ চিনি এবং কোল্ড ক্রিম একসাথে মিক্স করে ঠোঁটের স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করুন। কোল্ড ক্রিমের বদলে অলিভ অয়েল-ও ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে ঠোঁটের ন্যাচারাল কালার ফিরে আসবে।

০৭. প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে এসে আপনার ঠোঁট থেকে লিপস্টিক বা লিপগ্লস তুলে ফেলুন। তুলে ফেলতে সামান্য একটু তুলায় অলিভ অয়েল বা বাদাম তেল লাগিয়ে হালকা করে মুছে ফেলুন। রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই ঠোঁটের এই মেক-আপ তুলে ফেলতে হবে। আপনার ঠোঁট কালো হওয়ার জন্য এটা বিশেষভাবে দায়ী।

০৮. আমাদের ত্বকের অন্যান্য অংশের মত ঠোঁট থেকেও কিছুটা তেল উৎপন্ন হয়,একে বলে সেবাম। এটা খুব প্রয়োজনীয়। ঠোঁটকে তাই সবসময়ই আর্দ্র রাখতে হবে। বাইরে যাওয়ার সময় লিপ বাম লাগিয়ে যেতে হবে। ঘরে থাকলে কোকো বাটার লাগিয়ে নিন। শুনে অবাক লাগতে পারে কিন্তু শুধু শীতকাল নয়,আপনার ঠোঁটকে গোলাপী রঙের করতে হলে সারা বছর-ই পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে হবে। ঠোঁটের আর্দ্রতা রক্ষায় এটা জরুরী।

০৯. গোলাপের মত ঠোঁট করতে চাইলে গোলাপ ব্যবহার করব না,তাই কি হয়? কিছু গোলাপের পাপড়ি নিন এবং দুধে ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর পাপড়ি গুলো বেটে নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এতে কয়েক ফোঁটা মধু আর গ্লিসারিন দিন। এবার পেস্ট টা আপনার ঠোঁটের উপর ১৫ মিনিট রেখে দিন। এক টুকরো তুলা দুধে ভিজিয়ে পেস্টটি তুলে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে অসাধারণ রেজাল্ট পাওয়া যায়।

১০. গাজরের রস করে একটা বাটি তে নিয়ে,তুলা দিয়ে ঠোঁটে লাগান। এতে খানিকটা স্যাফরন মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে ঠোঁটের আর্দ্রতাও ফিরে আসবে,রঙ-ও ফিরবে একই সাথে।

১১. কমলার খোসা নিয়ে ঠোঁটে লাগান অথবা কমলার খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিয়ে তাতে খানিকটা গোলাপজল মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন।

১২. শশার রস ঠোঁটকে গোলাপী করতে অনেক কার্যকরী। শুধুমাত্র ৫ মিনিট প্রতিদিন শশার রস ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন এবং ফলাফল নিজেই দেখে নিন।

১৩. টমেটো পেস্ট করে নিন এবং এর সাথে ক্রিম মিক্স করে লাগান অথবা টমেটো পেস্ট এর সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে লাগান।

জেনে নিন সৌন্দর্য চর্চায় মধুর ব্যবহার

খাবারের পাশাপাশি রূপচর্চায় বহুদিন থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে মধু। তবে অনেকেরই জানা নেই মধু ব্যবহারের সঠিক নিয়ম। ত্বক ও চুলের যত্নে মধু অতুলনীয়।ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে, বলিরেখা কমিয়ে ত্বক টানটান করতে ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখতে মধুর জুড়ি নেই। পাশাপাশি এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টিকর নানান উপাদান। কোনও ধরনের প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়া বিশুদ্ধ মধু বেশি উপকারি।

ত্বকের নমনীয়তায়

মধু এক ধরনের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি বাতাস থেকে জলীয়কণা ত্বকের ভিতরে টেনে নেয় যা ত্বকের গভীরে নমনীয়তা ধরে রাখতে সাহায্য করে। দীর্ঘসময় ত্বকের নমনীয়তা ধরে রাখতে মধু দারুণ উপকারী।

নিয়মিত ১ টেবিল-চামচ পরিমাণ মধু পরিষ্কার ও শুষ্ক ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পরে কুসুমগরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললে ত্বক হবে কোমল ও মসৃণ।

লোমকূপে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে

মধুতে আছে এনজাইম যা ত্বক ও লোমকূপের গভীরে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে। এছাড়াও মধুতে বিদ্যমান অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, জজবা বা নারকেল তেল ত্বককে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

২ টেবিল-চামচ জজবা তেল বা নারকেল তেলের সঙ্গে ১ টেবিল-চামচ বিশুদ্ধ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে চোখের চারপাশের ত্বক বাদ দিয়ে মিশ্রণটি পরিষ্কার ও শুষ্ক ত্বকে হালকাভাবে হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশ করতে হবে।  তারপর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

কোমলভাবে ত্বক পরিষ্কার

মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এনজাইম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে পরিপূর্ণ। যা ত্বক করে পরিষ্কার, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও মসৃণ। অন্যদিকে, বেকিং সোডাও ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের মৃতকোষ তুলে নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে।

১ টেবিল-চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে ২ টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে পানিতে মুখ ধুয়ে মিশ্রণটি মুখে বা শরীরে বৃত্তাকারে হালকাভাবে মালিশ করে কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার হবে।

ত্বকের কালো দাগ দূর করতে

বিভিন্ন কারণে ত্বকে দাগ হতে পারে যা ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে। মধু দাগ উঠিয়ে ত্বক করে উজ্জ্বল। এর ভেতরে থাকা অ্যান্টিইনফ্ল্যামটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের কালো দাগ কমাতে এবং টিস্যু পুনর্গঠনে সাহায্য করে।

এছাড়াও নারকেল বা জলপাইয়ের তেল ত্বকের মরাকোষ সতেজ দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের হালকা মালিশ রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে ত্বক সুস্থ রাখতে ও কোষ গঠনে সাহায্য করে।
পেতে চান দুধের মত ফর্সা ত্বক? ছেলে, মেয়ে উভয়ের জন্য বিউটি টিপস
দূষণ ও ক্লান্তির কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। তাই অনেকেই ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে শুরু করেন বাজারে সহজলভ্য রং ফর্সা করা প্রসাধনী। তবে এসব পণ্যে এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয় যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই ত্বকের যত্নে ঘরোয়া মাস্ক ব্যবহার করা সব থেকে বেশি উপকারী।  মাস্কগুলো প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি।

এই প্রতিবেদনে এমনই মাস্ক তৈরির পদ্ধতি দেওয়া হল।

মধু ও লেবুর ফেইস মাস্ক

এক টেবিল-চামচ মধুর সঙ্গে এক টেবিল-চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে মিশ্রণটি পুরো মুখে ও গলায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। শুকিয়ে আসলে ১৫ মিনিট পরে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

ময়দার ফেইস মাস্ক

গম ছোলা, ডাল, ভুট্টা ইত্যাদি যে কোন শস্যের তৈরি ময়দা ২ টেবিল-চামচ, এক চিমটি হলুদগুঁড়া এবং পরিমাণ মতো দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে।

যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা এ মিশ্রণের সঙ্গে সামান্য লেবুর রস মেশাতে পারেন। মিশ্রণটি তৈরি করার পর পরিষ্কার মুখে ও গলায় লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে  হবে।

মাস্কটি শুকিয়ে গেলে হালকা হাতে স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

গুঁড়াদুধের ফেইস মাস্ক

এক চামচ গুঁড়াদুধ, এক চামচ মধু এবং এক চামচ লেবুর রস একটি পরিষ্কার পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। মুখ ও গলা ভালোভাবে পরিষ্কার করে মিশ্রণটি লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে  ধুয়ে ফেলতে হবে।

শসা ও লেবুর রসের ফেইস মাস্ক

এক চামচ শসার রস ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে এই মাস্ক তৈরি করতে হবে। মাস্কটি মুখে ও গলায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে।

টমেটো এবং  ময়দার ফেইস মাস্ক

দুই চামচ ময়দা এবং দুই থেকে তিন চামচ টমেটোর রস নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। মুখে ও গলায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর তা ধুয়ে ফেলতে হবে।

উপরের প্রতিটি মাস্ক তৈরির উপাদানই আমাদের হাতের কাছেই পাওয়া যায়। মাস্কগুলো তৈরি করতে ঘরে সহজলভ্য এমন দু’ থেকে তিনটি উপকরণ প্রয়োজন হয়। আর মাস্কগুলো সহজে এবং চটজলদি ব্যবহার উপযোগী।

এই মাস্কগুলো ব্যবহারে ত্বকের কোন ধরনের ক্ষতি হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে না।

ভালো ফলাফলের জন্য প্রথম পর্যায়ে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এবং পরের মাসে দুই থেকে তিনবার এই মাস্কগুলো ব্যবহার করা যাবে।
জেনে নিন বুকের দুধ খেতে কেমন লাগে
বাচ্চারা বুকের দুধ খাওয়ার পর তা কেমন লাগলো না জানাতে পারলেও যেসব স্বামী বা বয়ফ্রেন্ড সঙ্গিনীর বুকের দুধ খেয়েছেন তারা সবাই জানিয়েছেন বুকের দুধের স্বাদ

অনেকটা মিষ্টির মত তবে সাথে রয়েছে খুবই সুন্দর একটি গন্ধ যা দেহ মন ভরিয়ে দেয়। তবে এটার কারন হতে পারে ল্যাকটোজ অথবা চিনি যা বুকের দুধে ব্যাপক পরিমাণে রয়েছে।

দুধ ছবি

তবে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত, ল্যাকটোজ মধুর মত মিষ্টি নয় কিন্তু যে মিষ্টি গন্ধ বুকের দুধে পাওয়া যায় তা ল্যাকটোজের উচ্চ ঘনত্বের কারনেই। তবে দুধে রয়েছে চর্বি যার কারনে স্তনের দুধ সরযুক্ত মনে হয়। যখন বুকের দুধ চোষার কারনে আসা শুরু করে তখন তা পানির মত স্বাদহীন আর পাতলা মনে হতে পারে তবে আর একটু চুষলেই দুধের সাথে যুক্ত হয় চর্বি যা দুধের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয় আর মনে হয় স্বর্গীয়!

দুধ খাব

এছাড়াও বুকের দুধে পাওয়া যায় দৈনন্দিন সব ধরনের খাবার যা স্তন দাত্রী নিজে খেয়ে থাকে। তাইতো নিয়মিত ফলমূল আর শাকসবজি খেয়ে মেয়েরা বুকের দুধ করে তুলতে পারে আরও পুষ্টিকর ও মজাদার। ধারনা করা হয় বাচ্চারা বুকের দুধে যে ধরনের খাবার পায় সাধারণত সে ধরনের খাবারেই তারা পরবর্তীতে অভ্যস্ত হয়ে উঠে।
জেনে নিন ছেলেদের সেক্স কোথায় বেশী থাকে

এসময় দেখা যায় হয়তোবা মেয়েটি কিছুই করছে না, just বিছানায় দেহ এলিয়ে দিয়ে রেখেছে, আর ছেলেটিই যা করার করে মজা লাভ করছে। দুজনেই মনে করে  এটার মাঝেই সেক্সের আনন্দ নিহীত। তাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে দুঃখের বিষয় এই যে তারা দুজনের কেউই সেক্সের আসল মজার অর্ধেকও লাভ করে না। ছেলেটি যেমন মেয়েটিকে আদর করে আনন্দ লাভ করে তেমনি মেয়েটিও ওকে আদর করে আনন্দ লাভ করবে না কেন? বেশীরভাগ মেয়েই মনে করে ছেলেদের আদর করতে যাওয়ার মানেই তাদের লিঙ্গ চুষতে হবে, যা অনেকের কাছেই অত্যন্ত ঘৃনার একটি কাজ। কিন্ত এটি ছাড়াও আরো কত উপায়ে যে মেয়েটি তার ভালোবাসার ছেলেটিকে আদর করতে পারে তা এদেশের মেয়েরা তো দুরের কথা এমনকি বিদেশের অনেক মেয়েরও জানা নেই। বিদেশী মেয়েরা তাও বান্ধবীরা মিলে বিভিন্ন ইন্টারনেটসহ আরো বিভিন্ন উৎস থেকে এ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে। কিন্ত এদেশে সেই সুবিধা নেই বললেই চলে। গেল মেয়েদের কথা, কিন্ত এদেশে এমনকি বহু ছেলেরও নিজের দেহের আনন্দের অংশগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা নেই। তাই ছেলেদেরও এ সম্পর্কে জানার অনেক কিছু আছে। নিজেকেই যদি কেউ না চিনল তবে সে অন্যকে কি করে চিনবে? যে সেক্সের সময় ছেলে ও মেয়ে উভয়েই প্রত্যক্ষ ভুমিকা পালন করে সে সেক্সের আনন্দের কথা ভাষায় বর্ননার চেষ্টা করার দুঃসাহস আমার নেই। আর যেখানে মেয়েটিই সেক্স শুরুর জন্য ছেলেটিকে উত্তেজিত করে তুলতে থাকে অর্থাৎ Seduce করে, সেই সেক্সের আনন্দের কথা তো বাদই দিলাম।

