Friday 18 December 2015

হঠাৎ করে মুখ ও চোখ বাঁকা ! বেলস পলসি

মস্যা আছে- যা হঠাৎ করেই হয়। যেমন- হঠাৎ করেই কারও শ্রবণমতা নষ্ট হয়ে যায় কিংবা মুখের একপাশ বাঁকা হয়ে যায়। এমনই একটি সমস্যা হলো বেলস পলসি। এটি এক ধরনের প্যারালাইসিস বা পাঘাতজাতীয় সমস্যা। এ সমস্যায় পুরো মুখম-লের যে কোনো একপাশ অবশ ও অসাড় হয়ে যায়। ফলে মুখের একপাশ বাঁকা দেখায়। মুখম-লে যত ধরনের প্যারালাইসিসজাতীয় সমস্যা হয়, এর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই বেলস পলসি। স্কটিস দেহবিদ্যাবিদ চার্লস বেল ১৮২১ সালে প্রথম এ রোগের অবস্থা বর্ণনা করেন। তার নাম অনুসারে পরে রোগটির নাম রাখা হয় বেলস পলসি। নারী-পুরুষ সমানভাবে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। আক্রান্ত হতে পারেন যে কোনো বয়সে। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে। পরিবারের কারও মধ্যে এ রোগ হয়ে থাকলে আত্মীয়স্বজনের আক্রান্তের আশঙ্কা ৬ থেকে ৮ শতাংশ। ডায়াবেটিস রোগী ও গর্ভবতীদের মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একটু বেশি।

কারণ : অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেলস পলসি হওয়ার সরাসরি কারণ পাওয়া যায় না। তবে কিছু অবস্থা ও বিষয় দায়ী বলে মনে করা হয়। এর মধ্যে আছে-
ভাইরাসজনিত ইনফেকশন : ভাইরাসজাতীয় রোগের মধ্যে হারপিস সিমপ্লেক্স, হারপিস জোস্টার অথবা ইপস্টেইন-বার ভাইরাসের সংক্রমণে এ রোগ বেশি হয়ে থাকে।
রক্ত সরবরাহে স্বল্পতা : সাধারণত ঠান্ডা লাগা বা ঠান্ডা পরিবেশ, মানসিক চাপ ইত্যাদির কারণে এমনটি হতে পারে।
জন্মগত ত্রুটি : জন্মগতভাবে ফেসিয়াল নার্ভের পথটি কারও কারও ক্ষেত্রে সরু থাকতে পারে। এ পথটি কোনো কারণে সামান্য ফুলে গেলে তা নার্ভের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। এ চাপের কারণেও নার্ভ সাময়িক প্যারালাইজ হতে পারে।
অটোইম্যুন রোগ : অনেক সময় এ জাতীয় বিশেষ কিছু রোগের ক্ষেত্রে এমনটি হয়ে থাকে।
মুখমন্ডলের পরিবর্তন : রোগীর আক্রান্ত পাশের চোখ বন্ধ হয় না। মুখ বাঁকা হয়ে যেদিকে ভালো, সেদিকে বেঁকে থাকে। আক্রান্ত দিকের মুখের পাশ দিয়ে লালা গড়িয়ে পড়ে কিংবা তরল খাবার গ্রহণের সময় তা মুখের দুর্বল দিকের পাশ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে। দাঁত দেখাতে বললে মুখ বাঁকা হওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে বোঝা যায়। কারও েেত্র উচ্চশব্দ একটু বেশি অসহনীয় বলে মনে হয়। এছাড়া কারও কারও জিহ্বার স্বাদের ঘাটতি দেখা যায়। মুখম-লে ব্যথাও হতে পারে। মুখম-লের এ পাঘাতগ্রস্ততা সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক হতে পারে। ৩ থেকে ১০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে মুখমন্ডলের একপাশ পাঘাতগ্রস্ততা বা বেলস পলসি বারবার হতে পারে।
চিকিৎসা : এ রোগ নিয়ে উৎকণ্ঠিত না হয়ে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে।  তবে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, পেপটিক আলসারজাতীয় রোগ, চোখের উচ্চচাপ বা গ্লুকোমা, যক্ষ্মা ও গর্ভবতীদের েেত্র এ ওষুধ ব্যবহারের বিধি-নিষেধ আছে। এসব ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে ওষুধটি ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে রোগের ব্যাপকতা ও জটিলতা বেড়ে যেতে পারে।এ সমস্যার জন্য হোমিওপ্যাথ  চিকিৎসা উত্তম,দ্রুত কোনো ভালো হোমিওপ্যাথ ডাক্তারের পরার্মশ নিন।

No comments:

Post a Comment