Tuesday 22 December 2015

নারীর যোনি পরিচিতি ও পূর্ণ যৌন তৃষ্ণা

নারী ও পুরুষের সংযুক্ত রতিক্রিয়ায় উভয়ের যে চরম উল্লাস হয় তার অধিকাংশ নির্ভর করে মন ও শরীরের ওপর।
মনস্তত্ত্বের দিক দিয়ে বলা যায় নারী ও পুরুষের মন পরস্পরের দিকে যথেষ্ট আকৃষ্ট থাকলে অর্থাৎ উভয়ের ভালবাসা পরস্পরের প্রতি প্রবল হলে এই যৌন সঙ্গমের সূখ খুব উচ্চস্তরের হয়।

কিন্তু দেহাংশের ওপরেও এই সুখ কোধ অনেকটা নিভর করে। কেননা পুরুষের পুরুষাঙ্গ নারীর যোনির ভেতর প্রবেশ করে ঘর্ষণ করলে পুরুষের বীর্যপাত ঘটে এবং সেই সময়ই পুরুষের সুখ সর্বোচ্চ মাত্রায় ঘটে। নারীরও যোনি ঘর্ষণে ও তথা থেকে রস স্খলনেই অধিক মাত্রায় সুখ অনুভূত হয়।

সুতরাং পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য ও নারীর যোনির বিস্তারের ওপরেই নারীর সুখ বোধ নির্ভর করে।

পুরুষের পুরুষাঙ্গ সাধারণতঃ তিনভাবে বিভক্ত।
১। শশকীয়। ২। বৃষকীয়। ৩। অশ্বকীয়।

শশকীয় লিঙ্গ
তার বচন হবে মিষ্ট, মন সদা প্রফুল্ল, সে দেখতে সুন্দর এবং কোঁকড়ানো চুল বিশিষ্ট, তার মুখ গোলাকার এবং দেহ মধ্যাকারের। তার হাত পা খুব হালকা এবং সুন্দর। তার আত্নসম্মান জ্ঞান আছে। গুরু ও জ্ঞানীজনে ভক্তি থাকে। এর পুরুষাঙ্গ ছয় আঙ্গুল লম্বা এবং বীর্য থেকে সুরভিগন্ধ বের হয়। সে খুব হালকাভাবে বেড়ায় এবং কামেচ্ছা মাঝে মাঝে উদ্ভূত হয়।

বৃষকীয় লিঙ্গ
এরূপ ব্যক্তিও কিছু পরিমাণে মধুরভাষী হয়। তার ঘাড় গর্দান বলিষ্ঠ, কর্কশ কণ্ঠস্বর, রক্তবর্ণ হস্ত পদ এবং গতি চমৎকার।
তার ভ্রু খাড়া এভং পেট কচ্ছপাকারে গোলাকার। তার বীর্য এবং দেহ থেকে লবণাক্ত আস্বাদ বের হয়। তার গতি মাঝারি রকমের কিন্তু তিক্ত স্বাভাব। তার পুরুষাঙ্গ নয় আঙ্গল দীর্ঘ।

অশ্বকীয় লিঙ্গ
এরূপ লোক সাধারণতঃ বাচাল, মুখ হয় লম্বা। লম্বা ও সরু কান, মাথা ও অধর ওষ্ঠ সরু। তার কেশ ঘন সন্নিবিষ্ট ও বক্র। তার হাত পা খুব লম্বা এবং দৃঢ়। তার লম্বা অঙ্গলি কিন্তু নখের চেহারা সুগঠিত।

তার স্বর যেন মেঘ গর্জন এবং সে দ্রুত পা ফেলে হাঁটে। তার শুক্র থেকে যেন মদের গন্ধ বের হয়। তার পুরুষাঙ্গ প্রায় বারো আঙ্গুল লম্বা হয়ে থাকে।
এইভাবে নারীর যোনিও তিনভাগে বিভক্ত।
১। হরিণী যোনি। ২। ঘোটকী যোনি। ৩। হন্তিনী যোনি। হরিণী যোনি