ছেলেদের ক্ষেত্রেঃ
১. চুল ও চুলের গোড়ার ত্বকঃ
প্রথমেই এই হেডিং পড়ে আমাকে সবাই পাগল ঠাউরাতে পারেন; বিশেষ করে ছেলেরা বলতে পারে, আরে ধুর! চুল আবার সেক্সী হল কবে থেকে!  কিন্ত হ্যা, ছেলেদের চুল ও এর গোড়ার ত্বক তাদের অন্যতম একটা স্পর্শকাতর অংশ। তবে এর জন্য প্রয়োজন বিপরীত লিঙ্গের স্পর্শ। ছেলেদের ঘন চুল মেয়েদের কাছে সরাসরি যদি নাও হয়, অবচেতন মনে বেশ আকর্ষনীয় (যাদের মাথায় টাক তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি)। একটা ছেলেকে আদর করতে হলে মেয়েটি তার নরম হাত দিয়ে তার চুলে খেলা করে তার মাঝে সূক্ষ যৌনানুভুতি জাগিয়ে তুলতে পারে। ছেলেটির চুলের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে মেয়েটি পরোক্ষভাবে ছেলেটির প্রতি তার ভালোবাসার সূক্ষ আবেদন ছড়িয়ে দিতে পারে। সেক্সের সময় ছেলেটি মেয়েটিকে আদর করার সময় তার চুল টেনে ধরে মেয়েটি তাকে আরো গভীরভাবে আদরের জন্য উৎসাহ দিতে পারে। যেসব ছেলের চুল কম বা টাক তাদের Scalp (চুলের গোড়ার ত্বক) এ মেয়েদের হাত বুলিয়ে দেয়া, চুমু খাওয়া, জিহবা ছোয়া বেশ Arousing হতে পারে। ছাড়া শুধু যৌনতাই নয় ছেলেটি যখন মেয়েটির বুকে মাথা গুজে তার থেকে একটু উষ্ঞ ভালোবাসার পরশ খুজে, তখন তার চুলে মুখ লুকিয়ে আদর করে মেয়েটিও তার ভালোবাসায় সারা দিতে পারে।  
২. কানঃ
অনেক ছেলেরই কান বেশ স্পর্শকাতর একটি স্থান। কান ও কানের আশেপাশের অংশগুলোতে রয়েছে বহু স্নায়ুপ্রান্ত। মেয়েরা তাদের তর্জনী আর বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে ছেলেদের কানের মূল অংশ ও লতিতে আস্তে আস্তে বুলিয়ে দিতে পারে। ঠোট ও জিহবা দিয়ে কানের লতিতে, কানের পেছনের অংশে স্পর্শ করা, লতিতে হাল্কা করে কামড় দেয়া ছেলেদের জন্য বেশ Arousing. তাছাড়া মেয়েদের নিশ্বাসের শব্দ, হাল্কা শীৎকার ছেলেটির কানে গিয়ে তাকে উত্তেজিত করে তুলতে পারে। তাই মেয়েদের বলছি সেক্সের সময় আপনার মুখ দিয়ে বিভিন্ন আদুরে শব্দ বেরিয়ে আসলে তা যেন আটকানোর চেষ্টা করবেননা। ওর কানে ফিসফিস করে ভালোবাসার কথা বলা, তাকে আপনি কোথায় স্পর্শ করতে যাচ্ছেন, তার কোন জিনিসটি আপনি সবচেয়ে ভালোবাসেন তা বলতে যেন সঙ্কোচ করবেন না।
৩. ঠোট ও জিহবাঃ
শুধু মেয়েদের ঠোটই নয় ছেলেদের ঠোটও তাদের দেহের অত্যন্ত যৌনসংবেদী একটি অঙ্গ। এর সংবেদনশীলতা মেয়েদের ঠোটের মতই। একটি ছেলের ঠোটে একটি মেয়ের স্পর্শ শুধুই তাকে যৌনত্তেজিত করে তোলে না বরং মেয়েটির কাছাকাছি থাকার এক অপূর্ব অনুভুতি জাগিয়ে তোলে। ঠোটের মাধ্যমে মেয়েটি তার সঙ্গী তাকে যে ভালোবাসার অনুভুতি দান করছে ঠিক একইভাবে তার প্রতিদান দিতে পারে। ছেলেরা দারুন উত্তেজিত হয় যখন একটি মেয়ে তার ঠোট বিশেষ করে নিচের ঠোটটি চুষে ও হাল্কা হাল্কা কামড় দেয়। এ অবস্থায় ছেলেটির ঠোটের নিচে ও থুতনীর উপরের অবতল অংশটিতে জিহবা দিয়ে ছুয়ে দেওয়া ওর জন্য বেশ teasing. আর নিজের জিহবা ছেলেটির জিহবার সাথে লাগানো সেতো ছেলেটির জন্য আরো উত্তেজনাকর। ওর জিহবাটি চুষে দেয়া ওটার সাথে লুকোচুরি খেলা এসব কিছুই এর অংশ। এছাড়াও চুমুতে নতুনত্ব আনার জন্য মেয়েটি চুমু খাওয়ার পূর্বে তার মুখের ভেতরে একটি ছোট বরফের টুকরো ভরে নিতে পারে; চুমু খাওয়ার সময় তা দুজনের দেহ দিয়েই আনন্দের শিহরন বইয়ে দেবে। এছাড়াও ছেলেটি নিজে কিছু করার আগেই মেয়েটি নিজেই ছেলেটির মুখ তার নিজের গলা, গাল, বুকের ভাজ এসব Hot স্থানে নিয়ে যাওয়া ওর জন্য দারুন একটা Turn On (এর আক্ষরিক অর্থ আমার জানা নেই, বলা যেতে পারে ‘উত্তেজনার শুরু’)
৪. গলাঃ
মেয়েদের মতই ছেলেদের গলাও অত্যন্ত স্পর্শকাতর। Sexual Reflexology বইটির লেখক Master Mantak Chia বলেছেন, ‘ছেলেদের গলার Adam’s Apple (ছেলেদের গলার ফোলা অংশটি) এর নিচের অংশটি দেহের বহু স্পর্শকাতর অরগানিজমের (অর্গাজম নয়, অর্গানিজম। যার অর্থ ইন্দ্রিয়) সাথে সম্পৃক্ত।’ তাই এখানে চুমু খাওয়া, জিহবা বুলিয়ে দেওয়া ও চুষা ছেলেটির জন্য দারুন Turn on. বিশেষ করে তার ঠোটে চুমু খাওয়ার পর। জোরে জোরে ছেলেটির গলায় চুমু খাওয়া, কামড় দেয়া ও চুষা তার জন্য বেশ উত্তেজনাকর হতে পারে। কিন্ত আপানারা যদি পরদিন সবাইকে জানিয়ে দিতে না চান যে রাতে কি হয়েছিল তবে ওর গলায় কামড় দেয়া ও চুষার সময় একটু নিজেকে একটু নিয়ন্ত্রন করতে হবে (এটা মেয়েদের গলায় চুষার বেলায়ও প্রযোজ্য)। কারন এভাবে চুষলে বা কামড়ালে যে লাভ বাইটস (লাল দাগ) থেকে যায় তা মিলিয়ে যেতে দুই তিনদিনও লাগতে পারে। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি যদি কোন জুটি হানিমুনে বা ছুটি কাটাতে দূরে কোথাও যায়, বিশেষ করে বিদেশে, যেখানে লোকলজ্জার খুব একটা ধার না ধরলেও চলে, সেরকম কোন সময় ছেলে মেয়ে উভয়ের গলায় বা গালে এ সুন্দর টুকটুকে লাল স্পটগুলো তাদেরকে একজন-আরেকজনের প্রতি আরো বেশি আকৃষ্ট করে তুলবে। সে যাই হোক, ছেলেদের গলায় আদর করার সময় প্রথমে হাল্কা চুমু ও জিহবার আলতো স্পর্শ দিয়ে শুরু করতে হবে। তারপর আস্তে আস্তে আরো আবেগময় ভাবে উপর থেকে জিহবা লাগিয়ে ওর Adam’s Apple এ নেমে আসতে হবে তবে সেখানে যেন কোন চাপ না পড়ে। সেখানে হাল্কা ভাবে ঠোট দিয়ে একটু চুষে এর ঠিক নিচেই যে অংশটি আছে সেখানে বৃত্তাকারে জিহবা বুলিয়ে দিয়ে তাকে আদর করা যায়। এসময় ওর গলার নিচে, কলারবোনের উপর হাত বুলিয়ে দেয়া যেতে পারে। এছাড়াও ছেলেদের গলার পিছনদিকটাও বেশ স্পর্শকাতর। আপনার সঙ্গী যখন খুব ব্যস্ততার সাথে টেবিলে বসে কাজ করছে বা কোথাও চলে যাচ্ছে তখন যাবার আগে ওকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে ওর গলার পিছনে হাল্কা করে চুমু বা আদুরে কামড় দিয়ে তাকে জানিয়ে দিতে পারেন যে আপনি তাকে ভালবাসেন এবং সে না ফেরা পর্যন্ত তাকে কাছে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন।
৫. বুক (Chest) ও নিপলসঃ
ছেলেদের বলিষ্ঠ ও পেশীবহুল বুক তাদের পুরুষত্বের প্রতীক। এটি বেশ স্পর্শকাতরও বটে। এই স্থানে মেয়েদের নরম হাতের স্পর্শ তাদের জন্য অসাধারন Turn On. এখানে চুমু খাওয়া, জিহবা বুলানো, কামড়ানো ছেলেদের দারুন এক অনুভুতি সৃষ্টি করে। প্রথমে হাল্কাভাবে শুরু করে তারপর একটু Roughly করার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। অনেক ছেলে এখানে মেয়েদের হাল্কা আদর আর অনেকে উগ্র আদর পছন্দ করে। এটা মেয়েটিকে তার সঙ্গীর প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝে নিতে হবে। ছেলেদের নিপল অত্যন্ত স্পর্শকাতর স্থান। তাই প্রথমে হাত দিয়ে নিপলস এর আশে আশে বুলিয়ে আস্তে আস্তে নিপলের কাছে যেয়ে হাতের তর্জনী আগা দিয়ে (Finger tip) সেটা ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। তারপর মুখ নামিয়ে প্রথমে চেস্টে জিহবা লাগিয়ে কোন-আইসক্রিম এর উপরটা যেভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খাওয়া হয় সেভাবে ওর নিপলস এর দিকে আগাতে হবে। নিপলসে প্রথমে আলতো ভাবে জিহবার আদর দিলে যদি তা ছেলেটির ভালো লাগে তবে আরো একটু জোরে জিহবা বুলিয়ে দিয়ে তারপর ঠোট নামিয়ে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের মত নিপলটা চুষা যেতে পারে। ছেলেটির চেস্টে মুখ দেয়ার আগে মেয়েটি তার মুখে একটি বরফ চুষে নিলে তার শীতল জিহবার স্পর্শ ছেলেটার স্পর্শকাতর নিপলস দিয়ে বিদ্যুতের মত কামনার আগুন ছড়িয়ে দেবে। ছেলেটি যদি নিপলসে মেয়েটির রুক্ষ স্পর্শ পছন্দ করে তবে সেখানে ছোট ছোট কামড় ও দেয়া যেতে পারে।
৬. হাটুঃ
ছেলেদের হাটু সেক্সের কামনা জাগিয়ে তোলায় ও মৈথুনের সময় সুখবৃদ্ধির জন্য বেশ কিছুটা ভুমিকা রাখে। কিভাবে ছেলে মেয়ে উভয়ের হাটুতে পা বুলিয়ে Footsie করে আনন্দ পেতে পারে তা তো আগের পোস্টেই বলেছি। এ বিষয়ে তাই আর বেশি কিছু বললাম না। যখন সেক্সে মৈথুনের সময় ছেলেটি শুয়ে থাকবে ও মেয়েটি তার উপরে উলটো দিকে মুখ করে বসে থেকে উপরনিচ করবে (অর্থাৎ যে কাউগার্ল সেক্স পজিশনে ছেলেটি মেয়েটির শুধু পিঠ দেখতে পাবে ও মেয়েটির সামনে ছেলেটির পা থাকে) তখন মেয়েটি মৈথুন করতে করতে ঝুকে দুই হাত দিয়ে ছেলেটির হাটুতে হাত বুলিয়ে দিতে পারে।
৭. পিঠ ও কাধ (Shoulder):
অনেক ছেলে নিজেই জানে না তাদের পিঠ ও কাধ কতটা যৌনস্পর্শকাতর স্থান। পিঠের কোন কোন স্থানগুলো বেশি স্পর্শকাতর সেগুলো বিভিন্ন ছেলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হয়। ছেলেটির সঙ্গিনী তার সেক্সের পূর্বে এমনকি ওরা ঘুমাতে শুয়েছে এমনসময়ও ওর পিঠে নিজের হাত বুলিয়ে বুলিয়ে সে স্থানগুলো আবিস্কার করতে পারে। ছেলেটি যদি কাজ থেকে ফিরে অত্যন্ত ক্লান্ত থাকে অথবা একবার সেক্স করার পর ক্লান্তিতে এলিয়ে পড়ে অথচ তার সঙ্গিনীর যৌন আকাঙ্খা অপুর্ন থাকে তবে মেয়েটি ওকে উজ্জীবিত করে তোলার জন্য একটি কাজ কর‌তে পারে। ছেলেটিকে উপুর করে বিছানায় শুইয়ে তার নিতম্বের উপরের অংশ থেকে একেবারে গলা পর্যন্ত হাত দিয়ে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ শুরু করতে হবে, তার গলা পর্যন্ত গিয়ে দুই হাত তার কাধে নিয়ে একটা চাপ দিয়ে আবার নিচে নিতম্বের উপর পর্যন্ত নামিয়ে আনতে হবে। এরকম করে তারপর মুখ নামিয়ে ওর পিঠে এমনভাবে চুমু খাওয়া শুরু করতে হবে যেন সেখানের একটি স্থানও অবহেলিত না থাকে। এরপর জিহবা বের করে নিতম্বের উপর থেকে বুলাতে বুলাতে গলায় উঠে এভাবে আদর করে, স্থানে স্থানে চুষে ও কামড় দিয়ে ছেলেটিকে উজ্জীবিত করে তোলা যায়। এই আদর সেক্সের মধ্যেও চলতে পারে। এছাড়াও ছেলেটি যখন খালি গায়ে কোথাও দাঁড়িয়ে আছে বা কিছু করছে (গুরুত্বপুর্ন কিছু নয়। এমনকিছু যেটায় ব্যঘাত ঘটলে কোন সমস্যা হবে না।), তখন তার পিছনে গিয়ে হঠাৎ করে তাকে জড়িয়ে ধরে তার ঘাড়ে চুমু খেতে থাকা, জিহবা বুলিয়ে দেয়া ওর জন্য অত্যন্ত Arousing ও Sexy.
৮. উরুঃ
মেয়েদের মতই ছেলেদের উরুও তাদের একটা বেশ স্পর্শকাতর স্থান, বিশেষ করে ভিতরের দিকের অংশটি। কিন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, ছেলেদের এই স্থানটা বেশিরভাগ মেয়েদের দ্বারাই অবহেলিত হয়। ওরা মূলত এর নিকটবর্তী আইফেল টাওয়ারের দিকেই বেশি মনোযোগী হয়। কিন্ত মেয়েটি যখন এই স্থানটিতে হাত বুলায়, চাপ দেয়, চুমু দেয়, কামড় দেয়, জিহবা দিয়ে আদর করে তখন ছেলেটি তার লিঙ্গে মেয়েটির এ আদর পাওয়ার জন্য পাগলের মত হয়ে যায়। কিন্ত ওর কথা না শুনে ওকে এভাবে tease করে তাকে উত্তেজনায় উম্মাদের মত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া যায়।
৯. নিতম্বঃ
মেয়েদের মত ছেলেদের নিতম্বও তাদের বেশ স্পর্শকাতর একটি স্থান। মুলত এখানে মেয়েদের হাতের জোর চাপ ও চাপর, নখের আচড় এগুলো ছেলেটিকে বেশ উত্তেজিত করে তুলে। বিশেষ করে কিস করার সময় ছেলেটিও যখন মেয়েটির নিতম্বে হাত বুলাতে থাকবে সেসময় ওর নিতম্বে এধরনের রুক্ষ আদর ছেলেটিকে বেশ উত্তেজিত করে।
১০. পেরিনিয়ামঃ
ছেলেদের অন্ডথলির নিচে ও পায়ুছিদ্রের মাঝের যেই ফাকা অংশটি রয়েছে সেটাই পেরিনিয়াম। ছেলেদের এই অঞ্চল মেয়েদেরটার চেয়ে একটু বড় হয়। এই অংশ মেয়েদের চেয়েও ছেলেদের বেশি সংবেদী, কারন এই অংশটির নিচেই রয়েছে প্রস্টেট গ্ল্যান্ড। লিঙ্গের হাত দেয়ার আগে এখানে হাত বুলানো ও চাপ দেয়া ছেলেটির জন্য দারুন Turn On.
১১. লিঙ্গঃ
ছেলেদের সবচাইতে যৌনত্তেজক স্থান। বেশিরভাগ মেয়েই Foreplay’র সময় হাত দিয়ে ছেলেটির লিঙ্গ ধরে খেলতে পছন্দ করে এবং তাতে ছেলেরাও যথেস্ট আনন্দ পায়। কিন্ত সেখানে মেয়েটির নরম ঠোটের স্পর্শ, মুখের ভিতরের উষ্ঞতা ছেলেটির সারা দেহ দিয়ে যে চরম সুখের অনুভুতি বইয়ে দেয় তা শুধু ছেলেরাই বলতে পারবে। এই ব্যাপারটিতেই বেশিরভাগ মেয়েরই একেবার ঘোর অনিহা। লেখার শেষাংশে এই বিষয়ে ও কি করে হাত দিয়ে ও মুখ দিয়ে কিভাবে ছেলেটির লিঙ্গে আদর করা যায় তা নিয়ে বলছি। তার আগে আলাদাভাবে লিঙ্গের বিভিন্ন অংশগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ক) লিঙ্গের মাথাঃ ছেলেদের সবচাইতে যৌনস্পর্শকাতর স্থান। এটাকে মেয়েদের ক্লাইটোরিসের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। এটির মধ্যে রয়েছে অসংখ্য স্নায়ুপ্রান্ত যার কারনে এটি অত্যন্ত সংবেদী। লিঙ্গের মূল অংশ থেকে এই মাথাটিকে আলাদা করেছে যে অংশটি সেখান থেকে এর সংবেদনশীলতা বাড়তে বাড়তে একেবারে ছিদ্রটির আশে পাশে গিয়ে সর্বোচ্চ। মেয়েদের ক্লাইটোরিসের মতই এটিকে নিয়ে খেলা করতে যাওয়ার সময় মেয়েদের একটু সতর্ক হতে হবে। এই স্থানে অতিরিক্ত চাপ বা আচমকা আক্রমনে এমনকি ছেলেটির শক্ত হয়ে যাওয়া লিঙ্গও সাময়িকভাবে নেতিয়ে পড়া শুরু হতে পারে।
খ) ফ্রেনুলাম (Frenulam): লিঙ্গের পেছনের দিকে, যেখানে অন্ডকোষ থেকে লিঙ্গের মাথা পর্যন্ত একটি নালী অনুভব করা যায়, সেই নালী যে স্থানে শেষ, অর্থাৎ যেখানে লিঙ্গের মুল অংশটি এর মাথার সাথে সংযুক্ত সেই ছোট্ট স্থানটি অত্যন্ত সংবেদী। এখানে just আঙ্গুল দিয়ে ঘষলেও সেটা ছেলেটির জন্য দারুন উত্তেজনার।
গ) দন্ড (Shaft): ছেলেদের লিঙ্গের মূল অংশটি যে বেশ স্পর্শকাতর এটা আশা করি আর কাউকে বলে দিতে হবে না? এই অংশটি প্রায় সম্পুর্নই বিভিন্ন পেশী ও রক্ত নালীর সমন্বয়ে গঠিত। তাই এ অংশটি লিঙ্গের অন্যান্য স্থানের তুলনায় সবচেয়ে বেশী চাপ সহ্য করতে পারে। এখানে মেয়েটির হাতের মৃদু থেকে মধ্যম চাপ বেশ উত্তেজনাকর।
ঘ) লিঙ্গ ও দেহের সংযোগস্থলঃ ছেলেদের লিঙ্গটি যে স্থানে দেহের সাথে সংযুক্ত হয়েছে ঠিক সেই স্থানটি অর্থাৎ লিঙ্গের গোড়া ও অন্ডকোষের ঠিক উপরের অংশটি বেশ স্পর্শকাতর। তবে এ অংশটিতে আদর করে ছেলেটিকে পরিপুর্ন আনন্দ দিতে শুধু মেয়েটির হাতের স্পর্শ নয় তার….উম…উপপসস! তার জিহবার স্পর্শও প্রয়োজন!
১২. অন্ডথলিঃ
এটিও ছেলেদের এমন একটি স্পর্শকাতর স্থান যেটি অনেক মেয়েই এড়িয়ে যায়। এই থলিটির পর্দা ও মেয়েদের যোনির ল্যাবিয়া ম্যাজোরা একই Embryonic tissue দ্বারা গঠিত। এই স্থানে মেয়েটির হাতের স্পর্শ দারুন এক Turn On হতে পারে ছেলেটির জন্য। কিভাবে এটিতে আদর করা যায় সে ব্যাপারে একটু পরেই আসছি।
১৩. পায়ুছিদ্র ও পথঃ
ছেলেদের এই অংশগুলো বেশ স্পর্শকাতর। বিশেষ করে এখানে পিউডেন্ডাল নার্ভের শাখা থাকার কারনে এই স্থান ছেলেদের মলত্যাগের প্রবনতা সৃষ্টি করা ছাড়াও তাদের যৌনানন্দেও কিছুটা ভুমিকা রাখে। তাই এই ছিদ্র দিয়ে বিশেষ করে ছেলেটিকে চুমু খাওয়ার সময়, বা তার লিঙ্গে আদর করার সময় একটি বা দুটি আঙ্গুল (নখহীন) ঢুকিয়ে ওঠানামা করানো বেশ আনন্দের হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আঙ্গুলে আঙ্গুলে পিচ্ছিল কিছু লাগিয়ে নিতে হবে, বিশেষ করে সাধারন কাপড় কাচার সাবান দিয়ে পিচ্ছিল করে নেওয়া নিরাপদ, অন্যকিছু লাগাতে গেলে তা ওই ওইস্থানের ক্ষতি করতে পারে। এছাড়াও স্থানটি সুগন্ধী সাবান জাতীয় কিছু দিয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে যেন কোন প্রকার ঘেন্নার অনুভুতির উদ্রেক না হয়। ইচ্ছে করলে মেয়েটি এখানে প্রবেশ করানোর পূর্বে আঙ্গুলে কনডম পড়ে নিতে পারে।
১৪. প্রস্টেট (Prostate):
ছেলেদের দেহের একটি অত্যন্ত যৌনসংবেদী একটি অংশ। এর অবস্থান পেলভিক অঞ্চলে মুত্রথলির ঠিক নিচেই। যৌনসংবেদীতার দিক দিয়ে এটিকে মেয়েদের জি-স্পটের সাথে তুলনা করা হয়। এর মূলকাজ বীর্যরসের কয়েকটি উপাদানের যোগান দেয়া হলেও এটির সাথে মানুষের যৌন সংবেদী পিউডেন্ডাল নার্ভ এর সংযোগ আছে বলে শুধুমাত্র এটিকে উত্তেজিত করেই ছেলেটির অর্গাজম হতে পারে। আর সে অর্গাজম কোন কোন ছেলের ক্ষেত্রে তাদের লিঙ্গের অর্গাজমের চেয়েও বেশি আনন্দের হতে পারে (আমার নিজেরও সে অভিজ্ঞতা হয়েছে)। শুধু মেয়েরাই যে এটায় আদর করতে পারে তাই না ছেলেটি নিজেও মাস্টারবেশনের সময় এটা উত্তেজিত করে তুলতে পারে। এর জন্য প্রথমে আঙ্গুলে পিচ্ছিল কিছু লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর পায়ুছিদ্রে আস্তে আস্তে আঙ্গুল ঢুকিয়ে প্রথমে কিছুক্ষন ওঠানামা করিয়ে একটু সহজ হয়ে নিতে হবে। উল্লেখ্য এসময়ও বেশ সুখের অনুভুতি হয়। এবার আস্তে আস্তে এর ছিদ্রের ভেতরে আঙ্গুলটি নাড়াচাড়া শুরু করতে হবে। এরপর বিশেষ করে যেদিকে লিঙ্গ আছে সেদিকের দেয়ালে বেশী বেশী চাপ দিতে হবে। অনেকে শুধুই এভাবে উত্তেজিত নাও হতে পারে। তাদের জন্য আরেকটি হাত দিয়ে লিঙ্গে বুলাতে থাকতে হবে। এভাবে চালিয়ে যেতে থাকলে কি হবে তা আর বললাম না, নিজেই বা নিজেরাই চেষ্টা করে দেখুন!

Wednesday 23 December 2015

একান্ত গোপন কথা স্ত্রীকে বলা কী ঠিক? জেনে নিন

দাম্পত্য সম্পর্কে বিশ্বাস থাকা ও রাখা খুবই জরুরি। অনেক সময় সঙ্গীর ওপর বিশ্বাস নষ্ট হলে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা বেশ কঠিন হয়ে যায়। আর এই বিশ্বাস রক্ষার জন্য স্বামীরা অনেক কিছু স্ত্রীর কাছে গোপন রাখে।



তাদের ধারণা, কিছু বিষয় স্ত্রী না জানলে সংসার সুখের হবে। সেটা আপনার অতীতের কোনো ঘটনা হতে পারে, আবার বর্তমানের কোনো সমস্যাও হতে পারে।

কিন্তু এই বিষয়টি যদি সে আপনার কাছ থেকে না জেনে অন্যের কাছ থেকে জানে তাহলে আপনার স্ত্রী আরো বেশি কষ্ট পাবে। তাই নিজেই স্ত্রীকে গোপন কথা খুলে বলুন। দেখবেন, জীবনটা কত সহজ হয়ে যায়।

কীভাবে, কখন গোপন কথা স্ত্রীকে বলবেন সে সম্বন্ধে কয়েকটি উপায়ের কথা বলা হয়েছে বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের লাইফস্টাইল বিভাগে। আপনি চাইলে এই পরামর্শগুলো একবার দেখে নিতে পারেন-

১. নিজে ভালো করে বুঝে নিন কথাটি স্ত্রীকে বলা জরুরি কি না। যদি গোপন কথাটি আপনার জন্য নিরাপদ না হয় তাহলে সেটি স্ত্রীকে না বলাই ভালো। কোন কথাটি বলতে হবে আর কোন কথাটি জরুরি না সেটা আগে বুঝতে হবে। যে কথাটি আপনি ছাড়া আর কেউ জানে না এবং খুবই স্পর্শকাতর কোনো বিষয়, যা জানলে সংসার ভেঙে যেতে পারে সেটা না বলাই ভালো।



২. যদি স্ত্রীকে অতীত নিয়ে কিছু বলতেই চান তাহলে নিজের মন থেকে দুশ্চিন্তা দূর করুন। নিজে আগে অতীতকে ভুলতে শিখুন। তাহলে আর স্ত্রীর কাছে বলতে কোনো দ্বিধা থাকবে না।

৩. যদি একসঙ্গে সব গোপন কথা স্ত্রীকে বলে দেন তাহলে হয়তো আপনার সঙ্গী বিষয়টি ঠিকমতো নিতে পারবে না। তাই সময় নিয়ে ধীরে ধীরে কথাগুলো বলার চেষ্টা করুন। একদিনে সব না বলে কয়েক দিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে একটু একটু করে আলোচনা করতে পারেন।

৪. এটা ভাবা ঠিক না যে, কোনো গোপন কথা বলবেন আর স্ত্রীর কোনো প্রতিক্রিয়া থাকবে না। স্ত্রীকেও সময় দিন বিষয়টি সামলে নিতে। দেখবেন, আস্তে আস্তে সেও সবকিছু মেনে নেবে।

৫. গোপন কথাটি শোনার পর হয়তো আপনাদের দাম্পত্য সম্পর্কে ঝামেলা তৈরি হতে পারে। তাই আগে থেকেই প্রস্তুত থাকুন যেকোনো পরিস্থিতি সামলে নিতে। আপনার স্ত্রী হয়তো আপনার ওপর রাগ করে কোনো দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই কথাটি বলে ফেলার পর নিশ্চিন্তে থাকার কোনো মানে নেই। পরিস্থিতি ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টিতে একটু নজর রাখুন।

মেয়েদের যেসব বদভ্যাস ত্যাগ করা উচিৎ জেনে নিন!