এদের চটুল চক্ষুতে লাল রেখা থাকে। তাদের মুখ পদ্মের মত প্রফুল্ল, বাবলা জাতীয় গাছের ফুলের মত তাদের গাত্র চর্ম কোমল হয়।
এদের স্তনও হয় কদম্ব গাছের ফুলের মত গোলকার বিশিষ্ট ও নরম। গাত্র চর্ম হয় চম্পা পুষ্পের মত শ্বেতবর্ণ, টিয়াপাখীর নাকের মত তাঁদের নাসিকা তীক্ষ্ণ ও লম্বা, দন্ত হয় মুক্তার মতো এবং গমনধারা হয় রাজহংসীর মত। কোকিলের মত কণ্ঠস্বর হয় সুমধুর। হরিণীর মত হয় গ্রীবা। তাঁরা গুরুজন ব্রাহ্মণ, শিক্ষক ও দেবদেবীর প্রতি বিশেষ ভক্তিমতী হয়।

শুভ্র বসন পরিধান করে। খায় খুব অল্প পরিমাণে। যদিও এরা বিলাসবর্তী হয় না। তথাপি অনুভূতিতে বেশ পারদর্শিনী। কথা বলে কম, ঘুমায় অল্প। তাঁদের যোনি ছয় আঙ্গুল গভীর এবং পদ্মগন্ধা।

ঘোটকী যোনি
কৃশা ও স্থুলকায় হতে পারে। কিন্তু দীর্ঘকায় বহুবর্ণ বিশিষ্ট বেশভূষা এদের প্রিয় জিনিস। এরা ধৈর্যহীনা, এদের স্তন হয় শিথিল। চক্ষু হয় কাপর্দ ও শ্যামবর্ণ কিন্তু বাঁকা চোখে কটাক্ষ মারতে খুব পটু।

এরা তাড়াতাড়ি হাঁটে। পুরুষের সঙ্গে সহবাসে বড়ই প্রিয় এবং রতি কলায় দংশন আঁচড় এবং চিমটিতে বড়ই অগ্রসর।
সুবিধা হলে অত্যধিক মদ্য পান করতে পারে। এদের কণ্ঠস্বর কর্কশ এবং চিৎকার প্রবণ। লম্বা লম্বা দাঁত এবং খাঁড়া খাঁড়া চুল এদের বিশেষত্ব।
অত্যন্ত নিদ্রালু। এদের যোনি হয় নয় আঙ্গুল গভীর এবং মৎস্যা গন্ধ্যা।

হস্তিনী যোনি
এদের গতি ভঙ্গী হস্তিনীর মত। এদের আঙ্গুল হয় মাংসল এবং বাঁকা বাঁকা।
গ্রীবা হ্রস্ব এবং মাংসল হয়ে থাকে। ওষ্ঠাধর হয় পুরু পুরু। নিতম্ব বিশেষ চর্বিযুক্ত প্রচুর খাদ্য খেতে পারে। এরা হস্তিনীর মত নিদ্রা যায়।
এদের অঙ্গে বহু লোম থাকতে দেখা যায়, আচরণ হয় নির্লজ্জ। এর সর্বদাই পুরুষ সহবাসের জন্য প্রস্থত কিন্তু বেশির ভাগই দেখা যায় অর্থের বিনিময়ে।

এদের যোনি খুব প্রশস্ত এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনও আকারের লিঙ্গ ধারণ করতে পারে।

পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য
পুরষের পুরুষাঙ্গ ছয়, নয় এবং বারো আঙ্গুল দীর্ঘ হয়ে থাকে এবং দৈর্ঘ্য অনুযায়ী স্থুলত্বও কম বেশী হয়ে থাকে।

নারীর যোনির দৈর্ঘ্য
নারীর যোনিও ছয়, নয় ও বারো আঙ্গুল হতে পারে। কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ী বা উত্তেজনায় এদের যোনির ব্যাস মাংসপেশীর ক্রিয়ার দরুন কম বেশী হতে পারে।

পুরুষের পুরুষাঙ্গ এবং নারীর যৌনাঙ্গ যদি সমান ব্যাসবিশিষ্ট ও দৈর্ঘ্যযুক্ত হয় তা হলে সঙ্গমকালে উভয়ে বেশ সমান আনন্দ পেতে পারে একে বলা হয় পূর্ণ মিলন বা সম আনন্দ।

কোন শশকলিঙ্গ পুরুষ যদি হরিণী যোনিবিশিষ্ট্য নারীর সহিত সঙ্গম কার্য্য করে অথবা কোন বৃষ লিঙ্গ পুরুষ যদি হস্তিনী নারীর সঙ্গে সহবাস করে-তা হলে পুরুষাঙ্গ ও যোনি ঠিক খাপে খাপে লাগতে পারে।

No comments:

Post a Comment