রাস্তাঘাটে, স্কুল-কলেজে, অফিসে বা বাড়িতেও নিজের ইজ্জত নিজেকেই ধরে রাখতে হয় মেয়েদের। কথাটা সেকেলে হলেও, সেটাই একমাত্র রাস্তা। ব্যক্তিত্বে সম্ভ্রম না থাকলে ছেলেরা মেয়েদের সস্তা মনে করে। তখনই ঘটে বিপদ। তাই প্রথমেই কিছু বদভ্যাস ত্যাগ করতে হবে মেয়েদের। সেগুলি কী কী জেনে নিন –


১. গোপনেই থাক অন্তর্বাস:
অনেক মেয়ের জামার বাইরে ব্রা স্ট্র্যাপ বেরিয়ে থাকে। অনেকসময় সেটা অজান্তেই ঘটে। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এক নয়। কিছু মেয়ে আছে যারা ইচ্ছাকৃত ব্রায়ের স্ট্র্যাপ বের করে রাখে। স্বাভাবিক ভাবেই পুরুষের নজর সেদিকে যায়। মেয়েটিকে উদ্দেশ্যে করে খারাপ ইঙ্গিত করে। খুব ভদ্র ছেলেরা আবার এ সব মেয়েদের দিকে তাকায় না। কিন্তু মনে মনে মেয়েটিকে সম্মানও দেয় না।

২. ছেলেদের সঙ্গে কথা বলতে হবে দূর থেকে:
ঘাড়ের উপর উঠে কথা বলে যে সব মেয়ে, তাদের সহজলভ্য ভেবে নেয় সবাই। ছেলেরা মনে করে মেয়েটি গায়ে পড়া। বাকি মেয়েরা তার সঙ্গে মিশতে চায় না। সত্যি বলতে কী, এমন মেয়ে কখনওই কারোর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

৩. অশালীন মেসেজ করলে সস্তা ভাবে ছেলেরা:
ভুল করে বা ইচ্ছা করে কোনও ছেলেকে অশালীন মেসেজ করার অভ্যেস ছাড়তে হবে এবার। এই কু-অভ্যেসটি ইদানিং তৈরি হয়েছে মেয়েদের মধ্যে। সারাদিন হোয়াটস্অ্যাপে বুড়ো আঙুল নাড়িয়েই চলেছে তারা। ফলে বান্ধবীর সঙ্গে হাসিমজা করতে করতে কোনও ইঙ্গিতবাহী মেসেজ সে পাঠিয়ে দিল কোনও ছেলেকে। কিছুদিন আগে প্রেমিককে স্তনের ফোটো পাঠাতে গিয়ে অফিসের বসকে ফোটোটি পাঠিয়ে দিয়েছিল এক তরুণী। সে নাকি ভুল করে এমনটা করে ফেলেছিল। প্রশ্ন উঠে, সত্যিই কি ভুল করেই এমন কাজ? নাকি সামনেই প্রোমোশন ছিল বলে এই ঘুষ!



৪. ছেলেদের গায়ে হাত দিয়ে কথা নয়:
পরিচিত, স্বল্প পরিচিত ছেলেদের গায়ে হাত দিয়ে কথা বলার স্বভাব অনেক মেয়েরই থাকে। বিশেষ করে বিবাহিত মেয়েরা মুখে “ভাই ভাই” বলে গায়েফায়ে হাত দিয়ে দেয় অনেক ছেলের। সেটা কিন্তু যথেষ্টই উশকে দেওয়ার মতো কাজ। ছেলেটিও যদি মেয়েটির গায়ে পালটা হাত দেয়, তখন?

৫. সবার সামনে পোশাক ঠিক করা নয়:
অনেক মেয়েই ছেলেদের সামনে টেনে টেনে পোশাক ঠিক করে। এটা খেয়াল করে দেখে না, ছেলেরা তার আচরণে অপ্রস্তুত বোধ করছে। ফলে হয় কী, মেয়েটিকে সহজলভ্য ভেবে নেয় তারা। ভাবে এই মেয়ের কোনও আত্মসম্মান নেই। এই মেয়ের শরীর স্পর্শ করলেও কিছু বলবে না!

৬. অন্তর্বাস বারান্দায় মেলা নয়:
অনেক মেয়ের এই দোষ আছে। অন্তর্বাস কেচে প্রকাশ্য বারান্দায় বা ছাদে তা শুকোতে দেয়। এটা ভাবে না অন্য বাড়ির পুরুষ, পথচলতি মানুষ সেটা দেখতে পাচ্ছে। তারা জেনে যাচ্ছে মেয়েটির অন্তরের রহস্য। এমন ক্ষেত্রে শুধু মেয়েটির ব্যাপারে নয়, তার গোটা পরিবার সম্পর্কেই খারাপ ধারণা পোষণ করতে শুরু করে পুরুষ কুল। তাই সাবধান, বাথরুমের রডে বা মেলে রাখা কাপড়ের নীচে অন্তর্বাস শুকোতে দিন। প্রকাশ্যে নয়।

বড় ছেলের বন্ধুর সাথে শারীরিক সম্পর্ক, ও আমাকে বিয়ে করতে চায়!

জীবন থাকলে সম্পর্ক থাকবেই। আর সম্পর্ক থাকলে থাকবে সমস্যা। আর সম্পর্ক ভিত্তিক সেই প্রশ্নগুলোর উত্তরে পরামর্শ। নীল তারা (ছদ্মনাম) নামে এক গৃহবধূ জানিয়েছেন নিজের একান্ত ব্যক্তিগত সমস্যার কথাটি।

“আমার বয়স প্রায় ৪৫। ইন্টার পড়ার সময়েই আমার বিয়ে হয় মা বাবার পছন্দে। বরের বয়স তখন ছিল ৩৫, আমার চাইতে অনেক বড়। তিনি দেখতেও ভালো ছিলেন না। তাঁকে আমার কখনোই ভালো লাগেনি। মা বাবার কারণে মুখ বুজে সহ্য করে গিয়েছি। ২০ বছর বয়সে আমার প্রথম সন্তান হয়, ছেলে। ওর বয়স এখন প্রায় ২৫। (আমার প্রেমিকও ২৫) আমার আরেকটি ছেলে আছে, ওর বয়স ১৮।

আমার স্বামী খুব ব্যস্ত মানুষ , বেশিরভাগ সময় দেশের বাইরে থাকেন। ছোট ছেলে দার্জিলিং-এ পড়াশোনা করে। বড় ছেলে ও আমি জীবনের বেশির ভাগ সময়টা একাই থেকেছি। ছেলের বন্ধুরা সব সময়েই বাড়িতে আসতো, আমি বাঁধা দিই নি। বছর তিনেক আগে ছেলের সাথে ভার্সিটির এক বন্ধু আসে। ছেলেটি ভীষণ সুন্দর দেখতে। এখানে বলে রাখি, আমিও যথেষ্ট রূপবতী। এখনো আমার বয়স বোঝা যায় না, ফিগারও আকর্ষণীয়।

ছেলেটি প্রথমদিন আসার পর থেকেই ঘনঘন বাসায় আসতে থাকে। সে আমাকে প্রচণ্ড গুরুত্ব ও সময় দিত। অনেক প্রশংসাও করতো। আমার ছেলে যখন বাসায় থাকত না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তখনই আসত সেই বন্ধু।

আমাকে বলত ছেলেকে না বলতে, আমিও জানাতাম না। গল্প করতাম, খুব ভালো লাগত। এভাবে আমরা পরস্পরের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ি। ও বলে আমাকে না পেলে সে আত্মহত্যা করবে। আমি তার স্বপ্নের নারীর মত। তার আবেদনে সাড়া দিই। আমাদের মাঝে নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক হতে শুরু করে।

আমরা পরস্পরকে গভীরভাবে ভালোবেসে ফেলি। তার সাথে শারীরিক সম্পর্কটা আমি খুব উপভোগ করি, যা এত বছরের বিবাহিত জীবনে করিনি। আমরা পরস্পরকে ছাড়া থাকতে পারি না। আমার প্রতি ওর ভালোবাসাটাও খুব খাঁটি। ও আমাকে এখনই বিয়ে করতে চায়। বলে পরিবার সমাজ সব ছেড়ে দিবে। আমাকে নিয়ে দেশের বাইরে চলে যাবে। আমি ছেলেদের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।

এভাবেই চলছিল। কিন্তু ৩/৪ আগে একটি ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। আমার ছেলের প্রেমিকা আমাদের সম্পর্কে জেনে যায়। আমার ছেলে, ছেলের বন্ধু, ছেলের প্রেমিকা ওরা সবাই সমবয়সী। একই সাথে লেখাপড়া করেছে। যেভাবেই হোক, মেয়েটি আমার প্রেমিকের মোবাইলে আমাদের কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি দেখে ফেলে ও হুমকি দেয় যে আমার ছেলেকে সব জানিয়ে দেবে। মেয়েটি এখনো কিছু জানায় নি। কিন্তু জানিয়ে দিলে আমার মরে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। আমি বুঝতে পারছি না এখন কী করবো। শুধু আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানিয়েছেন তাঁর জীবন কাহিনী। একজন মানুষের জীবনের আত্মকাহিনী প্রকাশ করলাম। পাঠকদের কাছে যদি কোনো সমাধান থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

নারীর স্তনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জরুরী ১২ টি কাজ

সৌন্দর্য এবং স্বাস্থ্য রক্ষায় আমাদের বিশেষ মনোযোগ থাকলেও স্তনের স্বাস্থ্যের প্রতি বেশীরভাগ নারীরই তেমন উৎসাহ দেখা যায় না। অথচ শরীরের আর দশটি অঙ্গের মতো স্তনের যত্ন নেওয়াটাও জরুরী। বিশেষ করে ৩০ বছরের পর আমাদের জীবনযাত্রা এবং স্বাস্থ্যগত পরিবর্তনের কারণে স্তনের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করাটাও হয়ে পড়ে জরুরী। জেনে নিন স্তনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবশ্য করণীয় কিছু কাজ।


১. ব্যবহার করুন সঠিক মাপের ব্রা –
আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর ব্রা ব্যবহার করুন এবং অবশ্যই সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার করুন। সময়ের সাথে ব্রা সাইজ চেঞ্জ হতে পারে এ কারণে এক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরী।

২. মাঝে মাঝে ব্রা ছাড়াই থাকুন –
বাড়িতে ব্রা ছাড়াই থাকার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীর অনেকটা শান্তি পাবে। মাঝে মাঝে স্পোর্টস ব্রা Bra পরেও থাকতে পারেন।

৩. মাসাজ করুন –
শুধু হাত-পা নয়, রক্ত চলাচল বজায় রাখতে মাঝে মাঝে স্তন breast মাসাজ করতে পারেন।

৪. নিজে থেকেই পরীক্ষা করুন –
নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করলে ক্ষতি কোথায়? কোনো রোগ আপনার স্তনে বাসা বেঁধেছে কিনা তা জানতে মাঝে মাঝে স্তন পরীক্ষা করুন নিজেই। স্তনে কোনো রকম পরিবর্তন দেখতে পেলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।



৫. স্বাস্থ্যকর খাবার খান –
মধ্যবয়সে মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায়। এ সময় থেকেই বেশি করে ফলমূল এবং শাকসবজি খাওয়া উচিৎ। এতে সারা শরীরের পাশাপাশি আপনার স্তন থাকবে সুস্থ।



৬. ময়েশ্চারাইজিং –
সারা শরীরের ত্বকের মতো স্তনের ত্বকেও পড়তে পারে বয়সের ছাপ, বলিরেখা এবং কুঞ্চন। এ কারণে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করাটা জরুরী।



 ৭. ধূমপান নিষিদ্ধ –
খুব কম সময়েই আমাদের বয়স বাড়িয়ে দিতে পারে ধূমপান। এর পাশাপাশি স্তন ঝুলে যাবার কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে ধূমপান। সুতরাং নিজের শরীর ভালো রাখতেই বাদ দিন এই বিশ্রী অভ্যাসটি। কমিয়ে ফেলুন ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল গ্রহণের মাত্রাও।



৮. ব্যায়াম করুন –
বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরকে ফিট রাখতে করুন ব্যায়াম। স্তনের স্বাস্থ্য breast health ভালো রাখার জন্য করতে পারেন এই ব্যায়ামগুলো। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে কমে যাবে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি।



৯. থাকুন ইমপ্ল্যান্ট এবং কেমিক্যাল থেকে দূরে –
ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট এবং এনহান্সিং কেমিক্যালগুলো আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্যই ভীষণ ঝুকিপুর্ণ। এগুলো থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকুন।



 ১০. ব্রেস্ট ফিডিং করান –
আপনি মা হয়ে থাকলে অবশ্যই বাচ্চাকে সঠিক উপায়ে ব্রেস্ট ফিডিং করান। তা আপনার স্তনের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করবে।



১১. ঝুঁকির ব্যাপারে জেনে রাখুন –
আপনার পারিবারিক ইতিহাসে কারও ব্রেস্ট ক্যান্সার Breast cancer আছে কিনা তা জানা থাকলে নিজের ঝুঁকির ব্যাপারেও আপনি সতর্ক থাকতে পারবেন।

Tuesday 22 December 2015

নারীর যোনি পরিচিতি ও পূর্ণ যৌন তৃষ্ণা

নারী ও পুরুষের সংযুক্ত রতিক্রিয়ায় উভয়ের যে চরম উল্লাস হয় তার অধিকাংশ নির্ভর করে মন ও শরীরের ওপর।
মনস্তত্ত্বের দিক দিয়ে বলা যায় নারী ও পুরুষের মন পরস্পরের দিকে যথেষ্ট আকৃষ্ট থাকলে অর্থাৎ উভয়ের ভালবাসা পরস্পরের প্রতি প্রবল হলে এই যৌন সঙ্গমের সূখ খুব উচ্চস্তরের হয়।

কিন্তু দেহাংশের ওপরেও এই সুখ কোধ অনেকটা নিভর করে। কেননা পুরুষের পুরুষাঙ্গ নারীর যোনির ভেতর প্রবেশ করে ঘর্ষণ করলে পুরুষের বীর্যপাত ঘটে এবং সেই সময়ই পুরুষের সুখ সর্বোচ্চ মাত্রায় ঘটে। নারীরও যোনি ঘর্ষণে ও তথা থেকে রস স্খলনেই অধিক মাত্রায় সুখ অনুভূত হয়।

সুতরাং পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য ও নারীর যোনির বিস্তারের ওপরেই নারীর সুখ বোধ নির্ভর করে।

পুরুষের পুরুষাঙ্গ সাধারণতঃ তিনভাবে বিভক্ত।
১। শশকীয়। ২। বৃষকীয়। ৩। অশ্বকীয়।

শশকীয় লিঙ্গ
তার বচন হবে মিষ্ট, মন সদা প্রফুল্ল, সে দেখতে সুন্দর এবং কোঁকড়ানো চুল বিশিষ্ট, তার মুখ গোলাকার এবং দেহ মধ্যাকারের। তার হাত পা খুব হালকা এবং সুন্দর। তার আত্নসম্মান জ্ঞান আছে। গুরু ও জ্ঞানীজনে ভক্তি থাকে। এর পুরুষাঙ্গ ছয় আঙ্গুল লম্বা এবং বীর্য থেকে সুরভিগন্ধ বের হয়। সে খুব হালকাভাবে বেড়ায় এবং কামেচ্ছা মাঝে মাঝে উদ্ভূত হয়।

বৃষকীয় লিঙ্গ
এরূপ ব্যক্তিও কিছু পরিমাণে মধুরভাষী হয়। তার ঘাড় গর্দান বলিষ্ঠ, কর্কশ কণ্ঠস্বর, রক্তবর্ণ হস্ত পদ এবং গতি চমৎকার।
তার ভ্রু খাড়া এভং পেট কচ্ছপাকারে গোলাকার। তার বীর্য এবং দেহ থেকে লবণাক্ত আস্বাদ বের হয়। তার গতি মাঝারি রকমের কিন্তু তিক্ত স্বাভাব। তার পুরুষাঙ্গ নয় আঙ্গল দীর্ঘ।

অশ্বকীয় লিঙ্গ
এরূপ লোক সাধারণতঃ বাচাল, মুখ হয় লম্বা। লম্বা ও সরু কান, মাথা ও অধর ওষ্ঠ সরু। তার কেশ ঘন সন্নিবিষ্ট ও বক্র। তার হাত পা খুব লম্বা এবং দৃঢ়। তার লম্বা অঙ্গলি কিন্তু নখের চেহারা সুগঠিত।

তার স্বর যেন মেঘ গর্জন এবং সে দ্রুত পা ফেলে হাঁটে। তার শুক্র থেকে যেন মদের গন্ধ বের হয়। তার পুরুষাঙ্গ প্রায় বারো আঙ্গুল লম্বা হয়ে থাকে।
এইভাবে নারীর যোনিও তিনভাগে বিভক্ত।
১। হরিণী যোনি। ২। ঘোটকী যোনি। ৩। হন্তিনী যোনি। হরিণী যোনি

এদের চটুল চক্ষুতে লাল রেখা থাকে। তাদের মুখ পদ্মের মত প্রফুল্ল, বাবলা জাতীয় গাছের ফুলের মত তাদের গাত্র চর্ম কোমল হয়।
এদের স্তনও হয় কদম্ব গাছের ফুলের মত গোলকার বিশিষ্ট ও নরম। গাত্র চর্ম হয় চম্পা পুষ্পের মত শ্বেতবর্ণ, টিয়াপাখীর নাকের মত তাঁদের নাসিকা তীক্ষ্ণ ও লম্বা, দন্ত হয় মুক্তার মতো এবং গমনধারা হয় রাজহংসীর মত। কোকিলের মত কণ্ঠস্বর হয় সুমধুর। হরিণীর মত হয় গ্রীবা। তাঁরা গুরুজন ব্রাহ্মণ, শিক্ষক ও দেবদেবীর প্রতি বিশেষ ভক্তিমতী হয়।

শুভ্র বসন পরিধান করে। খায় খুব অল্প পরিমাণে। যদিও এরা বিলাসবর্তী হয় না। তথাপি অনুভূতিতে বেশ পারদর্শিনী। কথা বলে কম, ঘুমায় অল্প। তাঁদের যোনি ছয় আঙ্গুল গভীর এবং পদ্মগন্ধা।

ঘোটকী যোনি
কৃশা ও স্থুলকায় হতে পারে। কিন্তু দীর্ঘকায় বহুবর্ণ বিশিষ্ট বেশভূষা এদের প্রিয় জিনিস। এরা ধৈর্যহীনা, এদের স্তন হয় শিথিল। চক্ষু হয় কাপর্দ ও শ্যামবর্ণ কিন্তু বাঁকা চোখে কটাক্ষ মারতে খুব পটু।

এরা তাড়াতাড়ি হাঁটে। পুরুষের সঙ্গে সহবাসে বড়ই প্রিয় এবং রতি কলায় দংশন আঁচড় এবং চিমটিতে বড়ই অগ্রসর।
সুবিধা হলে অত্যধিক মদ্য পান করতে পারে। এদের কণ্ঠস্বর কর্কশ এবং চিৎকার প্রবণ। লম্বা লম্বা দাঁত এবং খাঁড়া খাঁড়া চুল এদের বিশেষত্ব।
অত্যন্ত নিদ্রালু। এদের যোনি হয় নয় আঙ্গুল গভীর এবং মৎস্যা গন্ধ্যা।

হস্তিনী যোনি
এদের গতি ভঙ্গী হস্তিনীর মত। এদের আঙ্গুল হয় মাংসল এবং বাঁকা বাঁকা।
গ্রীবা হ্রস্ব এবং মাংসল হয়ে থাকে। ওষ্ঠাধর হয় পুরু পুরু। নিতম্ব বিশেষ চর্বিযুক্ত প্রচুর খাদ্য খেতে পারে। এরা হস্তিনীর মত নিদ্রা যায়।
এদের অঙ্গে বহু লোম থাকতে দেখা যায়, আচরণ হয় নির্লজ্জ। এর সর্বদাই পুরুষ সহবাসের জন্য প্রস্থত কিন্তু বেশির ভাগই দেখা যায় অর্থের বিনিময়ে।

এদের যোনি খুব প্রশস্ত এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনও আকারের লিঙ্গ ধারণ করতে পারে।

পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য
পুরষের পুরুষাঙ্গ ছয়, নয় এবং বারো আঙ্গুল দীর্ঘ হয়ে থাকে এবং দৈর্ঘ্য অনুযায়ী স্থুলত্বও কম বেশী হয়ে থাকে।

নারীর যোনির দৈর্ঘ্য
নারীর যোনিও ছয়, নয় ও বারো আঙ্গুল হতে পারে। কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ী বা উত্তেজনায় এদের যোনির ব্যাস মাংসপেশীর ক্রিয়ার দরুন কম বেশী হতে পারে।

পুরুষের পুরুষাঙ্গ এবং নারীর যৌনাঙ্গ যদি সমান ব্যাসবিশিষ্ট ও দৈর্ঘ্যযুক্ত হয় তা হলে সঙ্গমকালে উভয়ে বেশ সমান আনন্দ পেতে পারে একে বলা হয় পূর্ণ মিলন বা সম আনন্দ।

কোন শশকলিঙ্গ পুরুষ যদি হরিণী যোনিবিশিষ্ট্য নারীর সহিত সঙ্গম কার্য্য করে অথবা কোন বৃষ লিঙ্গ পুরুষ যদি হস্তিনী নারীর সঙ্গে সহবাস করে-তা হলে পুরুষাঙ্গ ও যোনি ঠিক খাপে খাপে লাগতে পারে।

Monday 21 December 2015

কি খেলে সেক্স বাড়ে?

প্রথম বিষয়টি হচ্ছে "সেক্স বাড়া" বলে কোন বিষয়ের অস্তিত্ব নেই। আপনি কি সেক্সুয়াল চাহিদা বা যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির কথা জানতে চাইছেন? নাকি যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা জানতে চাইছেন? নারি ও পুরুষের যৌন মিলন করাকে আপনি সেক্স করা বলতে পারেন। যৌন মিলনের ইচ্ছা হবে "সেক্সুয়াল চাহিদা" । সেক্সুয়াল চাহিদা বৃদ্ধি করার জন্য কোন খাবার নেই। বা ঔষধ নেই। তবে যৌন উত্তেজনা ও যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার কিছু উপায় রয়েছে।
যৌন উত্তেজনা ও যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য আপনি নানান রকম ঔষধ সেবন করতে পারেন। ভ্যায়াগ্রার নাম তো নিশ্চয়ই শুনেছেন? এমন আরও অনেক ঔষধ রয়েছে যা পুরুষের যৌন উত্তেজনা ও যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। তবে সেগুলো অবশ্যই সেবন করতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। অশাধু ক্যানভাসারদের খপ্পরে পড়ে কিংবা হারবাল মেডিকেল সেন্টারের খপ্পরে পড়ে আজেবাজে হারবাল ঔষধ সেবন করতে যাবেন না কখনোই। এতে লাভ তো হবেই না, উল্টো মারাত্মক ক্ষতি হবে স্বাস্থ্যের!
যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি, যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখা, বীর্যের মান উন্নয়ন, যৌন শক্তি বৃদ্ধি করা ইত্যাদির জন্য কিছু প্রাকৃতিক খাবার অবশ্যই আছে। (নিচের জবাবটি দেখুন) ... স্বাস্থ্যকর খাওয়া, ভালো জীবন যাপন আপনার যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখবে। লাল মাংস, ডিম, সবুজ শাকসবজি, ডার্ক চকলেট ইত্যাদি খাবারের সুনাম তো আছেই। সাথে যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য আদর্শ মনে করা হয় ঝিনুককেও। ফলের মাঝে স্ট্রবেরী, কলা, তরমুজ উপকারী। এছাড়াও নানান রকমের বাদাম (কুমড়োর বীজ, সূর্যমূখীর বীজ, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম) , দুধ ও চিনি ছাড়া চা এবং রসুন প্রতিদিন সেব করলে যৌন শক্তি বাড়ে ও যৌন ক্ষমতা ভালো থাকে।

শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি পূরণে আমরা প্রতিদিনই অনেক ধরনের খাবার খেয়ে থাকি কিন্তু সবাই জানি কি কোন ধরনের খাবার আমাদের সেক্স বাড়াতে সক্ষম? সাধারণত খাবারে ভিটামিন এবং মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক থাকলে শরীরে এন্ড্রোক্রাইন সিস্টেম সক্রিয় থাকে। আর তা আপনার শরীরে এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরনের তৈরি হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন সেক্সের ইচ্ছা এবং পারফরমেন্সের জন্য জরুরি। আপনি যৌন মিলনের মুডে আছেন কিনা তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে আপনার খাদ্য। আসুন জেনে নিই এমন কয়েকটি দৈনন্দিন খাদ্য সম্পর্কে যা আপনার শরীরে সেক্স পাওয়ার বাড়ায় বহুগুণ।
দুধ :

বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এ ধরনের প্রাকৃতিক খাদ্য আপনার যৌনজীবনের উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি শরীরে সেক্স হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার। তবে সগুলিকে হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট।
ঝিনুক :

আপনার যৌনজীবন আনন্দময় করে তুলতে ঝিনুক খাদ্য হিসেবে খুবই কার্যকরী। ঝিনুকে খুব বেশি পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। জিঙ্ক শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং লিবিডো বা যৌন-ইচ্ছা বাড়ায়। ঝিনুক কাঁচা বা রান্না করে যে অবস্থাতেই খাওয়া হোক, ঝিনুক যৌনজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অ্যাসপারাগাস :

আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়াতে চাইলে যেসব প্রাকৃতিক খাবার শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে সেগুলি খাওয়া উচিত। যৌনতার ক্ষেত্রে সবসময় ফিট থাকতে চাইলে অ্যাসপারাগাস খেতে শুরু করুন।
কলিজা :

অনেকেই কলিজা খেতে একদম পছন্দ করে না। কিন্তু আপনার যৌন জীবনে খাদ্য হিসেবে কলিজার প্রভাব ইতিবাচক। কারণ, কলিজায় প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। আর এই জিঙ্ক শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেশি পরিমাণে রাখে। যথেষ্ট পরিমাণ জিঙ্ক শরীরে না থাকলে পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসৃত হয় না। পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে যে হরমোন নিঃসৃত হয় তা টেস্টোস্টেরন তৈরি হওয়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া জিঙ্ক এর কারণে আরোমেটেস এনজাইম নিঃসৃত হয়। এই এনজাইমটি অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরোনকে এস্ট্রোজেনে পরিণত হতে সাহায্য করে। এস্ট্রোজেনও আপনার যৌনতার জন্য প্রয়োজনীয় একটি হরমোন।
ডিম :

ডিম সেদ্ধ হোক কিংবা ভাজি, সব ভাবেই ডিম যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৫ ও বি-৬ আছে যা শরীরের হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় একটি করে ডিম রাখুন। এতে আপনার শরীর শক্তি পাবে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
রঙিন ফল

যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবার তালিকায় রঙিন ফলমূল রাখুন। আঙ্গুর, কমলা লেবু, তরমুজ, পিচ ইত্যাদি ফল যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের মেডিকেল টিমের গবেষণা অনুযায়ী একজন পুরুষের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকলে তার স্পার্মের কোয়ালিটি উন্নত হয়। আবার টেক্সাসের A&M ইউনিভার্সিটির মতে তরমুজ শরীরে যৌন উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে। তারা যৌন উদ্দীপক ওষুধ ভায়াগ্রার সাথে তরমুজের তুলনা করেছেন।
মিষ্টি আলু :

মিষ্টি আলু শুধু শর্করার ভালো বিকল্পই না, মিষ্টি আলু খুব ভালো ধরনের একটি ‘সেক্স’ ফুড। আপনার শরীর কোনো সবজিতে বিটা-ক্যারোটিন পেলে তা ভিটামিন-এ তে রূপান্তরিত করে। এই ভিটামিন-এ নারীদের যোনি এবং ইউটেরাসের আকার ভালো রাখে। তাছাড়া এটা সেক্স হরমোন তৈরিতেও সহায়তা করে।
কফি :

কফি আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়ানোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা আপনার যৌনতার মুড ঠিক রাখে।
ডার্ক চকোলেট

ডার্ক চকোলেটে আছে ফেনিলেথ্যালামাইন নামক একটি উপাদান যা শরীরে বাড়তি যৌন উদ্দীপনা তৈরী করে। গবেষণায় জানা গেছে যে ডার্ক চকোলেট খেলে সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণবোধও বেড়ে যায়। এছাড়াও ডার্ক চকোলেটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। তাই প্রতিদিন শতকরা ৭০ ভাগ কোকোযুক্ত ডার্ক চকোলেটের ২ ইঞ্চির একটি টুকরো খেয়ে নিন। মাত্র ১০০ ক্যালরী আছে এই আকৃতির একটি টুকরোতে যা আপনার যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ট্রাফল (এক ধরনের ছত্রাক) :

ট্রাফলে পুরুষের যৌন হরমোনের মত একধরনের উপাদান থাকে। কিছু কিছু খাবারে ট্রাফলের এই বিশেষ কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। যার ফলে, নারীদের পুরুষের প্রতি লিবিডো বা যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়। যেমন ম্যাশড পটেটোতে ট্রাফলের ব্যবহার করা হয়।
জয়ফল :

ভারতীয় গবেষকদের মতে, জয়ফল থেকে এক ধরনের কামোদ্দীপক যৌগ নিঃসৃত হয়। সাধারণভাবে এই যৌগটি স্নায়ুর কোষ উদ্দীপিত করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে আপনার যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়। আপনি কফির সাথে মিশিয়ে জয়ফল খেতে পারেন, তাহলে দুইটির কাজ একত্রে পাওয়া সম্ভব।
তৈলাক্ত মাছ

তৈলাক্ত মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড DHA O EPA শরীরে ডোপামিন বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কে উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে। তৈলাক্ত ও সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং গ্রোথ হরমোনের নিঃসরন হয়। ফলে যৌন স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
গরুর মাংস :

কলিজার মত গরুর মাংসেও প্রচুর জিঙ্ক থাকে। তাই আপনি যৌন জীবনকে আরো আনন্দময় করতে কম ফ্যাটযুক্ত গরুর মাংস খান। যেমন গরুর কাঁধের মাংসে, রানের মাংসে কম ফ্যাট থাকে এবং জিঙ্ক বেশি থাকে। এইসব জায়গার মাংসে প্রতি ১০০ গ্রামে ১০ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে।
অ্যাভোকাডো :

অ্যাভোকাডোকে এর আকৃতির কারণে একে নারী ফল হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। তবে শুধু এর আকৃতিই আকর্ষণীয় না, এতে প্রচুর ভিটামিন বি-সিক্স এবং পটাসিয়াম থাকে। এর ফলে এটা খেলে আপনার যৌন ইচ্ছা এবংযৌন সামর্থ্য বৃদ্ধি পায়। এই ফলের এই নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যটির কারণে একে স্প্যানিশ প্রিস্টরা নিষিদ্ধ করেছিল।
ওটমীল :

ওটমিলে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোস্ট্রোজেন থাকে। যেসব দানাজাতীয় শশ্যে আবরণ থাকে তাদের মধ্যে এই গুণটি রয়েছে। যেমন গম, চাল, রাই ইত্যাদি। ফাইটোস্ট্রজেন আপনার যৌন জীবনের জন্য খুবই কার্যকরী।
পালং শাক ও অন্যান্য সবজি

পালং শাকে আছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। জাপানের গবেষকদের মতে শরীরে রক্ত চলাচল বাড়লে যৌন উদ্দীপনাও বাড়ে। পালং শাক ও অন্যান্য বিভিন্ন রকম শাক,ব্রকলি, লেটুস, ফুলকপি, বাঁধাকপি এগুলোতে রয়েছে ফলেট, ভিটামিন বি সহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান।
বাদাম ও বিভিন্ন বীজ

কুমড়োর বীজ, সূর্যমূখীর বীজ, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এবং এগুলো শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল তৈরী করে। সেক্স হরমোন গুলো ঠিক মতো কাজ করার জন্য এই কোলেস্টেরল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই প্রতিদিন অল্প করে হলেও বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার যৌন স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। শিমের বীচিতে প্রচুর ফাইটোস্ট্রোজেন থাকে। এটা আপনার যৌন ইচ্ছা এবং যৌন সামর্থ্য বাড়ায়। জাপানিরা যৌন ইচ্ছা বাড়ানোর জন্য খাবারে প্রচুর শিমের বীচি ব্যবহার করে থাকে। চীনা বাদামে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। এই জিঙ্ক শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ায় এবং শক্তিশালী শুক্রাণু তৈরি করে। জিঙ্ক কম থাকলে শরীরে শতকরা ৩০ ভাগ কম বীর্য তৈরি হয়। যারা খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে কম জিঙ্ক গ্রহণ করে তাদের বীর্য এবং টেস্টোস্টেরনের ঘনত্ব দুটিই কমে যায়। ওটমিল এবং কুমড়ার বীচির মত সূর্যমুখীর বীজ হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে আপনার যৌন আকাঙ্ক্ষাও বাড়ে। সূর্যমূখীর বীজে যে তেল থাকে তা এই কাজটি করে। কুমড়ার বীচি জিঙ্ক-এর অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক উৎস। এই জিঙ্ক টেস্টোস্টেরোনের মাত্রা বাড়ায়। আপনার যৌন ইচ্ছা বাড়ানোতে কুমড়ার বীচির কার্যকারিতা অনেক।
তথ্যসূত্র : মেনহেলথ

sex kivabe

সম্ভোগের আগে স্বামীর কর্তৃব্য
১। পতির কর্তব্য হলো, পত্নীকে প্রিয়তমা জ্ঞানে বা সত্যিকারের ধর্মপত্নী জ্ঞানে নিজের তৃপ্তির সঙ্গে সঙ্গে তারও দৈহিক ও মানসিক তৃপ্তি বিধান করা। নিজের কামনা পরিতৃপ্ত করাই সম্ভোগের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।
২। কোন প্রকার বল প্রয়োগ করা আদৌ বাঞ্ছনীয় নয়। একথা মনে রাখতে হবে।
৩। চুম্বন, আলিঙ্গন, নিপীড়ন ইত্যাদি নানাভাবে স্ত্রীর মনে পূর্ণ কামাব জাগিয়ে তারপর তার সঙ্গে সহবাসে রত হওয়া প্রতিটি পুরুষের কর্তব্য।
৪। নারী ধীরে ধীরে আত্নসমর্পণ না করা পর্যন্ত তার সঙ্গে কখনও সহবাসে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়।
৫। নারী কখনও নিজের যৌন উত্তেজনাকে মুখে প্রকাশ করে না। তবে সেটা অনেকটা লক্ষণ দেখে বুঝে নিতে হয়।
৬। নারীর কর্তৃব্য সর্বদা পতির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসার ভাব ফুটিয়ে তোলা।
৭। পতিকে ঘৃণা করা, তাকে নানা কু-কথা ইত্যাদি বলা কখনই উচিত নয়। সহবাসের অনিচ্ছা থাকলে তা তাকে বুঝিয়ে বলা উচিত। ঘৃণা বা বিরক্তিসূচক তিরস্কার করা কখনও উচিত নয়। এতে পতির মনে দুঃখ ও বিরক্তি জাগতে পারে।
৮। নারীর কর্তৃব্য স্বামীর চুম্বন, দংশন ও আলিঙ্গনের প্রতিউত্তর দেওয়া।
৯। নারীর পূর্ণ কামভাব জাগলে পতিকে কৌশলে তা বুঝিয়ে দেওয়া উচিত।
১০। নারীর উত্তেজনা ধীরে ধীরে আসে-আবার তা ধীরে ধীরে তৃপ্ত হয়। পুরুষের উত্তেজনা আসে অকস্মাৎ আবার তা অকস্মাৎ শেষ হয়। তাই নারীর পূর্ণ কামভাব না জাগিয়ে সঙ্গমে মিলিত হলে নারী পূর্ণ তৃপ্তি পেতে পারে না। এরকম করা রিধিবিরুদ্ধৃ। এতে নারী পূর্ণ তৃপ্তি পায় না- এর জন্যে সে পর-পুরুষ পর্যন্ত গমন করতে পারে। দাম্পত্য জীবনে অনেক বিপর্যয় এর জন্যে আসতে পারে।
স্ত্রীকে দ্রুত তৃপ্তির উপায়
১। গালে ঠোঁটে ঘন ঘন চুম্বন করা।
২। স্ত্রীর ঊরুদেশ জোরে জোরে মৈথুনের আগে ঘর্ষণ করা।
৩। সম্ভোগের আগে যোনিদেশ, ভগাঙ্কুর কামাদ্রি আলতো ভাবে ঘর্ষণ করা।
৪। ভগাঙ্কুর মর্দন।
৫। মৈথুনকালে স্তন মর্দ্দন।
৬। সহাবাসের আগে যদি পুরুষাঙ্গের আগায় খুব সামান্য পরিমাণ কর্পূর লাগানো হয় তবে স্ত্রী দ্রুত তৃপ্তি লাভ ক’রে থাকে। তবে কর্পূর যেন বেশি না হয়, তাতে স্ত্রী যোনি ও পুরুষাঙ্গ জ্বলন অনুভূত হ’তে পারে।
সহবাসের কাল
১। মেয়েদের একটু ঘুমোবার পর রাত্রির দ্বিতীয় প্রহর শ্রেষ্ঠ মৈথুন সময়।
২। দিনের বেলা সহবাস নিষিদ্ধ।
৩। ভোরবেলা সহবাস শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হ’তে পারে।
৪। গুরু ভোজনের পর সঙ্গে সঙ্গে সহবাস নিষিদ্ধ।
৫। ক্রুদ্ধ বা চিন্তিত মেজাজে স্ত্রী সহবাস উচিত নয়। প্রফুল্ল মনে সহবাস উচিত।
কোন ঋতু মৈথুনের পক্ষে কতটা উপযোগী তার বিচার করা হচ্ছে।
ক। বসন্তকাল-৯০%।
খ। শরৎকাল-৭০%।
গ। বর্ষাকাল-৫০%।
ঘ। হেমন্তকাল-৪০%।
ঙ। গ্রীষ্মকাল-৩০%।
চ। শীতকাল-২০%।
প্রহরণ বা মৃদু প্রহার
মৈথুনকালে মৃদু প্রহার-শৃঙ্গারও কামের একটি অঙ্গ হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে।
কথাটা শুনতে অনেকটা আশ্চার্য্য বোধ হয়, কিন্তু কামসূত্রে তার ব্যাখ্যা প্রদত্ত হয়েছে।
নারী কিছুটা উৎপীড়িত হ’তে চায় যৌন মিলনে-তাই মনোবিজ্ঞান স্বীকার করে যে, পুরুষ কিছুটা উৎপীড়ন করতে পারে নারীকে।
কিন্তু প্রহরণ ঠিক শৃঙ্গার নয়-কারণ মিলনের আগে এর প্রয়োজন নেই।
পূর্ণ মিলনের সময় আনন্দ বৃদ্ধির জন্যে পুরুষ ধীরে ধীরে নারী-দেহের কোমল অংশে মৃদু প্রহার করতে পারে।
পুরুষ অথ্যাচারী-মনোবিজ্ঞানের মতে যে প্রহার করা হয় তা আনন্দের। তাই বলে এতে দু’জনেই যে আনন্দ পাবে এমন নয়। এটা দু’জনের মানসিক অবস্থার উপর নির্ভর করে।
প্রহরণের মধ্যে আবার প্রকারভেদ আছে-
১। মুষ্টি প্রহার-হাত মুষ্টি বদ্ধ করে দেহের বিভিন্ন অংশে মৃদু প্রহরণ।
২। চপেটাঘাত (হাত খুলে রেখে ধীরে ধীরে।)
৩। দু’টি অঙ্গুলির সাহায্যে প্রহরণ।
৪। প্রহরণ ও সংবহন মিশ্রিত করে প্রহরণ।
মর্দন বা সংবাহন
যদিও মর্দন শৃঙ্গার কালে মাঝে মাঝে হয়- তবে এই মর্দন প্রকৃত শৃঙ্গার নয়।
মর্দন বেশি হয় রতিকালে বা রতির পূর্বে।
নারীদেরহর কোমল অংশে যেমন স্তন, নিতম্ব, ঊরুদ্বয় প্রভৃতির মর্দন হ’য়ে থাকে।
রতিক্রিয়াকালে স্তন ও নিতম্ব মর্দন করেও পুরুষ ও নারী উভয়ে আনন্দ পায় বলে বাৎস্যায়ন বলেছেন।
তবে যারা পছন্দ করেন তাঁরাই এটা করবেন। যদি একজন বা দু’জনেই পছন্দ না করেন তবে এর প্রয়োজন নেই।
ঔপরিষ্ঠক বা মুখমেহন
মুখমেহন স্বাভাবিক মিলন হিসাবে বাৎস্যায়ন স্বীকার করেন নি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এটি সর্বদা চলতে পারে না। তবু শাস্ত্রে এটি উল্লিখিত হয়েছে।
শাস্ত্রে উল্লিখিত হবার অর্থ অবশ্য এই নয় যে, এটি খুব ভাল আসন বা এটি সম্মান পেয়েছে। শাস্ত্রে কেবল এটাকে একটি অস্বাভাবিক মিলন বলেই এর নাম উল্লিখিত হয়েছে।
ভারতের কোন কোন জাতির মধ্যে ঔপরিষ্ঠক স্বীকৃত ও বেশ প্রচলিত-কিন্তু তাই বলেই তাকে উচ্চ স্থান দেওয়া হয় না।
মুখমেহন সব পণ্ডিতের মতেই ঘৃন্য-তাই এ বিষয়ে বেশি আলোচনা করা হলো না।
বাৎস্যায়ন বলেন নারী শুধু তিনটি শ্রেণীরই নয়-তাছাড়াও আছে আর এক শ্রেণী-তার নাম হলো নপুংষক শ্রেণী।
এই নপুংষক শ্রেণীর যোনি ঠিকমত গঠিত নয়-তাই এদের সঙ্গে যৌন ক্রিয়া সম্ভব নয়। এদের দ্বারা কেবল মুখমেহন করানো চরতে পারে।
এই শ্রেণীর নপুংষক অনেক সময় অর্থের বিনিময়ে মুখমেহনে রাজী হয়।
এই মুখমেহন আট প্রকার হ’য়ে থাক-
১। নিমিত-এতে নপুংষক তার করতলে পুরুষাঙ্গ ধরে আসে- আসে- তার ওষ্ঠাধারে ঘর্ষণ করে।
২। পার্শ্ব-লিঙ্গ মুণ্ডের আবরণ খুলে আসে- আসে- মুখে প্রবেশ করানো।
৩। বহিঃসংদংশন্তদাঁত ও ঠোঁট দিয়ে পুরুষাঙ্গের আবরণ উন্মোচন।
৪। পুরুষাঙ্গ বারে বারে মুখের ভেতরে নেওয়া ও বের করা। বহুক্ষণ এরূপ করা।
৫। অন্তঃসংদংশন্তওষ্ঠাধর দিয়ে চোষণ করা।
৬। জিহ্বা দ্বারা চোষণ।
৭। আম্রচোষণ-পুরুষাঙ্গ আম্রের মত চোষণ করা।
৮। আকন্ঠীত-সম্‌সত পরুষাঙ্গ গিলে ফেলার মত।
মুখের মধ্যে সুরতের সঙ্গে সঙ্গে আলিঙ্গনাদিও চলতে পারে।
অনেক নীচজাতীয়া নারীদের দ্বারা এ কাজ করানো যেতে পারে।
কামশাস্ত্রে মুখে সুরত নিষিদ্ধ। তবে অনেকে এটি পছন্দ করেন।-বা কোন রাবাঙ্গনা রাজী হলে তার দ্বারা এটি করান। কিন্তু অন্তঃপুর চারিনীদের এটি করা উচিত নয়।
সহবাসের পরের কথা
সহবাসের পরে দু’জনেরই উচিত কমপক্ষে এক পোয়া গরম দুধ, একরতি কেশন ও দুই তোলা মিশ্রি সংযোগে সেবন করা। সহবাসে কিছু শক্তির হ্রাস হ’তে পারে। এতে করে কিঞ্চিৎ পূরণ হয়। অন্যথায় সহবাস করা উচিত নহে। এই কারণেই মনীষীরা মাসানে- একবার রতিক্রিয়া ব্যবস্থা করে দেন। যাতে উপরোক্ত সামগ্রীর যোগাড় করতে গরীব বা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকের পক্ষেও কষ্টকর না হয়। পুষ্টিকর খাদ্য না খেলে পুরুষ অচিরেই শক্তিহীন হ’য়ে পড়ে ও তার কর্মশক্তি লোপ পায়।
অত্যধিক মৈথুনের জন্য হজমশক্তি লোপ পায়। ফলে অম্ল, অজীর্ণ প্রভৃতি নানা প্রকার রোগ দেখা দেয়। এই সমস্ত রোগের হাত থেকে নিশ্চিত ভাবে নিষকৃতির জন্য মৈথুনের পর দুগ্ধ পান অত্যাবশ্যাক। অবস্থায় সম্ভব হলে নিম্নের টোটকাগুলি ব্যবহার করলে ভয়ের কারণ থাকবে না।
(১) বাদাম দুই তোলা ভালভাবে বেটে নিয়ে তা মিশ্রি সংযোগে মৈথুনের পর গরম করে খেলে বিশেষ উপকার হয়।
(২) দুতোলা ঘি, দু তোলা মিশ্রি কিংবা গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে সেবন করলে সহজে ক্ষয় পূরণ হয়।
(৩) মুগের ডাল ভালভাবে বেটে নিয়ে ভেজে নিন, পরে মিশ্রি কিংবা চিনি মিশিয়ে নাড়ার মত করে চার তোলার মত মৈথুনের পর খেয়ে নিলে উপকার হয়।
সহবাসের সঙ্গে সঙ্গে পুরুষাঙ্গ ধৌত করলে নপুংষকতার লক্ষণ প্রকাশ পায়। সেজন্য রতিক্রিয়ার কিছু সময় পরে পুরুষাঙ্গ ধৌত করা বিধেয়। এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রত্যেকের উচিত।
সহবাসের পর দেহের বিষয়ে কি কি যত্ন নিতে হবে এ বিষয়ে শাস্ত্রে কতগুলি নিয়ম বিধিবন্ধ আছে। আমরা তা একে একে আলোচনা করছি।
১। সহবাসের পর দু’জনের কিছুক্ষণ পরস্পর সংলগ্ন হ’য়ে অবস্থান করবে। এতে মানসিক তৃপ্তি হয়। ধীরে ধীরে দেহ শীতল হয়। এতে প্রেম দীর্ঘস্থায়ী হ’য়ে থাকে।
২। তারপর অবশ্য প্রত্যেকেই নিজ নিজ যৌনাঙ্গ ভালভাবে ধৌত করবে-এটি অবশ্য পালনীয়। তবে কিছুক্ষণ পর।
৩। অনেক শাস্ত্রে দুজনের ্লান করা বিধান আছে তবে তা সকলে পালন করে না।
৪। শর্করা মিশ্রিত এক গ্লাস জল কিঞ্চিৎ লেবুর রস বা দধি কিংবা শুধু ঠাণ্ডা জল কিছু খেতে হবে। এতে শরীরের মঙ্গল করে।
৫। প্রয়োজন হরে কোন পেটেন্ট ঔষধ সেব করা যাইতে পারে।
৬। সহবাসের পর ঘুম একান্ত আবশ্যক-তদাই শেষ রাতে সহবাস বাঞ্ছনীয় নয়।
৭। পরদিন প্রভাতে স্নান করা একান্ত আবশ্যক। তা না হলে মন শুচি হয় না- কর্মে প্রফুল্লতা আসে না। অন্যথায় পরদিন মন খারাপ থাকে, কর্মে একঘেয়েমি আসতে পারে।
৮। সহবাস প্রারম্ভে বা শেষে নেশা সেবন ভাল নয়। এতে দৈহিক ক্ষতি হয়-প্রেম দূরে যায়-মানসিক অসাড়তা আসতে পারে।
৯। রাত্রির প্রথম ও শেষ প্রহর বাদে মধ্যম অংশই সহবাসের পক্ষে উৎকৃষ্ঠ সময়, এ কথা সর্বদা মনে রাখতে হবে।
১০। সহবাসের পর অধিক রাত্রি জাগরণ, অধ্যয়ন, শোক প্রকাশ, কলহ কোন দুরূহ বিষয় নিয়ে গভীর চিন্তা ও মানসিক কোন উত্তেজনা ভাল নয়।
সফল মৈথুন
এবারে আমরা একটি প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তা সফল মৈথুন।
এমন প্রশ্ন অনেকে করতে পারে-মৈথুন আবার সফল অ-সফল কি? যথারীতি নর-নারীর মিলন। দৈহিক মিলনের পরিপূর্ণ আনন্দ ও রেতঃপাত। এই ত মৈথুন।
আমরা বলব না, তা নয়।
তবে?
আমরা বলব শতকরা একটি কি দু’টির বেশি মৈথুন সফল মৈথুন হয় না। কেন হয় না? তা বলতে গের সফল মৈথুন কি, সে বিষয়ে আলোচনা করতে হয়। স্ত্রীর কামনার তৃপ্তি কম বেশি হয়ত হয়ে থাকে। তথাপি স্ত্রী গর্ভবতী হ’য়ে সন্তানের জন্মও দিতে সুরু করে, তবু তা সফল মৈথুন হয় না।
কেন?
এর উত্তর হলো শৈথুন বা রেতঃপাত অনেকেই করে থাকেন। কিন্তু সফল মৈথুন খুব অল্প জনের ভাগ্যেই ঘটে থাকে।
এবার সে বিষয়ে আলোচনা করব।
সফল মৈথুনের পরিচয়
যে মৈথুন করলে শারীরিক, মানসিক ও দৈহিক কোনও ক্ষতি হয় না। উলটে কর্মে আনন্দ ও একাগ্রতা আসে এবং মৈথুনের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়; স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায় এবং হৃদয় প্রফুল্ল ও শান্ত, ্লিগ্ধতায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে-তাকে সফল মৈথুন বলে।
সফল মৈথুনের ফল
১। মনের শান্তি পায়। মন সর্বকাজে দৃঢ় হ’য়ে থাকে ও মনের উৎসাহ বাড়ে।
২। কাজকর্মে একাগ্রতা আনে। কাজকর্মের দিকে মন সংযোগ বৃদ্ধি পায়।
৩। দৈহিক ও মানসিক তৃপ্তির জন্যে কর্মক্ষমতা বৃৃদ্ধি পায়। নিজেকে গর্ব অনুভব করে।
৪। স্ত্রীর প্রতি প্রেম বৃদ্ধি পায় ও স্ত্রীকে প্রকৃত ভালবাসতে পারে। স্ত্রীর আকর্ষণ আসে স্বামীর প্রতি।
৫। অন্য নারীর প্রতি আকর্ষণ থাকে না।
অসফল মৈথুনের ফল
১। মনে শান্তি থাকে না। মন ধীরে ধীরে অবসাদে ভরে ওঠে। মেজাজ হ’য়ে যায় খিটখিটে।
২। সব সময় মন উত্তেজিত ও বিরক্ত থাকে।
৩। মানসিক দুর্বলতা প্রযুক্ত কাজকর্মে ইচ্ছা কমে যায়।
৪। স্ত্রীর প্রতি ভালবাসা কমে আসে।
৫। পরনারীর প্রতি আকর্ষণজনিত চরিত্রদোষ ঘটতে পারে। পতিতারয় গমনও ঘটতে পারে।
৬। শরীর ম্যাজ ম্যাজ করে-সব সময় শরীর ভার ভার বোধ হয়। আহার ও নিদ্রার প্রতিও আকর্ষণ কমে যায়।
৭। বায়ুর প্রাবল্য, চোখ মুখ জ্বালা করতে থাকে।
৮। মাথা ঘোরে ও গা বমি বমি করে।
৯। ধীরে ধীরে মৈথুনের প্রতি ঘৃণাও জন্মাতে পারে।
এখন কথা হচ্ছে কি করলে মৈথুন সফল করা যায়।
মৈথুন অ-সফল হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে-উপযুক্ত পুরুষ ও নারীর মিলনের অভাব।
অ-সফল মৈথুনের কারণ
এবারে অ-সফল মৈথুনের কতকগুলি প্রধান কারণের বিষয় লেখা হচ্ছে-এগুলিও মনে মনে চিন্তা ও বিচার করে নিতে হবে।
১। মৈথুনের আগে নারীকে উত্তেজিত না করা।
২। মৈথুনে যোগ্যভাবে নিজেকে তৈরী না করা।
৩। উপযুক্ত আসন না করে মৈথুনে লিপ্ত হওয়া।
৪। শক্তির অভাবে মৈথুন পূর্ণ হ’তে পারে না।
৫। অসুস্থ অবস্থায় মৈথুন্তএতে তত পূর্ণ আনন্দ হয় না। দৈহিক ক্ষতি করে।
৬। ঘন ঘন মৈথুন্তএটি অবশ্য পরিত্যজ্য। ইহা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।
৭। অযোগ্য স্ত্রী-স্ত্রী উপযুক্ত না হলে পূর্ণ মৈথুন হয় না।
৮। অন্যান্য অসুবিধা বা মানসিক কারণ।
৯। স্বামী বা স্ত্রীর অন্য নারী বা পুরুষের প্রতি গোপন আসক্তি।
১০। প্রকৃত উত্তেজনা ছাড়া মৈথুন।
উত্তেজনার বিচার
এবারে প্রকৃত উত্তেজনা কি ও কি তার লক্ষণ সে বিষয়ে বলা হচ্ছে।
উত্তেজনা দুই প্রকার-(১) আসল (২) নকল বা বাহ্যিক।
যে যৌন উত্তেজনা সাধারণতঃ নর-নারীর মধ্যে দেখা যায় তা প্রায়ই নকল উত্তেজনা।
নকল কেন তার প্রমাণ করে দেওয়া হবে-আগে আসল উত্তেজনার লক্ষণ কি তাই বলা হচ্ছে।
নারী পুরুষকে বা পুরুষ নারীকে কাছে টেনে নিয়ে পরস্পর উত্তেজনা সৃষ্টির প্রয়াস পায় এবং তার ফলে যদি হৃদয়ে উত্তেজনা জাগে তা প্রকৃত উত্তেজনা নয়।
হৃদয়ে আপনা থেকেই ভাবভঙ্গীর মুখে পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হবার দুর্দমনীয় কামনা যদি জাগে তবে তা হলো আসল অর্থাৎ প্রকৃত উত্তেজনা।
প্রকৃত উত্তেজনা সম্বন্ধে বাৎস্যায়ন বলেছেন।-
যদি কোন নারীর স্মৃতি (চেহারা) বা ধ্যান ছাড়াও আপনা থেকেই হৃদয় উত্তেজিত হ’য়ে উঠে, তবে তা হরো প্রকৃত উত্তেজনা।
কিন্তু এ হলো সেই যুগের কথা-মানুষ যখন প্রকৃতির উপর নির্ভর করে চলতো। প্রকৃতির উপর নির্ভর করে সে নিজের মানসিক অবস্থা নিরূপণ করতো।
আজকাল যুগ পালটে গেছে।
নারী মূর্তি দর্শন আজকাল হামেশাই করতে হয়। হাটে-বাজারে চারপাশে নারীর নানা ভঙ্গির নানা ছবি নানা বিজ্ঞাপন। নারীর দেহ আর যৌবনের নানারূপ ভঙ্গিমার বিজ্ঞাপন দিয়েই আজকাল প্রচুর জিনিস বিক্রি হয়। সাইনবোর্ডেও নারীর নানারূপ প্রতিকৃতি দেখা যায়।
তবে আজকাল সেভাবে প্রকৃত উত্তেজনা বোজা সহজ কথা নয়।
প্রকৃত উত্তেজনা তাই আজকাল অন্যভাবে সি’র করা হ’য়ে থাকে।
অর্থাৎ যখন চিত্তবৃত্তি আপনা থেকেই নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং মনকে কিছুতেই আর সংযত করা যায় না, তখনই প্রকৃত উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং তাকেই প্রকৃত উত্তেজনা বলে।
এ কথা ঠিক যে প্রকৃত উত্তেজনা ছাড়া মৈথুন করা উচিত নয়। তেমনি প্রকৃত উত্তেজনা জাগলে তা দমন করা ঠিক নয়। তাতে দৈহিক ও মানসিন ক্ষতি হ’তে পারে।
প্রকৃত উত্তেজনার সময় ব্যতীত মৈথুন করলে তা মৈথুন হতে পারে না।
মৈথুনের শক্তির স্বল্পতা
মৈথুনে শক্তির স্বল্পতা আর শীঘ্র রেতঃপাত করলে একই কথা, কিন্তু দু’টির কারণ কিছুটা ভিন্ন।
শীঘ্র বীর্য্য পতন এক ধরনের রোগ। এ বিষয়ে আমরা এর পরে রোগের পরিচ্ছেদে বিশেষভাবে আলোচনা করব।
কিন্তু মৈথুন শক্তির স্বল্পতা একটা প্রধান জিনিজ। এটি দৈহিক ও মানসিক অবস্থার ওপর হ’য়ে থাকে।
কারণঃ-
১। অধিক উত্তেজনা।
২। ঘন ঘন উত্তেজনা কিন্তু কম পরিমাণে।
৩। যখন উত্তেজনা আসে তখন স্ত্ররি সঙ্গে মৈথুন না করা।
৪। মৈথুনের সময় ভয়, লজ্জা ও কোন বাধা।
৫। বহুদিন বাদে মৈথুন করা।
৬। হস্তমৈথুন করা।
৭। দৈহিক অসুস্থতা।
৮। জন্মগত দুর্বলতা।
৯। যৌন ব্যাধি ইত্যাদি।
প্রতিকার-শীঘ্র পতন, যৌন ব্যাধি জন্মগত দুর্বলতা ইত্যাদি বিষয়ে এর পরে আলোচনা করা হয়েছে। প্রত্যেক রোগের কি ঔষধ তাও বলা হয়েছে।
নেশা সেবন
কোন প্রকার নেশা করা অবশ্যই অনুচিত বলে শাস্ত্রে বর্ণিত হয়েছে। তবে কিছু সংখ্যক লোক মৈথুন শক্তি বাড়াবার মত কিছু কিছু নেশা করে থাকেন। তবে নেশা যদি সামান্য হয় অর্থাৎ তাতে যদি ঠিক পুরা মাদকতা না আসে, অথচ যৌন ক্ষমতা যদি সামান্য বৃদ্ধি পায়, তবে তা নিশ্চয়ই উপকারী।
নেশায় যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়?
ঠিক তা নয়-নেশায় বীর্য্যকে কিছুটা শুকিয়ে গাঢ় করে দেয়, তাই কিছুটা বেশী সময় ধরে মৈথুন করা চলে।
শাস্ত্রের মতে মাদক দ্রব্য অল্প পরিমাণে অবশ্য ইন্দ্রিয় শক্তি ও দৈহিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রতিটি ঔষধের সাথে ব্যবহার করা হয়।
যেমন- (১) এ্যালকোহল। (২) সিদ্ধি। (৩) আফিং ইত্যাদি
কিন্তু পরিমাণে তা ব্যবহৃত হয় খুব কম-ঠিক মাত্রা অনুযায়ী।
কিন্তু লজ্জাশালী রমণী স্বামীর এ প্রস্তাব প্রকারান্তরে প্রত্যাখ্যান করে। এতে স্বামী অবশেষে মনঃক্ষুন্ন হয় এবং বেশ্যালয়ে যাওয়া সুরু করে। পেটের দায়ে যারা এ বৃত্তিকে স্বেচ্ছায় বরণ করে নিয়েছে, পয়সা রোজগারের জন্য যত নগ্ন ও গর্হিত কাজই হোক না কেন, এরা তা করে।
আর একটা কথা।
সাধালণ খাদ্য পানীয় দ্বারা যতটা সম্ভব ততটা যৌন ক্ষমতা আগে বাড়াবার চেষ্টা করা উচিত। তারপর অবশ্য ঔষধ। ঔষধের চেয়ে বেশী মাত্রায় নেশা ভাল নয়।
যৌন ইন্দ্রয়ের অক্ষমতা
যৌন ইন্দ্রয়ের অক্ষমতা হলো সকল মৈথুনের আর একটা প্রধান অন্তরায়।
মৈথুন শক্তির অক্ষমতা আর যৌন অক্ষমতার কারণ কিন্তু ঠিক এক নয়। মৈথুন শক্তির অক্ষমতা সক্ষম ইন্দ্রিয় শক্তি থাকলেও হতে পারে।
কিন্তু অনেকের ইন্দ্রিয় আবার ঠিক তার মত দৃঢ় হয় না। আর ইন্দ্রিয় দৃঢ় না হলে মৈথুন ক্ষমতা স্বাভাবিক হয় না।
এর প্রকৃত কারণ কি?
এ বিষয়ে নানা আলোচনা আগে করা হয়েছে। এখনও করা হবে।
ইন্দ্রিয় উত্তেজিত না হবার কারণ হলো অবশ্য শারীরিক দুর্বলতা। কিন্তু তা আসে কেন?
(১) অমিতাচার।
(২) জন্মগত অক্ষমতা।
(৩) যৌন ক্ষমতার অভাব।
(৪) হস্তমৈথুন অভ্যাস ইত্যাদি।
যাই হোক যৌন ইন্দ্রিয়ের অক্ষমতা উপযুক্ত চিকিৎসক দ্বারা অবশ্যই চিকিৎসা করান দরকার।
তা না হলে যৌন ইন্দ্রিয়ের ক্রমশঃ আরও মারাত্নক হ’য়ে অন্য রোগের সূচনা করতে পারে।
অযোগ্য স্ত্রী
স্ত্রী, মৈথুনে অযোগ্য হয় কেমন করে?
এর উত্তর হলো-মৈথুনের উপযুক্ত ভাবে সহায়ক না হলে সেই স্ত্রীকে অযোগ্য বলা হয়।
স্ত্রী অযোগ্য কি করে হতে পারে।
১। মৈথুনে অনাসক্তি।
২। উপযুক্ত শ্রেণী হিসাবে মিল না হবার জন্য মৈথুনে অক্ষমতা। যেমন বৃষ বা অশ্ব জাতীয় পুরুষের সাথে পদ্মিনী জাতীয় স্ত্রীর।
৩। দৈহিক গঠনের জন্য মৈথুনে অতৃপ্তি।
৪। লজ্জা ও ভয় ইত্যাদি কারণে স্বামীর সঙ্গে মৈথুনে লিপ্ত না হতে ইচ্ছা।
৫। হৃদয়ে প্রেমের অভাব।
৬। গোপন প্রণয়ী-স্বামীর প্রতি আসক্তি বা প্রেমের অভাব।
এর জন্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা করা যেতে পারে। মানসিক হলে তার জন্যে স্ত্রীকে ভালোবেসে তার হৃদয় জয় করতে হবে।
দৈহিক হলে, চিকিৎসার প্রয়োজন। নারী পুরুষ উভয়েই সমশ্রেণীর না হলে মৈথুনকালীন বিবিধ অসুবিধার সৃষ্টি হয়। এই অসুবিধাই হলো অ-সফল মৈথুন।
মৈথুনে অন্যান্য অসুবিধা
সফল মৈথুনের অন্যান্য অসুবিধা হলো-
(১) আর্থিক অস্বচ্ছলতা।
(২) যোগ্য স্থানের অভাব।
(৩) খাদাদির অভাব ও দৈহিক দুর্বলতা ইত্যাদি।
একথা অবশ্যই ঠিক যে সুবিধাজনক সময়, স্থান, খাদ্যদির অভাব হলে, মৈথুন, সফল হ’তে পারে না। কোন গরীব বা অভাবী লোক আগে খাদ্যের যোগাড় করবে তারপর মৈথুন।
এখানে আর একটি প্রয়োজনীয় কথা হলো-প্রাচীন শাস্ত্র কারক বলেছেন যে, সফল মৈথুন নর-নারীর আনন্দ প্রাপ্তির উৎস তা ঠিক।
সফল মৈথুন না হলে, হৃদয়ে পূর্ণ আনন্দ প্রাপ্তি না হলে উপযুক্ত সন্তান হয় না। অ-সফল মৈথুনে যে সন্তান হয়, তা জাতির প্রতিবন্ধক স্বরূপ। সফল মৈথুনই প্রকৃত সন্তানের জন্ম দেয়।
অবশেষে একটি প্রধান কথা হলো-মৈথুন যক কম হয় তত ভালো। তাতে রতিশক্তি বৃদ্ধি পায় ওসকল মৈথুনের জন্যে দেহমনকে শক্তি সঞ্চয়ী করে তোলে।